মিলনমেলা-নর্দান ইউনিভার্সিটিতে কালের কণ্ঠ by আবুল হাসান

ত্রিকা মানেই সংবাদ প্রকাশ। অজানা বিষয় ক্রমান্বয়ে সাজিয়ে সঠিক উপস্থাপনার মাধ্যম। নিত্যদিনের ঘটে যাওয়া দেশ-বিদেশ, অপরাধ, উন্নয়ন, খেলাধুলা, বিনোদনসহ বিভিন্ন বিষয়ের সমন্বয়ের প্রকাশ। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং সংবাদপত্রের পরিপূর্ণতা নিয়েই পথ চলছে কালের কণ্ঠ।' বলছিলেন বেসরকারি নর্দান ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ছাত্র আসিফ হোসেন পথিক।


কালের কণ্ঠের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ্যাভ্যাস গড়ে তোলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার নর্দান ইউনিভার্সিটির তিনটি ক্যম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কারওয়ান বাজার ক্যাম্পাসে পত্রিকা বিতরণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে কালের কণ্ঠ পত্রিকা তুলে দেন শুভসংঘের বন্ধুরা।
ক্যাম্পাসটির চতুর্থ তলায় খোঁজ নিতেই দেখা যায়, অনেক ছাত্রছাত্রী ফ্লোরে বসে পত্রিকা পড়ছেন। সবার হাতেই কালের কণ্ঠ।
কথা হয় ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী পুষ্পিতা রিজোয়ান মেহনাজের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'আমি কালের কণ্ঠ পড়ি। কালের কণ্ঠ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।'
লাইব্রেরিতে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন আফসানা, আদনান, রাশেদ, নজরুল, তৃণা মিনহাজরা। তাঁদের আড্ডার মূল বিষয় কালের কণ্ঠের বিভিন্ন বিভাগ।
৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এনইউবি) ক্যাম্পাসে পরন্ত বিকেলে ক্যম্পাসে আসেন কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। তাঁকে কাছে পেয়ে শিক্ষার্থীরা উল্লসিত। অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে কনফারেন্স রুমে শিক্ষার্থীরা তুলে ধরেন কালের কণ্ঠ সম্পর্কে তাঁদের অভিব্যক্তির কথা।
মতবিনিময়ে শিক্ষার্থীদের লেখালেখির ব্যাপারে উৎসাহিত করে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, 'আমরা চাই ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকদের সঙ্গে পত্রিকাটির একটি যোগসূত্র তৈরি হোক। ছাত্রছাত্রীরা এখন পাঠ্য বইয়ের বাইরে যেতে চাচ্ছে না। তাঁদের বইয়ের বাইরে পড়ার অভ্যাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, যদি প্রতি সপ্তাহে দুই দিন শিক্ষার্থীদের হাতে পত্রিকাটি তুলে দিতে পারি এবং তাঁরা যদি ১০ মিনিটও পত্রিকাটি পড়েন তাহলে তাঁদের জ্ঞানের পরিধি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।' তিনি আরো বলেন, 'সাধারণ মানুষই দেশকে বদলিয়েছে, ছাত্ররাই পারবে দেশকে বদলাতে।'
বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শামসুল হক বলেন, 'শিক্ষার্থীদের হাতে খবরের কাগজ তুলে দেওয়া ভালো উদ্দ্যোগ। প্রতিদিনই সংবাদপত্রে অনেক নতুন খবর থাকে। কিছু না কিছু খবর শিক্ষার্থীদের কাজে লাগছে। মফস্বলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এ রকম উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
ধানমণ্ডির ক্যাম্পাসে বিবিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র সোহান বলেন, "পত্রিকাটিতে বাস্তব ঘটনা তুলে ধরা হয়। এ কারণে পত্রিকাটির জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে রবিবারের ম্যাগাজিন 'ঘোড়ার ডিম' খুবই ভালো লাগে।" ডেপুটি রেজিস্ট্রার সাইফুল আলম মনির বাচ্চাদের নিয়ে আরো নতুন বিষয় যোগ করার পরামর্শ দেন।
গতকালের আয়োজনে পূর্ণতা আনতে কালের কণ্ঠের শুভসংঘের বন্ধুদের সঙ্গে ছিলেন নর্দান ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থী মনিব, ইভা, নাদিরা, মিতু, মমিনুল, জাহাঙ্গীর, শাকিল, মনিরুল, মাইনউদ্দিন, মুকবুল, বিপ্রাস দাস, আমিনুল। আরো ছিলেন কালের কণ্ঠের সার্কুলেশন বিভাগের জিএম হারুন অর রশীদ ও একই বিভাগের ডিজিএম মো. রফিকুল ইসলাম সবুজ।
নর্দান ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে এ আয়োজন চলে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

No comments

Powered by Blogger.