মুখোমুখি প্রতিদিন-এখনো আশায় আছি হয়তো কোচ আমাকে ডাকবেন

'খেপ' খেলার আলোচিত ঘটনায় তাঁরা দুজন একসঙ্গেই গিয়েছিলেন মানিকগঞ্জ। তারপর শাস্তিও পেয়েছেন, তবে সে শাস্তি কাটিয়ে সম্প্রতি দেশের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি জাতীয় দলে ফিরলেও উপেক্ষিতই থেকে গেছেন মিঠুন চৌধুরী। ব্যাপারটা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না মুক্তিযোদ্ধার এ স্ট্রাইকার। কালের কণ্ঠ স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই হতাশার কথাই জানিয়েছেন মিঠুন চৌধুরীপ্রশ্ন : এমিলি তো জাতীয় দলের ক্যাম্পে সুযোগ পেলেন। আপনার কেমন লাগছে?


মিঠুন চৌধুরী : এমিলি ভাই সুযোগ পেয়েছেন, অবশ্যই তাঁর জন্য ভালো লাগছে। দোয়া করি উনি যেন ভালো খেলতে পারেন। তবে আমার নিজের জন্য অবশ্যই খারাপ লাগছে। কারণ আমাদের দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল একই। তবে এমিলি ভাই দলে সুযোগ পেলেন অথচ আমার সুযোগ হলো না! কেন হলো না, এ ব্যাপারটা আমি বুঝতে পারছি না।
প্রশ্ন : কোচ কিন্তু বলেছেন ফরমেশনের কারণেই আপনাকে দলে নেওয়া সম্ভব হয়নি...
মিঠুন : কোচ যদি এই কথা বলে থাকেন তাহলে তো আমার কিছু বলার থাকে না। তবে কোচ আমাকে যে পজিশনে খেলাতে চান আমি সে পজিশনেই খেলতে পারব। এবার কিন্তু মুক্তিযোদ্ধায় মারুফ (মারুফুল হক) ভাই আমাকে বাঁ দিক দিয়ে খেলিয়েছেন। আপনারাই ভালো বলতে পারবেন আমি কেমন খেলেছি। কোচ আমাকে দিয়ে চেষ্টা না করিয়েই এ কথা বলছেন।
প্রশ্ন : স্ট্রাইকার হিসেবে যাঁরা দলে সুযোগ পেয়েছেন তাঁদের থেকে কি আপনি নিজেকে বেশি ভালো মনে করছেন?
মিঠুন : তা মনে করছি না। দলে যারা সুযোগ পেয়েছে সবাই ভালো। আমি দোয়া করি তারা যেন দেশের জন্য ভালো খেলতে পারে। তারা ভালো কিছু উপহার দিতে পারলে আমিও খুশি হব।
প্রশ্ন : কোচ জাহিদকে দলে না নেওয়ার ব্যাপারে অটল। আপনার ব্যাপারে এখনো তেমন কিছু বলেননি। নাটকীয়ভাবে দলে সুযোগ পেয়ে যাওয়ার আশা কি এখনো করছেন?
মিঠুন : এই স্বপ্ন না দেখা ছাড়া আমার সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। এখনো আশায় আছি হয়তো কোচ আমাকে ডাকবেন। আবারও আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলব, দেশের জন্য খেলব। যত বড় ক্লাবেই খেলি না কেন দেশের হয়ে খেলার চেয়ে বড় সম্মান তো আর অন্য কোথাও নেই। আমি তৈরি আছি, কোচ আমাকে ডাকলে সবাই আগের মিঠুনকেই দেখবে বলে আশা করছি।
প্রশ্ন : এত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলছেন। প্র্যাকটিস কি তাহলে নিয়মিত করা হয়?
মিঠুন : অন্য জেলায় কি হয় জানি না। কিন্তু আমাদের নারায়ণগঞ্জে ফুটবলের প্র্যাকটিসটা নিয়মিত হয়। প্রতিদিন সকাল সাতটায় চাষাঢ়ার ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আমরা সব ফুটবলার একত্রে মিলে প্র্যাকটিস করি।
প্রশ্ন : এখনো কি খেপ খেলতে যান?
মিঠুন : এ ব্যাপারটা নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। নিজের মধ্যে এখন একটা অনুশোচনা বোধ তৈরি হয়েছে। ওই ঘটনার পর আর খেপ খেলতে যাইনি। আর যেতেও চাই না।
প্রশ্ন : জাতীয় দলকে কেমন মনে হলো?
মিঠুন : দলটিকে একেবারে খারাপ মনে হয়নি। তবে আমি মনে করি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিজ্ঞতারও দরকার ছিল। সিনিয়র-জুনিয়র ফুটবলার সমন্বয়েই দলটা করা হয়েছে। আমি আশা করছি দলটি ভালোই করবে।

No comments

Powered by Blogger.