সিলেটে ছাত্রলীগের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০

সিলেট নগরের লামাবাজারের মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্রলীগের বিধান গ্রুপের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুজনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও একজনকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


কোতোয়ালি থানার এসআই জানান, সংঘর্ষের সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গেও ছাত্রলীগকর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। তখন ছাত্রলীগের অনেকের হাতে অস্ত্র ছিল। তবে, পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে ছাত্রলীগ এমসি কলেজের ছাত্রাবাস আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার পর টিলাগড়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এর একদিন পর গতকাল নিজেদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
জানা যায়, সকালে বহিরাগত কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী কলেজ ক্যাম্পাসে যায়। তারা কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করলে সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এর পর পরই সিনিয়ররা বিষয়টি সমাধানের জন্য বসলে বিধান গ্রুপের পিযুষ পক্ষের কয়েকজন সাগর পক্ষকে ধাওয়া করে। সঙ্গে সঙ্গে বিধান গ্রুপের সাগর পক্ষ পাল্টা ধাওয়া করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ১০ জন আহত হয়। এদিকে সংঘর্ষের পরপরই সাগর পক্ষ নগরের জল্লারপারের পিযুষের কথিত একটি অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
পিযুষ কান্তি দে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ওই অফিসে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বসতেন। প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর অফিসটি ভাঙচুর করেছে। অন্যদিকে অরুণ দেবনাথ সাগর বলেন, 'সিলেটে ছাত্রলীগের কোনো অফিস নেই। পিযুষ গ্রুপের কর্মীরা কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করে। উত্তেজিত ছাত্ররা জল্লারপারে একটি অফিস ভাঙচুর করেছে বলে শুনেছি। এটি কোনো দলীয় অফিস নয়। এখানে বাজে ছেলেদের আড্ডা ছিল।'

No comments

Powered by Blogger.