পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণে দরপত্র আহ্বান মন্ত্রী সভায় অনুমোদন

 তিন হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে তিন শ' মেগাওয়াট বিদু্যত উৎপাদনে পিকিং পাওয়ার পস্ন্যান্ট স্থাপনে দরপত্র আহ্বানের অনুমোদন দিয়েছে সরকারের ক্রয় সংক্রানত্ম মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার ক্রয় কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। ওই বৈঠকে মালদ্বীপ থেকে এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি, বিজেএমসি থেকে এক কোটি ৯৯ লাখ পিস পাটের বসত্মা ক্রয় ও পলস্নী বিদু্যত বিতরণের জন্য ২ লাখ পিস সিঙ্গেল ফেজ মিটার কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভা শেষে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, বিদু্যত পস্ন্যান্ট দরপত্র একনেক বৈঠকে অনুমোদন সাপে েকার্যাদেশ দেয়া হবে। চলতি বাজেটে পুরো কাজ শেষ হবে না। আগামী বাজেটেও এর কাজ চলবে।
বৈঠকে সরকার টু সরকারের মাধ্যমে ৪৯৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল মালদ্বীপ থেকে আমদানির সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়। দাম পড়বে প্রতি ব্যারেল ৩ দশমিক ৯০ মার্কিন ডলার। একই সঙ্গে মালদ্বীপ ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির আওতায় ১৩১ কোটি ৮৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ব্যয়ে এক কোটি ৯৯ লাখ পিস বসত্মা কেনার সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়।
ক্রয় সংক্রানত্ম মন্ত্রিসভা বৈঠকে সরকারী খাতে ৮৩০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার পস্ন্যান্ট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুরে ৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার পস্ন্যান্ট, দোহাজারীতে এক শ' মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার পস্ন্যান্ট, হাটহাজারীতে এক শ' মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার পস্ন্যান্ট, দাউদকান্দিতে ৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার পস্ন্যান্ট ও বাঘাবাড়িতে ৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার পস্ন্যান্টের মূল্যায়িত দরপত্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এ জন্য ফরিদপুর পাওয়ার পস্ন্যান্টের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, দোহাজারীর পস্ন্যান্টের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, হাটহাজারী পস্ন্যান্টের নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে ৯০৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, দাউদকান্দি পিকিং পাওয়ার পস্ন্যান্টের নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে ৫৭৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ও বাঘাবাড়ি পস্ন্যান্টের নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে ৫০২ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
এছাড়া পলস্নী বিদু্যত সমিতির বিতরণ ব্যবস্থায় ১০ লাখ গ্রাহক সংযোগ বৃদ্ধির ল্যে এক লাখ সিঙ্গেল ফেজ মিটার ক্রয় প্রসত্মাবের ভূতাপে অনুমোদনের বিপরীতে দুই লাখ সিঙ্গেল ফেজ মিটার ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
তবে ৫০ কোটি টাকার নিচে থাকায় পলস্নী বিদু্যত বিতরণ ব্যবস্থায় দশ লাখ গ্রাহক সংযোগ বৃদ্ধি প্রকল্পের বিপরীতে প্যাকেজ নং ১০ লাখ ১৬ এসপিসি পোল ক্রয়ের প্রসত্মাব ফেরত দেয়া হয়েছে। ওই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
ক্রয় সংক্রানত্ম মন্ত্রিসভা বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনা মন্ত্রী এয়ার ভাইস মাশর্াল (অব) এ কে খন্দকার, বাণিজ্যমন্ত্রী ফারম্নক খান, খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও বিদু্যত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.