শেষ বিকালে পাকিস্তানের উইকেট বিসর্জন

শারজা টেস্টে ইউনিস খানের সেঞ্চুরিতে ভালো জবাব দিচ্ছিল পাকিস্তান। কিন্তু শেষ বিকালে এসে ২ উইকেট হারিয়ে অনেকটাই চাপে রয়েছে মিসবাহ উল হকরা। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার গড়া ৪১৩ রানের জবাবে তৃতীয় দিনশেষে ৬ উইকেটে ২৮২ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন মিসবাহ উল হক। আগের দিন ১০ রানে অপরাজিত থাকা ইউনিস খান আজহার আলীকে সঙ্গে নিয়ে টেস্টের তৃতীয় দিন দারুণ সূচনা করেন। দ্বিতীয় দিন প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান যে বিপর্যয়ে পড়ে তা অনেকটাই সামাল দেন ইউনিস-আজহার জুটি। তারা ১৪২ রানের বড় জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন।


হাফ সেঞ্চুরি করে লাঞ্চের পর আজহার আউট হলেও অপরাজিত থাকেন ইউনিস। লঙ্কান নবীন বোলার কুসালা কুলাসেকারের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন আজহার। আউট হওয়ার আগে ৬টি চারে ৫৩ রান সংগ্রহ করেন তিনি। পরে অধিনায়ক মিসবাহ উল হককে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালিয়ে যান ইউনিস। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৯৫ বলে ১০০ রান সংগ্রহ করেন তারা। ১১টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৮তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইউনিস। তবে ইউনিস খানকে ১২২ রানের বেশি এগোতে দেননি লঙ্কান বাঁহাতি ফাস্ট বোলার চানাকা ভেলেগেদেরা। দলীয় ২৩৩ রানে ভেলেগেদেরার বলে সরাসরি বোল্ড হন ইউনিস। তার ১২২ রানের ইনিংসটি ১২টি চার ও দুটি ছক্কার মারে সাজানো। ইউনিস খান আউট হলেও অপরাজিত থেকে ব্যাট চালিয়ে যান মিসবাহ। লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট পান চানাকা ভেলেগেদেরা।
এর আগে দ্বিতীয় দিন ৩৫ রানে দুই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানকে হারায় পাকিস্তান। ভেলেগেদেরার বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মোহাম্মদ হাফিজ। তিনি রানের সংখ্যা দুই অঙ্কের ঘরে নিয়ে যেতে পারেননি। পরে আবুধাবি টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান তৌফিক উমরও রঙ্গনা হেরাথের বলে উইকেট বিসর্জন দেন। তিনি সংগ্রহ করেন ১৯ রান। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কুমারা সাঙ্গাকারার সেঞ্চুরি ও তিলকারত্নে দিলশানের হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে ৪০০-র বেশি রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। আবুধাবি টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান সাঙ্গাকারা ১৩টি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। টপঅর্ডারে ব্যাট করতে নেমে দিলশান ১২টি চার ও একটি ছক্কার মারে সংগ্রহ করেন ৯২ রান। এছাড়া ৩৯ রান করে সংগ্রহ করেন কুশাল সিলভা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে। ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন লঙ্কান টেলএন্ডার ব্যাটসম্যান রঙ্গনা হেরাথ। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন সাঈদ আজমল। উমর গুল তিনটি ও জুনায়েদ খান দুটি উইকেট পান।

No comments

Powered by Blogger.