রাজশাহীর বিনিয়োগকারীরা আশাবাদী, তবে শঙ্কামুক্ত নন

টানা পতনের পর শেয়ারবাজার আবার ঘুরে দাঁড়ানোয় রাজশাহীর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা শঙ্কা কেটে স্বস্তি ফিরেছে। তবে তাঁরা এখনো পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত না হয়ে সামনের বাজার নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে আগের দিনের তুলনায় প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকার লেনদেন বেশি হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল ডিএসই ও সিএসইতে সূচক ও অধিকাংশ শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজশাহীর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে টানা পতন আতঙ্ক কিছুটা কেটেছে। তাঁরা বাজারের আরো উন্নতি প্রত্যাশা করছেন। গতকাল রাজশাহীর ব্রোকারেজ হাউসগুলোয় সকাল থেকেই লেনদেনে বেশ চাঙ্গা ভাব বিরাজ করছিল।


সকালে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দিয়ে শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বাজারে তেজি ভাব লক্ষ করা যায়। শেষ পর্যন্ত সূচকের ২৮৬ পয়েন্ট উন্নতি দিয়ে লেনদেন শেষ হয়। এতে রাজশাহীর বিনিয়োগকারীরা আশার আলো দেখছেন। আগের দিনের তুলনায় লেনদেনও বেড়েছে।
নানামুখী পদক্ষেপের খবরে গতকাল সকালে মার্কেট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অধিকাংশ শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বগতি ও লেনদেনের চাঙ্গা ভাব যেন বিনিয়োগকারীদের আগের দিনের মলিনতা মুহূর্তের মধ্যে উড়িয়ে দেয়। লেনদেনে শেষ পর্যন্ত সে ভাব অব্যাহত ছিল। রাজশাহীর বিনিয়োগকারীরা বাজারের আরো উন্নতির আশা প্রকাশ করছেন।
এদিকে গতকাল রাজশাহীর ব্রোকারেজ হাউসে ব্যাংকের শেয়ারের দাপট ছিল। এতে রাজশাহীর বিনিয়োগকারীদের ব্যাংকের শেয়ার বেশি লেনদেন করতে দেখা গেছে। সারা দিনে বাজারে মৌলভিত্তির শেয়ার বেশি কেনা-বেচা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিনিয়োগকারী মোশারফ হোসেন বলেন, 'বাজার ঘুরে দাঁড়ানোয় আমরা খুশি, তবে বাজারের আচরণে সবার মাঝে এখনো একধরনের আতঙ্ক কাজ করছে। এক দিন পতন পরদিন উত্থান_এটাকে স্থিতিশীল বাজার বলা যাবে না।'
রাজশাহীর আইসিবি কর্মকর্তারা জানান, শেয়ারবাজার ওঠা-নামার মধ্যেই এগিয়ে যাবে_এটাই স্বাভাবিক। তাঁরা আশা করছেন, সামনে বাজার ভালোই থাকবে। তাঁরা বিনিয়োগকারীদের সতর্কতার সঙ্গে মৌলভিত্তির শেয়ারে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

No comments

Powered by Blogger.