অস্ট্রেলিয়ার বেলায় চ্যাপেলের উল্টো কথা

নিজে যখন কোচ ছিলেন ভারতের, সৌরভ গাঙ্গুলীর মতো অভিজ্ঞদের ছেঁটে ফেলতে দ্বিধা করেননি। কিন্তু এখন গ্রেগ চ্যাপেলের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে অভিজ্ঞতা! ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির সমন্বয়ক হয়েও তাই সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক সতর্ক করে দিচ্ছেন, অভিজ্ঞতা উপেক্ষা করে দলে একসঙ্গে অনেক বেশি নতুন মুখ নেওয়া উচিত হবে না!পরশু সিডনিতে নিজের লেখা বই 'ফিয়ার্স ফোকাস'-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন


চ্যাপেল ভাইদের বড়জন।'একটা দলে অভিজ্ঞতা আর জ্ঞান থাকলে সেটা দারুণ সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। একসঙ্গে সব নতুন মুখ দিয়ে দল সাজানো মোটেই উচিত নয়। আমি তো মনে করি না এটা সাফল্যের কোনো পথ হবে, যেমন হবে না শুধুই বুড়োদের নিয়ে দল সাজানো হলেও। আসলে দলে অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের একটা ভারসাম্য থাকতে হবে'_বলেছেন চ্যাপেল। বিশেষ করে সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের মতো সিনিয়ররা ব্যাট হাতে রান করার পাশাপাশি এ অভিজ্ঞতা দিয়ে দলকে সাহায্য করছেন বলে তাঁর অভিমত। ব্যাটে রানখরার কারণে পন্টিং-ব্র্যাড হ্যাডিনদের ছুড়ে ফেলার দাবিকে তাই সমর্থন করতে পারছেন না একই অভিযোগে ভারতীয় দল থেকে সাবেক অধিনায়ক সৌরভকে ছুড়ে ফেলা চ্যাপেল। তবে তিনি মনে করেন, ভালো করার জন্য তাদের ওপর খানিকটা চাপ রাখা ভালো।
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের তরুণ প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির সমন্বয়ক হিসেবে কদিন আগেও নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন চ্যাপেল। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক পালাবদলে সেই পদটা হারিয়েছেন তিনি। তাই এখন বাইরে থেকে নির্বাচকদের পরামর্শ দিতে হচ্ছে তাঁকে। চ্যাপেল অবশ্য অস্ট্রেলিয়া দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশ নন মোটেই। বরং মনে করেন, গত চার-পাঁচ বছর আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি তরুণ খেলোয়াড় উঠে আসছে, 'আমি তো অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে রোমাঞ্চিত। আগামী দুই-তিনটি বছর দারুণ যাবে বলে মনে হয়। আমাদের বেশ কিছু ভালো তরুণ খেলোয়াড় আছে।'
তবে সেই তরুণদের সবাইকে এখনই জাতীয় দলে দেখতে চাইছেন না গ্রেগ চ্যাপেল। ওয়েবসাইট

No comments

Powered by Blogger.