প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ-উল্লাস

গন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী গতকাল বৃহস্পতিবার বর্ণাঢ্য আয়োজন আর আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পাশাপাশি বর্ণিল সাজে সেজেছিল পুরো ক্যাম্পাস।গত বুধবার রাতেই বিজলি বাতির রঙিন আলোয় ঢেকে গিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সকাল ৯টার আগেই গোলাপ, গাঁদা ফুল ও রঙিন বেলুনে শোভিত হয়ে ক্যাম্পাসে আসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বাস। আসেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তখন সবাই একসঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন।


ছেলেদের কেউ পরেন পায়জামা-পাঞ্জাবি, ফতুয়া, কেউ বা প্যান্ট-শার্ট-টাই আর মেয়েদের বেশির ভাগেরই পরনে ছিল শাড়ি এবং মাথায় বেলি ফুলের মালা।সকাল ৯টায় জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন এবং আকাশে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য
মোস্তফা জালাল মহীউদ্দিন। পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বের হয় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক, জজকোর্ট, রায়সাহেব বাজার মোড় ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় রং-বেরঙের মুখোশ, ফেস্টুন, ঢোল-তবলা নিয়ে ব্যান্ডপার্টির বাজনার সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকেই নেচে চলেন। শিক্ষার্থীদের অনেকের হাতে ছিল কান ফাটানো শব্দের ভুভুজেলা বাঁশিও। এ সময় পুরান ঢাকার স্থানীয় অনেকেই অংশ নেয় শোভাযাত্রায়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোভার স্কাউট গ্রুপ স্কাউটিং কার্যক্রমের প্রদর্শনীর আয়োজন করে। উদীচী করে বিশেষ লাঠিখেলার আয়োজন। বিনা মূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি পালন করে বাঁধন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসংক্রান্ত আইনের ২৭(৪) ধারাটি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ায় এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অন্যরকম তাৎপর্য পায়। ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.