লেনদেন সূচক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ সবই বেড়েছে

টানা তিনদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকগুলো বিনিয়োগে ফেরায় ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা ও মার্চেন্ট ব্যাংক থেকেও বিনিয়োগ বাড়ছে। গতকাল ডিএসইতে ৫০ শতাংশেরও বেশি লেনদেন হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে। দু'সপ্তাহ আগেও ডিএসইতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় থেকে বিনিয়োগ ছিল লেনদেনের মাত্র ১০ শতাংশ।


এদিকে গতকাল ঢাকার শেয়ারবাজারে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ২৫৪টি কোম্পানির শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজের মধ্যে ২৩৫টিরই দর বেড়েছে, কমেছে ১৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল তিনটি। সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৪৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩১৩ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ৪৭৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার। অন্য শেয়ারবাজার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৫টি কোম্পানির শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজের মধ্যে ১৬২টিরই দর বেড়েছে, কমেছে ৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল চারটি। নির্বাচিত খাত সূচক আগের দিনের থেকে ৩১৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬৭২ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ৫২ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার।
দিনের লেনদেন পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ৪৫টি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি ও তিনটির দর কমার মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। পাঁচ মিনিটের মধ্যে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৭৬টির মধ্যে ১৫৪টির দর বাড়ে। এতে সাধারণ সূচক আগের দিনের থেকে বেড়ে যায় ১২৮ পয়েন্টেরও বেশি। তবে শেয়ারবাজার সংকট উত্তরণে সরকারি পদক্ষেপ নিয়ে নানা গুঞ্জনে এরপরের এক ঘণ্টায় বেশ কিছুটা অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়। দুপুর সোয়া ১২টা থেকে আবারও বেশির ভাগ শেয়ারের দর বাড়তে থাকে। লেনদেনের শেষ পর্যায়ে দেখা যায়, লেনদেন হওয়া ২৫৪টি শেয়ারের মধ্যে ৯৫টির শেয়ারেরই কোনো বিক্রেতা ছিল না। এতে লেনদেন আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলেও লেনদেন ৪৭৫ কোটি টাকাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। এ ছাড়া ৮৫২টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে সার্কিট ব্রেকারের (নির্দিষ্ট দিনের শেয়ারের দরবৃদ্ধির সীমা) সর্বোচ্চ সীমায় উঠেছিল ৮২টি কোম্পানির শেয়ার।
গতকাল ডিএসইর লেনদেন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, সিরামিক্স, তথ্য ও প্রযুক্তি এবং টেলিযোগাযোগ খাতে গ্রামীণফোন ছাড়া অন্যসব খাতের শেয়ারের লেনদেন বেড়েছে। এর মধ্যে ব্যাংকিং খাতে সর্বাধিক ১৩৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ২৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে জ্বালানি ও শক্তি খাতে ৪৩ কোটি ৫৪ লাখ, প্রকৌশল খাতে ৪১ কোটি ৯৬ লাখ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৪১ কোটি ৬৩ লাখ, বস্ত্র খাতে ৩৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
একক কোম্পানি হিসেবে বেক্সিমকো লিমিটেডের মোট ২৪ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। এর পরের অবস্থানে ছিল মার্কেন্টাইল ব্যাংক, গ্রামীণফোন, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও তিতাস গ্যাস। দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল_ কেয়া কসমেটিক্স, মেঘনা সিমেন্ট, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, বিডি ফাইন্যান্স ও অলটেক্স।

No comments

Powered by Blogger.