ফিরে দেখা

পোশাক পছন্দের প্রতিযোগিতা শরীফুল ইসলাম ॥ ৬ আগস্ট বেলা ১১টা। গুলশান আড়ংয়ের শোরুমে ঈদের পোশাক কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। এক ক্রেতা একটি শার্ট পছন্দ করে রেখে আরেকটি শার্ট দেখতে যায়। এমন সময় আরেকজন ক্রেতা দূর থেকে এসে ছোঁ মেরে সেই শার্টটি ক্যাশ কাউন্টারে নিয়ে মূল্য পরিশোধ করে নিয়ে নেয়।


এর ফলে আগে পছন্দ করা ক্রেতা শার্টটি কিনতে ব্যর্থ হয়। আড়ংয়ের সেই শোরুমটিতে অন্যান্য পোশাক ক্রয়ের ক্ষেত্রেও ক্রেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। এভাবে প্রতিযোগিতা করে একটি শার্ট কেনার পর ক্রেতার সঙ্গে থাকা অন্যরা বিষয়টি নিয়ে হাসাহাসিতে লিপ্ত হয়। আড়ংয়ের বিক্রয়কর্মীরা জানান, ঈদের কেনাকাটায় এভাবেই ক্রেতাদের মধ্যে পোশাক পছন্দের প্রতিযোগিতা চলতে থাকে।

এই বাঁক সোজা হওয়া দরকার!
রশিদ মামুন ॥ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক সোজা করার কাজ চলছে। অনেক দিন থেকেই এসব ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক সোজা করার কথা বলা হচ্ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহল তা গুরুত্বই দিচ্ছে না। বরং আমাদের দেশের প্রকৌশলীরা বলে আসছিলেন মহাসড়কে এমন বাঁক থাকাই ভাল। এতে কম দুর্ঘটনা ঘটে। মানিকগঞ্জে এক সড়ক দুর্ঘটনায় জাতির অমূল্য সম্পদ চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ এবং সাংবাদিক মিশুক মুনীর নিহত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট মহলের কানে পানি ঢোকে। আর তারপর এ বাঁকগুলো সোজা করার উদ্যোগ নেয়া হয়। তারেক-মিশুকের আগেও বহু মানুষ এ বাঁকে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। এখন রাস্তার মাঝখানে ডিভাইডার বসিয়ে রাস্তা দু’পাশে চওড়া করা হচ্ছে। স্বাভাবিক রাস্তার চেয়ে বাঁকের কাছে এসে রাস্তা দ্বিগুণ চওড়া করতে হচ্ছে। সম্প্রতি খুলনা থেকে ঢাকা ফেরার পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এমন বাঁক সোজা করার চিত্র দেখে মনে হয়েছে তারেক-মিশুকের জীবন দিয়েই বলে যেতে হলো এ বাঁক সোজা হওয়া দরকার। এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ।

মাইক্রোফোন বিড়ম্বনা
তৌহিদুর রহমান ॥ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিদিনই বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন করে থাকে। সাংবাদিকরা এসব অনুষ্ঠান কাভার করেন। তবে সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি অনুষ্ঠান কাভার করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন অনেক সাংবাদিক। সেদিন ছিল শুক্রবার। দেখা যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সঙ্গে সাতটি সংগঠন মানববন্ধনের আয়োজন করেছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পাঁচটি আর রাস্তার বিপরীত দিকে আরও দুটি সংগঠন মানববন্ধন করছে। ছুটির দিনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচী বেশি থাকে। তবে এত সংগঠন সাধারণত দেখা যায় না। মানববন্ধনে বক্তারা মাইক্রোফোনে বক্তব্য রাখছেন। সাতটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি হওয়ার কারণে উপস্থিত সাংবাদিকরা কিছুই শুনতে পারলেন না। মানববন্ধন শেষে আয়োজকদের কাছ থেকে অনেককে নতুন করে আবার বক্তব্যের নোট নিতে হলো। উপস্থিত সাংবাদিকদের অনেকেই মন্তব্য করলেন, দেশে মানুষ বেড়েছে তাই সংগঠনও বেড়েছে।

No comments

Powered by Blogger.