কামারুজ্জামানের ফাঁসি বহাল

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন, বিচারপতি মো.আব্দুল ওয়াহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।এটি আপিল বিভাগের তৃতিয় রায়। এর আগে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে ফাঁসির রায় দিয়েছিলো আপিল বিভাগ। আর জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসির দণ্ড থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয় আপিল বিভাগের রায়ে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর একই বেঞ্চে শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়। এর আগে এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ড দিলে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলর করেন কামারুজ্জামান। ২০১৩ সালের ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা,  অপহরণ, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন, লুটপাটসহ প্রসিকিউশনের আনা সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া বাকি দুটি অভিযোগ প্রমাণ হয়নি মর্মে তাকে খালাস দেয়া হয়। পরে ২০১৩ সালের ৬ জুন ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির আদেশ থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা। আপিলে ২ হাজার ৫৬৪টি মূল ডকুমেন্ট, ১২৪টি গ্রাউন্ডসহ সর্বমোট ১০৫ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট জমা দেয়া হয়। কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের বছরের ৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল-১। পরে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৬ এপ্রিল মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ট্রাইব্যুনালে-২ স্থানান্তর করা হয়। আর ৪ জুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১০ সালের ১৩ জুলাই মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ওই বছরের ২ আগস্ট তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায়।

No comments

Powered by Blogger.