গাদ্দাফির স্ত্রী ও সন্তানেরা

লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি গতকাল বৃহস্পতিবার নিহত হলেও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা স্পষ্ট নয়। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমগুলোতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তাঁদের অবস্থা তুলে ধরা হলো:
ফাতিহা: গাদ্দাফির প্রথম স্ত্রী ফাতিহা ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষিকা। এই স্ত্রীর ঘরে একমাত্র সন্তান মোহাম্মদ। লিবিয়ার অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট ও একটি টেলিযোগাযোগ কোম্পানিরও প্রধান ছিলেন তিনি।
সাফিয়া: গাদ্দাফির দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম সাফিয়া। বিদ্রোহীরা ত্রিপোলি দখল করার পর আলজেরিয়ায় পালিয়ে যান সাফিয়া। তাঁদের ঘরে হয় ছয় ছেলে ও এক মেয়ে। এ ছাড়া তাঁরা মিলাদ ও হান্না নামের দুই ছেলেমেয়েকে দত্তক নেন। ১৯৮৬ সালে হান্না খুন হন।
সাইফ আল ইসলাম: গাদ্দাফির দ্বিতীয় ছেলে সাইফ আল ইসলামকে লিবিয়ার ভবিষ্যৎ উত্তরসূরি হিসেবে ভাবা হতো। ত্রিপোলির পতনের পরপরই এনটিসি দাবি করেছিল, সাইফকে তারা আটক করেছে। তবে এ দাবির কয়েক ঘণ্টা পরই সাইফ জনসমক্ষে আসেন।
সাদি: ত্রিপোলির পতনের পর গত সেপ্টেম্বরে সাদি গাদ্দাফি প্রতিবেশী দেশ নাইজারে পালিয়ে যান।
মুতাসিম: এনটিসির অভিযানে সিরতে শহরেই মুতাসিম নিহত হন বলে দাবি করা হয়েছে।
হান্নিবেল: হান্নিবেল গাদ্দাফির বিরুদ্ধে অনেক সহিংস ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। ২০০৮ সালে জেনেভার একটি হোটেলে দুই কর্মীকে পেটানোর অভিযোগে তিনি স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনিও পলাতক।
সাইফ আল আরব: গত ৩০ এপ্রিল ত্রিপোলিতে ন্যাটোর বিমান হামলায় গাদ্দাফির আরেক ছেলে সাইল আল আরব ও গাদ্দাফির তিন নাতি নিহত হন।
খামিস: লিবিয়ার সেনাবাহিনীতে মুয়াম্মার গাদ্দাফির অন্যতম প্রতাপশালী ছেলে হিসেবে খামিস পরিচিত ছিলেন। খামিস নিহত হয়েছেন বলে একাধিকবার এনটিসি দাবি করলেও নিরপেক্ষ সূত্র থেকে যাচাই করা যায়নি।
আয়শা আল গাদ্দাফি: গাদ্দাফির মেয়ে আয়শা গাদ্দাফি জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করেছেন। ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে রক্ষার আন্তর্জাতিক আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। গত আগস্টে আয়শা আলজেরিয়া পালিয়ে যান।
মিলাদ: পালিত ছেলে মিলাদ ১৯৮৬ সালে লিবিয়ায় মার্কিন বোমা হামলা থেকে গাদ্দাফিকে রক্ষা করেন।

No comments

Powered by Blogger.