তা বলে কি প্রেম দেব না

‘কব তক ইস প্যাসি জমিন পর বারিষ কি এক বুঁদ তক নেহি গিরি’... আর তুফান আসার সম্ভাবনাও তো কোত্থাও দেখা যাচ্ছে না- সাফ সাফ ঝেড়ে কাশছেন কলকাতার মেয়ে বিপাশা বসু!

সে কী? এমন বিনা মেঘে বজ্রপাত কেন? আসলে বন্ধ মনের দুয়ার খুলে দিয়েছেন নায়িকা। আর তাতেই দ্যাখ না দ্যাখ- বেঁধে গিয়েছে ধুন্ধুমার কাণ্ড! তা, কী এমন উগরেছেন কন্যে মিডিয়ার সামনে? আর, এতদিন তার মনের দুয়ার বন্ধ ছিলই বা কেন? সরাসরি বরং পড়ে নেয়া যাক বিপাশার জবানিতেই।
সন্দেহের আর কোনো জায়গাই নেই; এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন বিপস্-এর প্রাক্তন সহচর জন আব্রাহাম। একসময় যার সঙ্গে তার ‘আদর আলপিন’ খেলা, সেজন-ই যখন ‘সকাল ঘুম’ কেড়ে নিয়ে চলে যায়, তখন কি কিছু বলার থাকে? নাকি বলতে ইচ্ছে করে? ‘যে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার জন্য আমি জীবনে সবচেয়ে বেশি চেষ্টা করেছিলাম, সেটাই যখন রাতারাতি উবে গেল-আমি পুরোপুরি একটা খোলসের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলাম। একটানা ন’টা বছর ধরে যে মানুষটা সব সময় আমার পাশে থেকেছে, আমাকে দুর্দিনে ভরসা দিয়েছে, সে চলে যাওয়ার পর আমার নিজেকে ভীষণভাবে একা মনে হয়েছিল। ঠিক একাও নয়, একঘরে বা পরিত্যক্ত বললেই ভাল হয়। এর চেয়ে বেশি কষ্টের আর কিছুই নেই; এক চূড়ান্ত একাকিত্ব ছাড়া আমার আর সেই সময় সম্বল বলতে কিছুই ছিল না’, জানাচ্ছেন নায়িকা।

বেশ বোঝা যাচ্ছে, জীবন নায়িকাকে শিখিয়ে দিয়েছে অনেক কিছু! ভালোবাসা যে আধা বিষ আর সুধা- তাও তিনি বুঝেছেন ভালমতোই। তাহলে কি এবার থেকে ‘আমার পাশে এই তো আমি দুজনের সফর’? একসময় বিপাশা-ই তো বলেছিলেন, ‘বিইং সিঙ্গল ইজ গ্রেট’! ‘না না, তা কেন হতে যাবে’, হাসতে হাসতে কবুল করলেন নায়িকা। থেমে যাওয়া মানে তো পিছিয়ে যাওয়া! তাছাড়া হেরে একঘরে মুখ লুকিয়ে থাকার মেয়ে আর যেই হন, বিপস্ নন। অনেক রক্ত ঝরিয়ে তাই আবার তিনি দু’হাতে জড়িয়ে ধরেছেন জীবন।

এবার কি তাহলে বিপস্ শুরু করেছেন তার মনের মানুষের খোঁজ? করলে, কেমন পুরুষ চাইছেন তিনি? ‘সত্যি কথা কী, এইসব নিয়ে কোনো দিন কোনো প্রোটোটাইপ চিন্তাভাবনা আমার মাথাতেই ছিল না। জীবন যা দিয়েছিল, তাকেই স্বাগত জানিয়েছি। তবে ধাক্কা খেতে খেতে এবার অনেকটা বুঝদার হয়েছি। এখন তাই পছন্দের পুরুষ এক্কেবারে ফর্মুলামাফিক বাছবো’, অকপটে জানালেন বিপাশা।

তো, কেমন হবে সেই পুরুষ? ‘তাকে যথেষ্ট বুদ্ধিদীপ্ত হতে হবে। প্রতিটা মুহূর্তে তার যেন আমায় খুশি রাখার ক্ষমতা থাকে। আর হ্যাঁ, তাকে আমার মতোই কাজের দিক থেকে সমানে সমানে সফল হতে হবে’, কোনো কিছুই আর লুকানোর প্রয়োজন বোধ করছেন না বিপস্। সমানে সমানে না হলে যে কোনো সম্পর্কই টেঁকে না, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি তার জবানিতেই।

‘তবে হ্যাঁ, আমি কিন্তু হন্যে হয়ে এমনতর মনের মানুষ খুঁজে ফিরছি না। আমি জানি, খুঁজলে এমন হাজার হাজার পুরুষ পাওয়া যাবে! কিন্তু আমি খুঁজছি না। আসলে বোধহয় ইচ্ছেও করছে না’, বিপাশা উবাচ!

এরপরে আর কীই বা বলার থাকতে পারে? বিপস্ এখন জীবনের লাগাম টেনে ধরেছেন শক্ত করে; এবার অন্যকে খুশি না রেখে তার নিজের খুশি থাকার পালা! তাছাড়া চারপাশে সব্বাই তো বলছেই, ‘পরবানে শম্মা জ্বালায়ে, ফাঁস যায়ে না বিপাশা’...। সূত্র: জিনিউজ।

No comments

Powered by Blogger.