সাংবাদিক মাহবুবুল হক পেয়ারা by মনজুর তাজিম

প্রবীণ সাংবাদিক ও কিংবদন্তি ক্রীড়া সংগঠক মাহবুবুল হক পেয়ারার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০০ সালের এই দিনে ৭৪ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। সংগঠক মাহবুবুল হক পেয়ারা সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নিলেও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ফেনীর ক্রীড়াঙ্গনে বিচরণ করেছেন আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে।


তিনি ছিলেন ফেনী মহকুমার ক্রীড়া সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। ১৯৭৩ সাল থেকে জীবনের শেষমুহূর্ত পর্যন্ত ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের ফেনী জেলা সংবাদদাতা। তিনি কিছুদিন অবজারভার পত্রিকায় কাজ করেছিলেন। মাহবুবুল হক পেয়ারার নেতৃত্বে ফেনী জেলা ফুটবল দল ১৯৮৪ সালে শেরেবাংলা কাপ জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় রানার্স আপ, ১৯৯২ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ সোহরাওয়ার্দী কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন এবং অনূর্ধ্বর্-১৪ মা-মণি ফুটবল প্রতিযোগিতায় রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। তিনি বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। এভারগ্রিন ক্লাব, প্লেয়ার্স ইউনিয়ন ক্লাব ও কচি-কাঁচার আসরের প্রতিষ্ঠাতা মাহবুবুল হক পেয়ারা রেডক্রস, শিল্পকলা একাডেমী, বাস মালিক সমিতি, রোটারি ক্লাব, ফেনী পৌরসভা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, নোয়াখালী জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ফেনী কলেজ, আলিয়া মাদ্রাসা, পাইলট হাই স্কুল, ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি সমাজসেবী হিসেবে ১৯৭৬ সালে শতবর্ষের ফেনী স্বর্ণপদক, ১৯৯১ সালে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার লাভ করেন। ক্রীড়া প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে তিনি তুরস্ক সফর করেন। কেএম হাটে সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।
ফেনীর সমকালীন সাংবাদিকতায় মাহবুবুল হক পেয়ারা ছিলেন একনিষ্ঠ, আপসহীন এবং প্রখর ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি একটানা ফেনী প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। এরপর ১৯৯১ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর প্রেস ক্লাবের নির্বাহী কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। এ ছাড়া আমৃত্যু বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি ফেনী শাখার সভাপতি ছিলেন। ফেনীর ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ফেনীবাসীর দাবি, ফেনী সুইমিং পুলটির নামকরণ মাহবুবুল হক পেয়ারার নামে করা হোক।

No comments

Powered by Blogger.