যৌন হয়রানির প্রতিবাদ : মুম্বাইয়ে ২ যুবক খুন সহিংসতার আশঙ্কা

ভারতের মুম্বাই নগরীতে যৌন হয়রানিতে বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসীদের ছুরিতে দুই যুবক নিহত হওয়ার পর সেখানে সহিংসতার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। এ ঘটনায় ভারতের প্রধান বাণিজ্যিক ও বিনোদন নগরী মুম্বাই অনেকটা স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে। অবশ্য পুলিশ জানিয়েছে, শহরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ধরনের খুনের ঘটনায় শহরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার পর মুম্বাই শহরের বাসিন্দারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারে বহু পোস্ট দিয়েছেন, যার মূল কথা হচ্ছে—তারা আর এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চান না।


গত ২০ অক্টোবর মুম্বাই নগরীর একটি পানশালার বাইরে কয়েকজন তরুণ দুই তরুণীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করলে তাতে বাধা দেয় কিনান সন্তোষ ও রিউবেন ফার্নান্দেজ নামে দুই যুবক। এ সময় দুর্বৃত্তদের ছুরির আঘাতে নিহত হয় সন্তোষ এবং মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছে ফার্নান্দেজ। সন্তোষ এবং ফার্নান্দেজের সমর্থকরা বলছেন, এ ধরনের অপরাধ দমনের জন্য পুলিশ যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তবে পুলিশ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলছে, এটা নিতান্তই বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
যৌন নির্যাতন ও ইভটিজিংয়ের ঘটনা ভারতীয় সমাজের সুগভীরে বিস্তৃত। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ ও মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এখন সময় এসেছে ইভটিজিং এবং যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন পাস করার। তারা বলছেন, ভারতে ইভটিজিং ও যৌন হয়রানির মতো হাজার হাজার ঘটনা ঘটলেও তা দমনের জন্য শক্ত আইন নেই। এ বিষয়ে সরকারের নজরদারিও খুব দুর্বল বলে উল্লেখ করেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তারা একটি আবেদন জানানোর কথা ভাবছেন।
ভারতের জাতীয় অপরাধ ব্যুরোর হিসাব মতে, ২০০৯ সালে দেশটিতে নারী ঘটিত অপরাধ হয়েছিল দুই লাখ তিন হাজার ৮০৪টি। গত বছর এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১৩ হাজার ৫৮৫টিতে। তবে অনেকে মনে করেন, এ সংখ্যা আরও বেশি হবে, কারণ ইভটিজিং এবং যৌন নির্যাতনের মতো অপরাধের সব খবর প্রচারিত হয় না।

No comments

Powered by Blogger.