রাজেমের সম্পত্তি ক্রোক-অতিরিক্ত দেড় লাখ টাকা করে দিতে হচ্ছে হজযাত্রীদের

পাবনার চাঞ্চল্যকর সেলিম হত্যাকাণ্ডের পর বিপাকে পড়া ভুক্তভোগী হাজিদের প্রত্যেককে অতিরিক্ত দেড় লাখ টাকা করে জমা দিতে হচ্ছে। এ টাকা যাঁরা জমা দিতে পারবেন না, তাদের হজে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না বলে ট্রাভেল এজেন্সি থেকে জানিয়ে দেওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার অনেকেই বাধ্য হয়ে টাকা পরিশোধ করতে শুরু করেন। এদিকে আদালতের নির্দেশে পাবনা থানা পুলিশ গতকাল সেলিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাজেমউদ্দিনের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করেছে।


গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখা ও আটঘরিয়া শাখার মাধ্যমে প্রায় ২০ জন হজযাত্রী প্রত্যেকে এক লাখ ১১ হাজার করে টাকা জমা দেন। আলাপকালে আটঘরিয়া ধলেশ্বর গ্রামের শাহজাহান আলী, বেরুয়ান গ্রামের আবদুর রশিদ, পাবনা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের রফিকুল ইসলামসহ অন্যরা জানান, দুর্ভোগের কথা জানিয়ে তাঁরা বারবার ট্রাভেল এজেন্সি বরিশাল ট্রাভেলস অ্যান্ড টুরসকে সহযোগিতা করার আবেদন জানান। কিন্তু ন্যুনতম সহযোগিতা পাননি তাঁরা। ট্রাভেল এজেন্সি থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিমানের টিকিট বাবদ এক লাখ ১১ হাজার টাকার সঙ্গে কোরবানি, খাওয়া ও আনুষঙ্গিক খরচ জমা না দিলে তাদের পক্ষে হজযাত্রীদের নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগী এসব হজযাত্রী আটঘরিয়া উপজেলার আবদুল মজিদ সেলিমের কাছে টাকা জমা দেন। সেলিম তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনার রাজেমের সঙ্গে হজযাত্রীদের টাকা নিয়ে রবিবার ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন সোমবার সকালে পুলিশ সেলিমের লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে সেলিমের ব্যবসায়িক পার্টনার রাজেম পলাতক রয়েছেন।
এদিকে আদালতের নির্দেশে পুলিশ গত সোমবার বিকেলে সেলিমের নবাড়ী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সব মালামাল ক্রোক করে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বদরুদ্দোজা কালের কণ্ঠকে জানান, গত বুধবার আমলি আদালত এক রাজেমের সব অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ গতকাল বিকেলে শহরের কালাচাঁদপাড়া মহল্লার বাড়ি ও আবদুল হামিদ রোডে অবস্থিত রাজেমের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রায়হান এন্টারপ্রাইজের সব মালামাল জব্দ করে নিয়ে আসে।

No comments

Powered by Blogger.