আরব বিপ্লব :শিয়ালের কবল থেকে হিংস্র হায়েনার থাবায়-কালের আয়নায় by আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী

ধ্যপ্রাচ্যের যে দেশগুলোকে টিরানি ও ডিক্টেটরশিপের কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য গণবিপ্লবে সাহায্য দেওয়ার নামে ন্যাটোর ভয়াবহ সামরিক হস্তক্ষেপ ঘটিয়ে 'লিবারেটেড' করা হয়েছে বলে ওবামা-ক্যামেরন সাহেবরা বগল বাজাচ্ছিলেন, সেই দেশগুলোর অবস্থা এখন কী? মিসরের এক সাংবাদিকই লন্ডনের একটি কাগজে লিখেছেন, 'মুরগির বাচ্চা শিয়ালের কবল থেকে হায়েনার কবলে পড়েছে। এই হায়েনার দাঁত মিসর, লিবিয়া, ইরাক, আফগানিস্তানের


জনগণের রক্তে রঞ্জিত। অথচ তারা বিশ্বময় প্রচার চালাচ্ছে, তারা শিয়াল বধ করে মুরগির বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করতে তাদের ওপরই বোমা হামলা চালিয়েছে। ডিক্টেটরদের পতনের পর তথাকথিত আরব স্প্রিংয়ের পশ্চিমা বন্ধুরা দু'হাতে দেশগুলোর সম্পদ লুট করছে। এমনকি তাদের হাজার হাজার বছরের পুরনো জাদুঘরের মালামাল পর্যন্ত। কিন্তু জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থা তারা করেনি।
মিসরীয় এই সাংবাদিকের মতে, আরব বিপ্লব হাইজ্যাক হয়ে গেছে। হাইজ্যাক করেছে বিপ্লবে সাহায্যদানের নামে এসে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীরা। তাদের পুরনো সাম্রাজ্যবাদী খোলস এখন পাল্টে গেছে। নব্য সাম্রাজ্যবাদীরা মধ্যপ্রাচ্যে তাদেরই এতদিনের পোষ্য ডিক্টেটরদের সরিয়ে নতুন মুখ ক্ষমতায় বসাচ্ছে।
'লিবারেশনের' নামে এসব দেশে যা চলছে, তা এক ধরনের আরও ভয়াবহ আগ্রাসন (ধ শরহফ ড়ভ সড়ৎব নৎঁঃধষ ধমমৎবংংরড়হ)। যেসব ডিক্টেটর পশ্চিমা আনুগত্য মানতে চাইছিল না, তাদের নৃশংসভাবে (সাদ্দাম ও গাদ্দাফি) হত্যা করা হয়েছে।
শুধু এই মিসরীয় সাংবাদিক নন, পশ্চিমা সংবাদপত্রগুলোও এখন আর মধ্যপ্রাচ্যের এই 'লিবারেটেড' দেশগুলোর অবস্থা ঢেকে রাখতে পারছে না। লন্ডনের সান্ধ্য দৈনিক 'ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড' গত ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার পাতা জোড়া হেডিং ও ছবি দিয়ে মিসরের খবর ছেপেছে। এই খবরের হেডিং_ 'চৎড়ঃবংঃবৎং রহ ঞধযরৎ ংয়ঁধৎব ঢ়ষবফমব ধ ংবপড়হফ ৎবাড়ষঁঃরড়হ' (তাহরির স্কয়ারে জমায়েত বিক্ষোভকারীরা দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছে)। পত্রিকাটির মতে, কায়রোতে এখন রোজ আবার শুরু হয়েছে লাখ লাখ মানুষের মিছিল (সরষষরড়হ সধহ সধৎপয)।
এই তাহরির স্কয়ার থেকেই শুরু হয়েছিল পশ্চিমা তাঁবেদার মোবারকের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে গণবিদ্রোহ। সাম্রাজ্যবাদীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিল এই বিদ্রোহ সফল হলে মিসরে প্রকৃত গণশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সাম্রাজ্যবাদীদের সব কর্তৃত্বের অবসান হবে। মোবারকের আর জনপ্রিয়তা নেই। ঘোড়া বদল দরকার। সুতরাং গণবিপ্লবের সমর্থক সেজে পশ্চিমা নেতারা বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে শুরু করলেন। গণবিক্ষোভ দমনে দেশীয় সামরিক বাহিনীকে বিরত রাখা হলো। দেখানো হলো সামরিক বাহিনী জনগণের পক্ষে।
এই খেলা ওয়াশিংটন একবার ফিলিপাইনে মার্কোসবিরোধী গণবিদ্রোহের সময়ও খেলেছে। মিসেস আকিনোর নেতৃত্বে মার্কোসবিরোধী গণআন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন ডিক্টেটর মার্কোসেরই দীর্ঘকালের অনুগত জেনারেল রামোস মার্কোসের পক্ষ ত্যাগ করে (মার্কিন নির্দেশে) আকিনোর পক্ষে যোগ দেন। মার্কোসের পতনের পর মিসেস তাকিনো ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বটে, কিন্তু ক্ষমতা থেকে যায় মার্কিন তাঁবেদার সামরিক বাহিনীর হাতে। ফিলিপাইনে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো থেকে যায়। এই ঘাঁটিগুলো উচ্ছেদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আকিনো এবং তার নিহত স্বামী তার যথার্থ বাস্তবায়ন আর হয়নি।
এই দশকে মিসরেও আমেরিকা গণআন্দোলনের মিত্র সেজে আন্দোলনের নেতৃত্ব হাইজ্যাক করে সেনাবাহিনীর দ্বারা। মোবারকের পতনের পর যেখানে জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত বিপ্লবী কাউন্সিল বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথা ছিল, সেখানে সেনাবাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল হোসেন তানতাওয়াইর নেতৃত্বে যে মিলিটারি কাউন্সিল ক্ষমতা গ্রহণ করে, তার অধীনে একটি সিভিলিয়ান কেবিনেট গঠন করা হয়েছে বটে, কিন্তু তার কোনো ক্ষমতা নেই।
বাস্তবে মিসরে যা ঘটেছে, তা হলো এক মার্কিন তাঁবেদারের বদলে আরেক মার্কিন তাঁবেদারকে ক্ষমতায় বসানো। আমেরিকার কাছে জনপ্রিয়তাশূন্য মোবারকের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছিল, তাই তার বদলে তানতাওয়াইকে আনা হলো। এই ফিল্ড মার্শাল হোসেন তানতাওয়াইটি কে? তিনি মোবারকের ঘনিষ্ঠ সহচর। কুড়ি বছর ধরে মোবারকের সেনাপ্রধান ও দেশরক্ষামন্ত্রী এবং তার সবরকম অপকর্মের সঙ্গী। মোবারকের পতনের দিন পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন এবং গণক্রোধ থেকে মোবারককে বাঁচিয়ে তার বিচার হবে এই প্রতিশ্রুতি আউড়ে তাকে গ্রেফতার করার নামে এক প্যালেসে পাহারাধীন অবস্থায় রাখা হয়েছে।
লক্ষ্য করার বিষয়, অনেক দেশেই আমেরিকা তার তাঁবেদার অত্যাচারী ডিক্টেটরদের প্রয়োজন ফুরোবার পর ক্ষমতা থেকে অপসারণ করলেও তাদের হত্যা করেনি বা জনরোষে নিহত হতে দেয়নি। মার্কোস, ইরানের শাহ প্রমুখ মার্কিন প্লেনে চেপেই পরিবার ও লুট করা সম্পদসহ বিদেশে পলায়নের সুযোগ পেয়েছেন। পিনোচেটকে বিচার করা হলেও তাকে শাস্তি পেতে দেওয়া হয়নি। পতনের পর ব্রিটেনে এলে তাকে আটক করা হলেও জামাই আদরে রাখা হয়েছে। কিন্তু যেসব ডিক্টেটর ছিল আমেরিকার কাছে অবাধ্য ও 'বেয়াদপ', যেমন সাদ্দাম ও গাদ্দাফি, তাদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তবে মিসরের মানুষকে এবার পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীরা বিভ্রান্ত ও প্রতারিত করতে পারেনি। মোবারকের পতনের ছয় মাস না যেতেই মিসরবাসীরা বুঝে ফেলেছে, এত আন্দোলন, এত রক্তক্ষয়ের পর যে স্বৈরাচারী মোবারকের তারা পতন ঘটিয়েছে, তার জায়গায় মোবারকেরই সব অপকর্মের দোসর ফিল্ড মার্শাল তানতাওয়াইকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। মোবারকের লোক দেখানো বিচার হবে; কিন্তু পিনোচেটের মতো তিনি মিসরেই জামাই আদরে থাকবেন। তানতাওয়াইর মিলিটারি কাউন্সিল সহসা অথবা প্রতিশ্রুতিমতো ক্ষমতা হস্তান্তরে আগ্রহী নয়। তারা ইতিমধ্যেই টানবাহানা শুরু করেছে।
মিসরের সিভিলিয়ান কেবিনেট দাবি করেছিল, প্রতিশ্রুত ও পরিকল্পিত নির্বাচনের সাতদিন আগেই মিলিটারি কাউন্সিলকে সিভিলিয়ানদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। অন্যদিকে সামরিক শাসকদের পরিকল্পনা হলো ক্ষমতা হস্তান্তরের গোটা পদ্ধতি বিলম্বিত করা এবং তার সুযোগ নিয়ে ক্ষমতা নিজেদের হাতে রেখে দেওয়া। পাকিস্তানে ইয়াহিয়ার সামরিক জান্তাও সত্তরের দশকে এ ধরনের পরিকল্পনা করেছিল। মার্শাল তানতাওয়াইর পরিকল্পনাও অনেকটা পাকিস্তানের জেনারেল ইয়াহিয়ার পরিকল্পনার কার্বনকপির মতো।
মিসরের সেনাশাসকদের এই পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, বর্তমানে যে পার্লামেন্ট আগামী মার্চ মাসের মধ্যে নির্বাচিত হবে তারা হবে কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি। তারা শুধু সংবিধান রচনা করবেন। এ জন্য ছয় মাস সময় দেওয়া হবে। তারপর এই সংবিধান নিয়ে গণভোট হবে। এই গণভোটে সংবিধান গৃহীত হলে একজন নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। তারপর মিলিটারি কাউন্সিল ক্ষমতা ত্যাগ করবে।
ক্ষমতা হস্তান্তরের এই দীর্ঘ ঢিলেঢালা ব্যবস্থায় (বস্তুত যা পরে কার্যকর হবে না) মিসরের মানুষ বিশ্বাসী নয়। রাজনৈতিক দলগুলোও তাতে আপত্তি করা শুরু করেছে। কায়রোয় তাহরির স্কয়ারে আবার জমায়েত হয়েছে লাখ লাখ নরনারী। এবার তাদের স্লোগান 'মার্শালের পতন চাই, মার্শাল ক্ষমতা ছাড়ো।' গণবিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে ইতিমধ্যেই মিসরের সিভিলিয়ান কেবিনেট একযোগে পদত্যাগ করেছে। কায়রো থেকে ইস্টার্ন সিটি ইসমাইলিয়া পর্যন্ত গণবিক্ষোভ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
পতিত ডিক্টেটর মোবারকের চেয়েও হিংস্রতা নিয়ে মার্শাল তানতাওয়াই এই বিক্ষোভ দমনে নেমে পড়েছেন। এবার সেনাবাহিনী গণবিক্ষোভ দমনে মৃদুশক্তি নয়, সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। তাদের গুলিতে ইতিমধ্যেই কায়রো ও ইসমাইলিয়ায় অসংখ্য নরনারী নিহত হয়েছে। তাতে গণবিক্ষোভ আরও বাড়ছে এবং বিক্ষোভে শামিল মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। মার্শাল তানতাওয়াই শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়েছেন।
একদিকে আপস-বৈঠক, অন্যদিকে হিংস্র দমননীতি। এবার মিসরীয় সেনাশাসকদের এই গণহত্যা ও গণনির্যাতনের মুখে ওবামা-ক্যামেরন প্রমুখ পশ্চিমা নেতারা নির্বাক। শেষ পর্যন্ত মিসরের মানুষের এই দ্বিতীয় বিপ্লব সফল হবে কি-না তা বলার সময় এখন পর্যন্ত আসেনি। তবে জাতিসংঘ মিসরে সেনাশাসকদের এই গণনির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ মৃদুকণ্ঠে সেনাশাসকদের অত্যাচার থেকে নিবৃত্ত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার লন্ডনের ডেইলি মেইল খবর দিয়েছে, কায়রোর তাহরির স্কয়ার জনতা ও সৈন্যবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ৩৫ হাজারের বেশি নরনারী সেনাবাহিনীর সঙ্গে আগের দিন যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। সেনাবাহিনীর হাতে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র আর বিক্ষোভকারীদের হাতে লাঠি, পাথর ও ইট। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এটা বাস্তবে গণযুদ্ধে পরিণত হয়েছে।
এটা তো গেল মিসরের কথা। পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা 'লিবারেটেড' লিবিয়ার অবস্থা কী? জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন লিবিয়ার অবস্থা সম্পর্কে যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে নাকি পশ্চিমা নেতারা, যারা গাদ্দাফিকে উৎখাতের জন্য সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন, বিশেষ করে ব্রিটেন বিব্রতবোধ করছেন। জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'ঞযড়ঁংধহফং ড়ভ ঢ়বড়ঢ়ষব রহপষঁফরহম ড়িসবহ ধহফ পযরষফৎবহ ধৎব নবরহম যবষফ রষষবমধষষু ধহফ ঃড়ৎঃঁৎবফ নু ৎবনবষং যিড় যবষঢ়বফ ড়ঁংঃ পড়ষড়হবষ এধফফভর, অৎড়ঁহফ ৭০০০ ধৎব নবযরহফ নধৎং রহ ঢ়ৎরাধঃব ঢ়ৎরংড়হ ধহফ রিঃযড়ঁঃ ধপপবংং ঃড় ধহু ষবমধষ ৎবফৎবংং. (হাজার হাজার মানুষ, শিশু ও নারীসহ জেলে বন্দি এবং অত্যাচারিত হচ্ছে। আইনের সাহায্য গ্রহণেরও কোনো সুযোগ তাদের নেই)।
গোটা লিবিয়াব্যাপী এই অরাজক অবস্থা বিরাজ করছে। চলছে নির্বিচার হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ। নতুন সরকারের নিয়ন্ত্রণ কোথাও নেই। বিদেশি ভাড়াটিয়া সৈন্যরা অবাধ লুণ্ঠন এবং পশ্চিমা তেল কোম্পানিগুলো নতুন সরকারের মাধ্যমে লিবিয়ার তেল সম্পদের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। মিসরীয় সাংবাদিক যথার্থই বলেছেন, শিয়ালের কবল থেকে মুক্ত হয়ে আরব দেশগুলোর কয়েকটিই আজ হিংস্র হায়েনার থাবার কবলে পড়েছে। মিসর বাঁচতে চাইছে। পারবে কি?
সন্দেহ নেই, যদি সিরিয়ায় তরুণ প্রেসিডেন্ট আসাদ (এখন তুরস্কও তাকে ক্ষমতা ছাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছে) পশ্চিমাদের শর্তে ক্ষমতা না ছাড়েন এবং গাদ্দাফির মতো তার পতন ঘটে, তাহলে গাদ্দাফির পরিণতিই তাকে বরণ করতে হবে। সিরিয়ার মানুষের ভাগ্যে যে 'লিবারেশন' আসবে মিসরে ও লিবিয়ায় তার নমুনা দেখে যদি তাদের চৈতন্য না ফেরে, তাহলে কে তা ফেরাবে? আর এই চৈতন্য ফিরবে কী করে? বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, সিরিয়ার গণবিক্ষোভেও পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের অনুচরদের ইনক্লিট্রেশন এখন ব্যাপক।
সিরিয়ার পর কি ইরান? পশ্চিমা বিশ্ব এখন অর্থনৈতিক মন্দায় বিপর্যস্ত। তবু মন্দা রোধে যুদ্ধ। এই থিওরি থেকে তারা নতুন অ্যাডভেঞ্চারে আরও হিংস্রভাবে নামবে কি?

লন্ডন, ২৫ নভেম্বর ২০১১, শুক্রবার

No comments

Powered by Blogger.