প্রথম ওয়ানডে-বৃষ্টিভেজা জয়ে শুরু অস্ট্রেলিয়ার

য়ানডেতে ম্যান অব দ্য সিরিজ হবে পন্টিং আর টেস্টে করবে সবচেয়ে বেশি রান'_দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামার আগে বলেছিলেন মাইকেল ক্লার্ক। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক হবে কি না জানা যাবে কিছুদিন পর, তবে পন্টিংয়ের শুরুটা দুর্দান্তই হলো। পরশু সেঞ্চুরিয়ানে বৃষ্টিবিঘি্নত প্রথম ওয়ানডেতে পন্টিংয়ের ৭৭ বলে ৬৩ রানে ভর করে ২৯ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৩ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৯ ওভারে করতে হতো ২২৩। কিন্তু ২২ ওভারে মাত্র ১২৯ রানে অল আউট হয়ে ৯৩ রানে হেরে গেছে তারা।


ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে পন্টিং কৃতজ্ঞতা জানালেন ক্লার্কের প্রতি, 'এ ধরনের অনুমানের জন্য ক্লার্ককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, অধিনায়কের চাওয়া পূরণ করার চেষ্টা করে যাব আমি। এটা আমার অন্যতম সেরা ইনিংস না হলেও ভালো লাগছে এই কন্ডিশনে ক্রিজে বেশ বিছুক্ষণ কাটাতে পেরে।'
শেন ওয়াটসনের চোটের কারণে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেন করেছিলেন পন্টিং। বৃষ্টিস্নাত স্যাঁতসেঁতে কন্ডিশনে তৃতীয় ওভারেই ডেল স্টেইন বোল্ড করেন ওয়ার্নারকে (১৭ বলে ২০)। এরপর পন্টিং-ক্লার্ক মিলে গড়ছিলেন ইনিংসটা। তবে ১৯ ওভারে ১ উইকেটে ৯৬ রানের সময় ঝড়ো বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। আকাশের মন ভালো হতে হতে কেটে যায় ৪ ঘণ্টার বেশি। যে কারণে ম্যাচ নেমে আসে ২৯ ওভারে আর অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় আর ১০ ওভার। এই ১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া যোগ করে ৮৭ রান। ম্যাচ বন্ধের সময় ৫৫ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকা পন্টিং ২৭তম ওভারে স্টেইনের বলে বোথাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে আরো ২২ বল খেলে তুলে নিয়েছেন ২৩ রান। সব মিলিয়ে তাঁর ৬৩ রানের ইনিংসটা সাজানো ছিল ৯টি বাউন্ডারিতে। এ ছাড়া ক্লার্ক ৪৮ বলে ৪৪, মাইকেল হাসি ২১ বলে অপরাজিত ৩০ আর মিচেল মার্শ ৫ বলে করেছিলেন ৮ রান।
জবাব দিতে নেমে ডগ বলিঞ্জারের করা প্রথম ওভারেই এলবিডাবি্লউর শিকার হন গ্রায়েম স্মিথ। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখাচ্ছিল বলটা যেত স্টাম্পের ওপর দিয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে জ্যাক ক্যালিস (১৫ বলে ১৫) ও অধিনায়ক হাশিম আমলা (৩২ বলে ২৪) ৩৬ রানের জুটি গড়ে কাটিয়ে উঠেছিলেন প্রাথমিক ধাক্কাটা। কিন্তু ওয়ানডেতে অভিষিক্ত পেসার প্যাট কামিন্স অষ্টম ওভারে ক্যালিস আর ডুমিনিকে ফিরিয়ে চাপে ফেলে দেন প্রোটিয়াদের। এই চাপটাই আর কাটাতে না পেরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানে গুটিয়ে যায় তারা। অথচ তখনো ম্যাচের বাকি ৭ ওভার! অল্প বয়সে টেস্ট দলে ডাক পেয়ে হৈচৈ ফেলে দেওয়া কামিন্স ৩ উইকেট নিয়ে প্রমাণ করেছেন নিজের সামর্থ্য। আর মিচেল জনসন ৩ উইকেট নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন নিজেকে ফিরে পাওয়ার। ওয়েবসাইট
অস্ট্রেলিয়া : ২৯ ওভারে ১৮৩/৪ (পন্টিং ৬৩, ক্লার্ক ৪৪, হাসি ৩০*; স্টেইন ২/৪৮, ক্যালিস ১/৩৫)
দক্ষিণ আফ্রিকা : ২২ ওভারে ১২৯/১০ (দু প্লেসিস ২৭, বোথা ২৫, আমলা ২৪; কামিন্স ৩/২৮, জনসন ৩/২০)
ফল : অস্ট্রেলিয়া ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৯৩ রানে জয়ী ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রিকি পন্টিং

No comments

Powered by Blogger.