ইসরায়েলের বসতি নির্মাণের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা

ইসরায়েল পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি নির্মাণ ত্বরান্বিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার সমালোচনা করেছে পশ্চিমা বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্রও এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে।
ইসরায়েল হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থার (ইউনেসকো) পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভের চেষ্টা করলে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর ধারাবাহিকতায়ই দেশটি ইহুদি বসতি স্থাপন-প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার ঘোষণা দেয়।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কার্নে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘গভীরভাবে হতাশ’। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলেছে, ইসরায়েলের এ ঘোষণায় ইইউ ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি বলেছে, এ ঘোষণা শান্তি-প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এটা আমাদের জনগণের মৌলিক অধিকার।’
জে কার্নে হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘একপক্ষীয় সিদ্ধান্তগুলো সরাসরি শান্তি আলোচনা আবারও শুরু করার চেষ্টার বিরুদ্ধে কাজ করে। এ-জাতীয় সিদ্ধান্ত দুই পক্ষের মধ্যে যুক্তিসম্মত ও প্রয়োজনীয় চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যকে এগিয়ে নেয় না।’
ইইউর নীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাস্টন ওই সিদ্ধান্ত বদলাতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। দুই পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসারও আহ্বান জানিয়েছে তিনি।
ক্যাথেরিন অ্যাস্টন বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েলের বসতি নির্মাণ কার্যক্রম অবৈধ, যা শান্তির ক্ষেত্রে বাধা। তিনি বলেন, তাঁরা অতীতেও অনেকবার এ কথা বলেছেন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ ইসরায়েলি পদক্ষেপকে ‘উসকানিমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বার্নার্ড ভ্যালেরো বলেন, প্রস্তাবিত বসতি নির্মাণ আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অবৈধ।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনও বলেছেন, এই সিদ্ধান্তে তিনি ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। মহাসচিবের মুখপাত্র মার্টিন নেসিরকি বলেন, বসতি নির্মাণ কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মহাসচিব।

No comments

Powered by Blogger.