পূর্ব তিমুরে পার্লামেন্ট নির্বাচন, পুনর্নির্বাচনের প্রত্যয় গুসমাওয়ের

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ পূর্ব তিমুরে গতকাল শনিবার পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভোট সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে। নবীন গণতান্ত্রিক এ রাষ্ট্রটির সক্ষমতা অর্জনের প্রশ্নে এ নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।


ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া ২১টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হয়। দেশটির নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা প্রায় ছয় লাখ ৪৫ হাজার।
পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরে দেশটিতে মোতায়েন করা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পূর্ব তিমুর ছাড়ার কথা। তবে তা নির্ভর করছে এ নির্বাচনের ওপর। জাতিসংঘ আগেই জানিয়ে রেখেছে, গত মার্চ ও এপ্রিলে দুই দফা অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলেই কেবল তারা ডিসেম্বরে দেশ ছাড়বে। ২০০৬ সাল থেকে প্রায় তিন হাজার শান্তিরক্ষী রয়েছে দেশটিতে।
পূর্ব তিমুরে নিয়োজিত জাতিসংঘের পুলিশ কমিশনার (ইউএনপিওএল) লুইস ক্যারিলহো গতকাল বলেন, 'সুষ্ঠুভাবে ভোট দেওয়ার জন্য আমি পূর্ব তিমুরবাসীকে অভিনন্দন জানাই। আজ (শনিবার) দিনটি খুবই শান্তিপূর্ণ।' জাতীয় পুলিশপ্রধান লংগুইনহোস মন্তেইরোও জানান, ভোটের সব কিছুই খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এশিয়ার অন্যতম দরিদ্র এ দেশটি ২০০২ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত গণভোটে স্বাধীনতার পক্ষে রায় দেয় তিমুরবাসী। এর আগে প্রায় আড়াই দশক ইন্দোনেশিয়ার দখলে ছিল সাবেক পর্তুগিজ এ উপনিবেশটি। দেশটি দারিদ্র্যপীড়িত হলেও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। রাজস্ব আয়ের ৯০ শতাংশই আসে তেল রপ্তানি থেকে।
গতকাল রাজধানী দিলিতে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী জানানা গুসমাও। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বাধীন মধ্যবামপন্থী ন্যাশনাল কংগ্রেস ফর তিমুরিজ রিকনস্ট্রাকশন (সিএনআরটি) 'ভালো কাজ' করেছে। তাই সিএনআরটির পুনর্নির্বাচনের আশা প্রকাশ করেন তিনি। তবে বামপন্থী রেভলিউশনারি ফ্রন্ট ফর অ্যান ইনডিপেনডেন্ট ইস্ট তিমুরও (ফ্রিটিলিন) শক্ত অবস্থানে রয়েছে। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এ দুই দলই নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থনৈতিক খাতকে গুরুত্ব দিয়েছে। প্রায় ৬৮০ কোটি পাউন্ড মূল্যের খনিজ তেল থেকে পাওয়া আয় নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথা ভোটারদের কাছে তুলে ধরে তারা। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.