রামপুরায় শিক্ষকের পিটুনিতে সাত শিক্ষার্থী আহত

রাজধানীর রামপুরায় স্কুল শিক্ষকের পিটুনিতে সাত শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে শান্তা ও ফাতেমা নামে ষষ্ঠ শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অন্য শিক্ষার্থীদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক সেলিম মজুমদারকে আটক করেছে। রোববার পশ্চিম রামপুরার খালেদ হায়দার মেমোরিয়াল হাই স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরে ষষ্ঠ শ্রেণীর কয়েক শিক্ষার্থী পড়া না পারায় শিক্ষক সেলিম মজুমদার তাদের দাঁড় করিয়ে রাখেন। এক পর্যায়ে তিনি তাদের এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। এতে শান্তা ও ফাতেমা অচেতন হয়ে যায়। তাদের ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়। একই সময় আরও ৬-৭ শিক্ষার্থীকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অচেতন হওয়ার খবরে শান্তা ও ফাতেমার অভিভাবকসহ অন্য অভিভাবকরা স্কুলে ছুটে যান। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে শিক্ষকের গ্রেফতারের দাবি জানান। তারা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ করলে বিকেলে শিক্ষক সেলিম মজুমদারকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। পরে তিনি পুলিশের কাছে শিক্ষার্থীদের বেত দিয়ে পেটানোর কথা স্বীকার করলেও দাবি করেন, অচেতন শান্তা আগে থেকেই অসুস্থ ছিল।
আহত ফাতেমার বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, তার মেয়ের ডান হাতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছে। চিকিৎসক ব্যথানাশক ইনজেকশন দিলেও হাত নড়াচড়া না করতে বলেছেন। রামপুরা থানার অপারেশন অফিসার আলমগীর ভূঁইয়া সমকালকে জানান, শিক্ষক সেলিম মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।

No comments

Powered by Blogger.