কালের পুরাণ-সংসদীয় গণতন্ত্র, না ভানুমতির খেল by সোহরাব হাসান

প্রতিদ্বন্দ্বী দল দক্ষতা, যোগ্যতা, কৌশলে ও কুটিলতায় সমান না হলে খেলা জমে না। বাংলাদেশের ক্রিকেট দল যখন হাঁটি হাঁটি পা পা এগোচ্ছিল, তখন অস্ট্রেলিয়া কিংবা ভারতকে হারিয়ে দেওয়ার কথা ভাবতে পারেনি। এখন পারে। সরকার ও বিরোধী দলের খেলা দেখে প্রতীয়মান হয়, তারা কেউ কারও চেয়ে কম যায় না।


বিবৃতির বিপরীতে বিবৃতি, হুমকির বিপরীতে হুমকি, উচ্ছেদের বিপরীতে উচ্ছেদ—প্রতিটি ক্ষেত্রে দুই পক্ষই মরিয়া হয়ে উঠেছে। না হলে বাড়ির মতো একটি সাধারণ বিষয় নিয়ে জাতীয় রাজনীতি এমন উত্তপ্ত হয়ে উঠত না। ১৩ নভেম্বরের আগ পর্যন্ত বিষয়টি ছিল আদালতের এখতিয়ার, এখন দুই পক্ষ এটিকে রাজপথের বিষয় করে ফেলেছে। ২৯ নভেম্বর আদালত যে রায়ই দিন না কেন, বাড়ি নিয়ে অন্তত আগামী তিন বছর রাজনীতি চলতে থাকবে। সরকার বিএনপির নেত্রীকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছে, বিরোধী দল সরকারকে সিংহাসন থেকে উচ্ছেদ করতে চাইছে। এমনকি ২০১৪ সালের প্রথমার্ধে যে নির্বাচন হওয়ার কথা, সেটি যদি হয়, তার অন্যতম বিতর্কের বিষয় হবে এই বাড়ি। এত দিন বিএনপি ছিল দৃশ্যত দুর্বল, বিভ্রান্ত ও বেদিশা। একটি বাড়ি থেকে উচ্ছেদের ঘটনা তাদের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে; অন্তত যেসব বিদেশি বন্ধু বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, এখন কিছুটা হলেও তাদের সহানুভূতি পাবে (দ্রষ্টব্য: সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমানসহ বিএনপিপন্থী সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের বিবৃতি)।
রাজনীতি যদি গণমানুষের স্বার্থের জন্য হয়ে থাকে, দেশ ও দশের শান্তির জন্য হয়ে থাকে, তা থেকে দুই দলই মোটামুটি দূরে আছে। তবে এ দুইয়ের মধ্যেও একটি পার্থক্য রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার গত দুই বছরে দলীয় চাঁদাবাজ-টেন্ডারবাজদের নিবৃত্ত করতে না পারলেও বিদ্যুৎসমস্যা সমাধানের চেষ্টা অন্তত করেছে। খালেদা জিয়ার সরকার পাঁচ বছর কিছুই করেনি খাম্বা বসানো ছাড়া। দলীয় মাস্তানিতেও আওয়ামী লীগ এখনো পর্যন্ত বিএনপি আমলের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি।

২.
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদই হবে রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র। অথচ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আপসে অথবা যুদ্ধে সংসদকে অকার্যকর করে চলেছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলকে ছায়া সরকার এবং বিরোধীদলীয় নেত্রীকে ছায়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে সরকারি হিসাব কমিটিসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিটির চেয়ারম্যানও করা হয় বিরোধী দল থেকে। কিন্তু আমাদের দেশে গণতন্ত্র হলো সংসদে সরকারি দলের জবরদস্তি এবং রাজপথে বিরোধী দলের মাস্তানি। গণতন্ত্র মানে পাঁচ বছরের জন্য সরকারি দলের জন্য সংসদ ইজারা দেওয়া। তারা যে যে বিষয় ভালো মনে করবে, কেবল সে বিষয়গুলোই সংসদে আলোচনা হবে। বিরোধী দলের প্রস্তাব আলোচনায় আসবে না । অন্যদিকে বিরোধী দলের কাজ হলো, পাঁচ বছর যখন খুশি হরতাল ডাকবে, অবরোধ করবে। এরই নাম নাকি গণতন্ত্র? এ জন্যই নাকি আমরা ভোট দিয়ে মাননীয়দের সংসদে পাঠিয়েছি!
সরকারের দায়িত্ব হলো কাজ করে দেখিয়ে দেওয়া, মন্ত্রীদের কাজ হলো, জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করা। কিন্তু আমাদের সদাশয় মন্ত্রী ও মান্যবর নেতারা কথা বলতেই বেশি ভালোবাসেন। কোনো সমস্যার কথা উঠলেই তাঁরা বিএনপি আমলের উদাহরণ দেন। বিএনপি করেনি, অতএব তাঁরাও করবেন না। অন্যদিকে বিরোধী দল বলবে, আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছ, এখন মজাটা বোঝো। দুই দলের লাঠালাঠিতে আমজনতা অতিষ্ঠ ও অসহায়।
বিরোধী দল সংসদে গিয়ে সরকারের সমালোচনা করবে, ভুলত্রুটি দেখিয়ে দেবে, অগণতান্ত্রিক কাজের প্রতিবাদ করবে, কথায় কথায় সরকার উৎখাতের আওয়াজ তুলবে না। সেটাই গণতন্ত্রের রীতি। অন্যদিকে সরকারেরও চেষ্টা থাকবে, তারা এমনভাবে কাজ করবে, যাতে বিরোধী দল প্রতিবাদ করতে না পারে।
সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের প্রথম ও প্রধান সমালোচনা হলো, সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা সারা দেশে চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করে বেড়াচ্ছেন, বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে, মামলা দেওয়া হচ্ছে। এ সমালোচনাগুলো কি ভিত্তিহীন? তাহলে সরকারি দলের নেতারা বলুন, এটি ঠিক নয়। কিন্তু মন্ত্রীদের মুখে যখন শুনি—বিএনপির নেতাদের মুখে এসব কথা সাজে না, তখন মনে হয়, কোথাও গলদ আছে। সরকার বদলালেও চরিত্র বদলায়নি। হুমকি দিয়ে বিরোধী পক্ষের মুখ বন্ধ করা স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতারই পরিচয়।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ যেসব অভিযোগ করেছিল, পত্রিকা পড়লে দেখা যাবে, বিএনপি এখন সেসব অভিযোগই করছে। তখন বিএনপির নেতারা যে ভাষায় কথা বলতেন, এখন আওয়ামী লীগের নেতারা একই ভাষায় কথা বলছেন। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে কিন্তু সেটি হয় না। ভারতে বিজেপি টেলিকম খাতে মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। তাই বলে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বা কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী একে দেশবিরোধী চক্রান্ত বলে উড়িয়ে দেননি, বরং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। তার পরও লোকসভায় অচলাবস্থা কাটেনি।

৩.
গত দুই দশকের গণতান্ত্রিক শাসনের দিকে তাকালে আমরা কী দেখি? আগের সংসদ থেকে পরের সংসদের কার্যকারিতা অবধারিতভাবে কম। পঞ্চম সংসদ আড়াই বছর মোটামুটি সক্রিয় ছিল, বিরোধী দল সাধ্যমতো ভূমিকা রেখেছে। তারপর নাজমুল হুদার এক মন্তব্যে সেই যে বিরোধী দল বেরিয়ে এল, আর ফিরে যায়নি। সপ্তম সংসদেও প্রথম দুই বছর বিরোধী দল ভূমিকা রাখতে চেষ্টা করেছে। প্রায় প্রতিটি ইস্যুতে তারা বক্তব্য দিয়েছে, সরকারি দলের যুক্তি খণ্ডন করেছে। কিন্তু অষ্টম ও নবম সংসদে শুরু থেকে যে আত্মঘাতী কাজকারবার চলে এসেছে, তা বাংলাদেশ তো বটেই, পৃথিবীর ইতিহাসেও নজিরবিহীন। এমনকি জিয়া ও এরশাদের রাবার স্ট্যাম্প পার্লমেন্টও এর চেয়ে ভালো চলেছে। জাতীয় নানা ইস্যুতে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য হলো, যে দল যত জনপ্রিয়, সে দল তত স্বৈরাচারী; যে দল জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়, সে দল আরও বেশি হরতাল দিয়ে, বোমাবাজি করে নিজেদের জনপ্রিয়তা প্রমাণের চেষ্টা করে। দেশপ্রেমের সোল এজেন্সি নিয়ে তারা দেশ উদ্ধারে ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হতেও দ্বিধা করে না। ১৯৭৩-৭৪ সালে জাসদ যা করেছিল, নতুন শতকের শূন্য দশকে বিএনপি-জামায়াতও তাই করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিরোধী দলকে সংসদে গিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার যে আহ্বান জানিয়েছেন, বিএনপির নেতারা তা গ্রহণ করেননি, বরং আভাসে-ইঙ্গিতে সংসদ থেকে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। সৈয়দ আশরাফের চ্যালেঞ্জটি নিতে আপত্তি কোথায়? সংসদে তাঁদের আসনসংখ্যা ৩৫ হলেও অনেক প্রবীণ ও দক্ষ সদস্য আছেন। এ সুযোগে তাঁরা সরকারের ব্যর্থতা ও দুর্বলতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে পারতেন। আসলে বিএনপি সংসদীয় গণতন্ত্রের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছে না। তাদের গণতন্ত্র হলো, সবার ওপরে চেয়ারপারসন। তিনি যা বলবেন, তা-ই হবে। তাঁর ইঙ্গিতেই বিরোধীদলীয় সাংসদেরা পদত্যাগপত্র পকেটে বা ভ্যানিটি ব্যাগে নিয়ে ঘুরছেন।
দলের স্বঘোষিত মুখপাত্র সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী জানিয়ে দিয়েছেন, বিএনপি আগামী অধিবেশনে যাচ্ছে না। সংসদ থেকে পদত্যাগ করারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে সরকারি দলের সাংসদ ও দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলে দিলেন, তাতে কোনো সমস্যা নেই। সরকার ৯০ দিনের মধ্যে শূন্য আসনে নির্বাচন করিয়ে নিজ দলের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনবে। ধীরে চলুন, এত তাড়াহুড়ো কেন?। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই আপনার আছে। অভিজ্ঞতা আছে ১৯৭৯ সালের নির্বাচনেরও। প্রথমটিতে জিতেও হেরে গেছেন, দ্বিতীয়টিতে হেরেও তিন বছর সাংসদের ভূমিকা পালন করেছেন। যখন মামলায় আপনার সদস্যপদ বাতিল হলো, তখন আর সংসদ নেই। তার আগেই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বন্দুকের নলে ক্ষমতায় এসে সংসদ ভেঙে দিয়েছিলেন।
শূন্য আসনে নির্বাচন করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করছেন কেন? ৩৪৫ আসনের তিন শতাধিক আসন নিয়ে খুশি হতে পারছেন না? শূন্য আসনে নির্বাচন হলে সেটি একদলীয় সংসদ হবে। দ্বিদলীয় সংসদেই যখন জাতীয় সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় না, তখন একদলীয় সংসদে নেত্রীর স্তুতি ছাড়া কিছু হবে না—এ কথা বলে দিতে পারি।
সরকারি দলে দায়িত্বশীল পদে থাকলে কথা নয়, কাজ দিয়ে প্রমাণ করতে হয়। আপনারা সংবিধান পুনর্মুদ্রণের উদ্যোগ নিয়েছেন, ভালো কথা। বলেছেন, বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাবেন। কীভাবে? রাষ্ট্রধর্ম রেখে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। সংসদীয় কমিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর তো সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার ও চিফ হুইপ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করলেন। কী হলো সেই সুপারিশের? এ অবস্থা চলতে থাকলে ইনশা আল্লাহ, আওয়ামী লীগ সরকার আগামী তিন বছরে বিএনপির কোনো নেতার দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারবে না। যেমন পারেনি ১৯৯৬-২০০১ সালে করা বিএনপির এবং ২০০১-০৬ সালে আওয়ামী লীগের কোনা নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ করতে। আমরা সামরিক বাহিনী-সমর্থিত ক্যাঙারু আদালত চাই না। তাই বলে সব মামলা বছরের পর বছর, আমলের পর আমল ঝুলে থাকবে, তাও কাম্য হতে পারে না। বিএনপির ৩৫টি আসন শূন্য হলে তারা সদস্যপদ হারাবে, কিন্তু গণতন্ত্রেরও বারোটা বেজে যাবে। গণতন্ত্রের নামে জনগণকে আর কত দিন ভানুমতির খেল দেখাবেন?

৪.
বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা না নিলেও বিএনপি আওয়ামী লীগ থেকে এবং আওয়ামী লীগ বিএনপি থেকে ‘উপযুক্ত শিক্ষা’ই নিচ্ছে। এবার হরতালের অস্ত্রটি বোধহয় আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছায় বিএনপির হাতে তুলে দিয়েছে। একটি বাড়িকে তারা জাতীয় ইস্যুতে পরিণত করেছে। ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করলে কি দেশ ধ্বংস হয়ে যেত, না আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটত?
আগামী দিনগুলোতে দেশের রাজনীতি কেমন হবে, তার একটি অস্পষ্ট ছবি চোখের সামনে ভাসছে। সরকার যে পদক্ষেপ নেবে, বিএনপি তার তীব্র বিরোধিতা করবে। তারা উপনির্বাচন বর্জন করবে। একতরফা নির্বাচন হবে। তবে বিএনপি হয়তো এতটা বোকা নয় যে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে বিরোধী দলের কৌলিন্য হারাতে চাইবে। চোখের সামনে ভাসছে প্রতিটি হরতালের সহিংস দৃশ্য। মারধর হবে, বাস জ্বলবে, দোকান জ্বলবে, মানুষ হতাহত হবে। পুলিশ অ্যাকশন নেবে। তার প্রতিবাদে বিরোধী দল আবার হরতাল ডাকবে। সরকারি দল রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার নামে মাস্তানি করবে। রাস্তায় সংঘাত-সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়বে। কল-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হবে। যোগাযোগব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়বে। জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। সেই কারণে সরকার ও সরকারি দলের বদনামও বাড়তে থাকবে।
এক বছর আগে সরকারের অবস্থান যতটা মজবুত ছিল, এখন ততটা নেই। তৃতীয় বছরে জনপ্রিয়তা আরও কমবে। চতুর্থ বছরে দুই পক্ষ মরিয়া হয়ে উঠবে। যিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন, বিরোধী দল বলবে, মানি না, মানব না। যিনি নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ পাবেন, বিরোধী দল বলবে, মানি না, মানব না। নির্বাচন করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে; বিরোধী দল বলবে, মানি না, মানব না। রাজনীতি স্থায়ীভাবে রাজপথ দখল করবে, আরও বেশি সহিংস হয়ে উঠবে।
এর সবই আশঙ্কার কথা। ঘটনাগুলো ঠিক এমনভাবে নাও ঘটতে পারে। অনেকে ফের এক-এগারোর ভয় দেখাচ্ছেন। বাংলাদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি এক-এগারোর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ইকোনমিস্ট। কিন্তু এক নদীতে যেমন এক পানি দুবার প্রবাহিত হয় না, ইতিহাসেও কোনো ঘটনা হুবহু নকল হয় না।
বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সম্প্রতি একটি লেখায় বলেছিলেন, দেশ এখন বাজিকরদের হাতে। আর সরকারি মহলে রব উঠল, গেল গেল, দেশ গেল। সর্বনাশ হলো। আমরা জানি না, সত্যি দেশটি কাদের হাতে? দুই দলই বলছে, দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কারা করছে? সেই ষড়যন্ত্র কী করে ঠেকাবেন, তা আপনাদের জানা আছে কি?
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrab03@dhaka.net

No comments

Powered by Blogger.