তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচনে তারেকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হবে ॥ ফখরুল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে এ দেশে তারেক রহমানের নের্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হবে। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ছাত্রদল আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমান বাস্তবতা,


আগামী দিনের নেতৃত্ব ও তারেক রহমান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি এক দিকে স্বাধীনতার ঘোষক অন্যদিকে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে আপোসহীন নেত্রীর উত্তরাধিকারের রাজনীতি ধারণ করছেন। তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ ও পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন আর নেই। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আবারো দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েমের চেষ্টা করছে। সে জন্যই তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করার পাশাপাশি সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তাদের সমালোচনার পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এ সরকার মানুষের অধিকার হরণ করেছে। আমরা যদি মানুষের অধিকার ফিরিয়ে না আনতে পারি, তাহলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এই জন্য প্রয়োজন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, তারেক রহমান জিয়াউর রহামানের যোগ্য উওরসুরি, সে জন্যই তাকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে সরকার। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের জন্য সুপ্রীমকোর্টের রায়ই যথেষ্ট। কিন্তু সরকার এর বাইরে জোর করে নির্বাচন দিয়ে জয়ী হলে সেটা তাদের জন্য ফুলের নয় কাটার মালায় পরিণত হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. মোস্তাহিদুর রহমান বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, তারেক রহমানের বন্দনা করে, তার মাথা নষ্ট করবেন না। তার ভুলগুলো শুধরে দিয়ে আগামী দিনে বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করুন।
ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. এম এ মাজেদ, সুপ্রীমকোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সাংবাদিক আমান উল্লাহ কবির, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম, কবি আল মোজাহিদী, কবি আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.