ইকোনমিক কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠক-অনুৎপাদনশীল খাতে ভর্তুকি না দেওয়ার পরামর্শ

রচ মেটাতে আয় বাড়ানোর উপায় খুঁজছে সরকার। একই সঙ্গে কমানো হবে ভর্তুকিও। এ জন্য অনুৎপাদনশীল খাতে ভর্তুকি না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় নির্বাহীদের নিয়ে গঠিত ইকোনমিক কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল।ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুৎ খাতে আর কোনো ভর্তুকি গুনতে চায় না সরকার। আর জ্বালানি তেলেও ভর্তুকি দেওয়া হবে কি না_সে বিষয়টিও চিন্তা করে দেখছে সরকার।


বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেই সরকারের ভর্তুকির বড় অংশ ব্যয় হচ্ছে। আর আয় বাড়াতে নজর দেওয়া হচ্ছে রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত খাতগুলোর দিকে। বিভিন্ন খাত থেকে কিভাবে রাজস্ব বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইকোনমিক কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের জানান, 'দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। বাজেট ঘোষণার সময়ই আমি বলেছি, এ বছরটি ঝুঁকির বছর। কী কী ঝুঁকি আসবে, তার তালিকাও করেছি। চলতি অর্থবছর ভর্তুকি অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আর বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে ভারসাম্য রক্ষা করাটাও বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার আস্তে আস্তে ভর্তুকি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ধীরে ধীরে বিদ্যুতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হবে। তবে পেট্রোলিয়ামের ভর্তুকি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি ভেবে দেখা হবে।' অর্থনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠক সাধারণত ডিসেম্বর মাসে হয়; কিন্তু ওই সময় আমি বিদেশে থাকব। তাই এখন করছি। বৈঠকে বাজেট পর্যালোচনা করা হয়েছে। সেখানে কি আলোচনা হয়েছে তা বলা যাবে না। তিনি বলেন, 'অর্থনীতিবিদ ও সাংবাদিকরা বলেন, সরকার কিছু করছে না। কিন্তু আমরা কী কী করছি, তার সবই তো সাংবাদিকদের বলা যাবে না।' কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সদস্য ও সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. শামসুল আলম কালের কণ্ঠকে জানান, বৈঠকে সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাইরে থেকে অর্থনীতির অবস্থা যত দুর্বল বলা হয়, বাস্তবিক অবস্থা তার চেয়ে অনেক ভালো। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির কারণ হলো ভারতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। আর আমরা ভারত থেকে পণ্য আমদানি করায় আমাদের দেশেও মূল্যস্ফীতি বাড়ছে।

No comments

Powered by Blogger.