আর ভিক্ষা নয়, নিজের পায়ে দাঁড়াব ॥ শেখ হাসিনা-ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু নির্মাণে ফান্ড গঠনে ভূমিকা রাখার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। দাতাগোষ্ঠীর ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আবারও স্বনির্ভর হওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে তিনি বলেনÑ আর ভিক্ষা চাওয়া নয়, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াব। আমরা কেবিনেটে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নিজেরাই পদ্মা সেতু করব।


কোন দাতাগোষ্ঠী এলে ভাল, তবে আর কারও কাছে ধর্ণা দেব না। আমরা আর মানুষের কাছে হাত পাতা বা সবক শুনতে চাই না, নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে চাই। মঙ্গলবার ঢাকায় শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতি আর্থিক বছরের শুরুতেই বাজেট বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ডিজাইন ঠিক রেখে সেবামূলক উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দেন জেলা প্রশাসকদের। সম্মেলনে জেলা প্রশাসকরা অপরাধ আমলে নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ক্ষমতা বৃদ্ধির তাগিদ দেন। একই সঙ্গে ডিসিরা তাদের কর্মকা- পরিচালনায় পুলিশ প্রশাসনের অসহযোগিতার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রীকে।
সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নীতিনির্ধারকরা। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্যে ও সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে মতবিনিময় ও মুক্ত আলোচনায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান এবং জেলা প্রশাসকদের পক্ষে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুসাম্মত নাজমান আরা খানম, দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক জামালউদ্দিন আহমেদ ও ঢাকার জেলা প্রশাসক মুহিবুল হক বক্তব্য রাখেন। মধ্যাহ্নভোজ শেষে জেলা প্রশাসকরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে মন্ত্রণালয় ও বিভাগভিত্তিক কার্য অধিবেশনে যোগ দেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকরা রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে বঙ্গভবনে যাবেন। এ সময় রাষ্ট্রপতিও ডিসিদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন। পরে ডিসিরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। তিন দিনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টারা আরও ১৯টি অধিবেশনে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন।
নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূলত জেলা প্রশাসকদের আন্তরিকতা ও কর্মদক্ষতার ওপরই জেলার উন্নয়ন নির্ভরশীল। এ প্রসঙ্গে তিনি স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে আমলাদের দক্ষতা ও আন্তরিকতার কথা উল্লেখ করে বলেন, তাঁদের কর্মদক্ষতার জন্য বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। এ লক্ষ্য অর্জনে টাকার জন্য আমরা কারও কাছে হাত পাততে চাই না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। এ লক্ষ্য অর্জনে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর দল নিজেদের নয়, জনগণের ভাগ্য গড়তে ক্ষমতায় এসেছে। এ লক্ষ্যে তাঁর সরকার দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও ষষ্ঠ-পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আমাদের বেতন-ভাতা ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগের জন্য সম্পদের যোগান দেয়, সেই জনগণের সার্বিক কল্যাণে আপনারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন বলে আমি আশাবাদী। আমাদের সরকার গ্রামীণ অর্থনীতি জোরদারে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিটি অঞ্চলেরই নিজস্ব সম্পদ রয়েছে। একে কাজে লাগাতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ, নারী ও শিশু পাচার এবং মাদকসহ সকল সামাজিক ঝুঁকির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকদের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়ে বলেন, যুবকরা যাতে বিপথগামী না হয় সে লক্ষ্যে প্রতিটি জেলায় খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের প্রসার ঘটাতে হবে। তিনি প্রতিটি উপজেলায় পরিকল্পিতভাবে আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার এবং ঝরে পড়া রোধে প্রতিটি স্কুলে স্থানীয়ভাবে দুপুরের আহারের ব্যবস্থা করার ওপর জোর দেন।
গ্রামের মানুষ যাতে তাদের সামাজিক ও পারিবারিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অতি দরিদ্র্যদের আবাসন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ‘আশ্রায়ণ প্রকল্প’, ‘ঘরে ফেরা প্রকল্প’ ও ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের ব্যাপারে আপনাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। ভূমি রেকর্ড ডিজিটালাইজেশনে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভূমির সঠিক রেকর্ড হওয়া জরুরী, যাতে প্রকৃত মালিকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত অথবা হয়রানির শিকার না হয়। শেখ হাসিনা এ সময় অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন কার্যকর করে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান এবং প্রকৃত মালিকের কাছে সম্পত্তি হস্তান্তরের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেন।
দেশে ৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনে তাঁর সরকারের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের ওইসব অঞ্চলে ক্ষুদ্র এবং খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যুবকরা ওইসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন করতে পারবে এবং এ জন্য তারা কর্মসংস্থান ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়া ঋণ পাবে। তিনি জেলা প্রশাসকদের ব্যবসা শুরু এবং স্বকর্মসংস্থানে ঋণ সুবিধার বিষয়ে যুবক, মহিলা ও কৃষকদের অবহিত করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার চাহিদা, জনসংখ্যা ও সম্পদের ভিত্তিতে এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগ গ্রামীণ অর্থনীতিকে জোরদার করবে। তিনি বলেন, গ্রামের মানুষকে গ্রামে বসবাসে উৎসাহিত করতে পল্লী এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদেরকে গ্রামের মানুষের শহরমুখী স্রোত বন্ধ করতে হবে। কেননা শহরের বস্তির পরিবেশ তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার খাদ্য নিরাপত্তা এবং সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে গত তিন বছর আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। এতে গত তিন বছর খাদ্যের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে প্রতি বছর বাম্পার ফলন নাও হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে বর্ষা মৌসুমে সম্ভাব্য যে কোন বন্যা সম্পর্কে জেলা প্রশাসকদের সজাগ থাকতে হবে। গ্রামীণ এলাকায় সৌর বিদ্যুত প্যানেল সরবরাহে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে বাড়িঘরে সৌর জ্বালানির ব্যবহারে গ্রামবাসীদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া অনুষ্ঠানে জানান, এবারের সম্মেলনে ৩৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য ৪৭০টি প্রস্তাব ডিসিদের পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় সুপারিশও করেছেন তাঁরা। যেসব বিষয়ে আলোচনা হবে তার মধ্যে রয়েছে ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচী, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচী, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার, প্রবাসী পরিবারের সদস্যদের সেবা, ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন, বিদ্যুত ও জ্বালানি ব্যবস্থাপনা, সার ও কৃষি উপকরণ বিতরণ ও স্বাস্থ্যসেবা খাত।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সিদ্ধান্ত হয়Ñ সকল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং জেলা পরিষদে কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষক, ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রে উদ্যোক্তাদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য দুটি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হবে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ল্যাব স্থাপনের জন্য এটুআই কর্মসূচী এবং জেলা পরিষদে নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে। যে সকল জেলায় অতিরিক্ত ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র প্রয়োজন, সে সকল জেলা প্রশাসকগণ আগামী ১০ দিনের মধ্যে সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে পত্র দেবেন। এছাড়া উপজেলা তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সচিব, তথ্য ও যোগাযাগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরুর অর্থায়নে সমস্যা নেই-অর্থমন্ত্রী ॥ রাতে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কার্যঅধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে বিশ্বব্যাংককে আর অনুরোধ করব না এটা ঠিক নয়। আমরা সময় নিচ্ছি এবং টেস্ট করছি- কোন মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে রিভিউ করতে বলবে বিশ্বব্যাংক।
জেলা প্রশাসকদের আশ্বস্ত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এডিবি, আইডিবি ও জাইকা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। গত জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারত পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা দ্রুত নিরসনের জন্য বিশ্বব্যাংকে তাগিদ দিয়েছে। সেজন্য এডিবি, আইডিবি, জাইকা, বন্ধু রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতের সঙ্গে আলোচনার পরই আমরা এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রস্তাব করব।
পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানান, নিজস্ব সম্পদে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন পড়বে তা দিতে আমাদের কোন সমস্যা হবে না।
মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর নির্দেশ ॥ রাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসকরা। বৈঠকে মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।
কোচিং ব্যাণিজ্য বন্ধে সহযোগিতা কামনা নাহিদের ॥ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের কার্যঅধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধকল্পে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ডিসিদের প্রতি আহ্বান জানান।

No comments

Powered by Blogger.