বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে :গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমানে এক ধরনের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে বলে মনে করেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান। বিশেষ করে তিনজন ডেপুটি গভর্নরের বিদায়ের ফলে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে তার ধারণা। তিনি বলেন, গভর্নরের দায়িত্ব পালন সবসময়ই চ্যালেঞ্জের। দেশের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে এবং বিশ্ব অর্থনীতির পরিবর্তনশীল অবস্থার কারণে দায়িত্ব পালনে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে।


ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বিত প্রয়াস ছাড়া এ কাজে সফলতা অর্জন করা কঠিন। বৃহস্পতিবার সাভারের ব্র্যাক সিডিএমে বাংলাদেশ ব্যাংকের দু'দিনব্যাপী কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গভর্নর বলেন, সম্প্রতি তিনজন অভিজ্ঞ ডেপুটি গভর্নর অবসরে গেছেন। বিগত দিনের পথচলায় তাদের অবদানকে সম্মান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে পরিচালিত না হলে কোনো পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। নেতাদের দায়িত্ব উদাহরণ তৈরি করা এবং অন্যদের সে উদাহরণ অনুসরণ করতে উদ্বুদ্ধ করা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যথাযথ কমিউনিকেশন স্কিল উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক জটিল বিষয় জনগণের কাছে সহজভাবে উপস্থাপনের জন্য তিনি পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রতি বছরের জানুয়ারি মাসে এ ধরনের কর্মশালা করে থাকে। যেখানে আগের বছরের নেওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চিত্র নিয়ে আলোচনা হয়। এবারে সব বিভাগের কাজ ১০টি ভাগে বিভক্ত করে বিভাগগুলোর কর্মপরিকল্পনার আঙ্গিকে অর্জন ও চ্যালেঞ্জগুলো কর্মশালায় উপস্থাপন করা হয়। এবারের কর্মশালার থিম ছিল নেতৃত্বের বিকাশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় ব্যাংক খাতের সামগ্রিক চ্যালেঞ্জ ও তা উত্তরণে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে গভর্নর ছাড়াও সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, গভর্নরের সিনিয়র অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আল্লাহ মালিক কাজেমী, নাট্য ব্যক্তিত্ব আলী যাকের, ডেপুটি গভর্নর আবুল কাসেম, নির্বাহী পরিচালক মোঃ আহসান উল্লাহ, সিনিয়র অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হাসান জামান, আইএমএফের ব্যাংক সুপারভিশন এক্সপার্ট গ্গ্নেন টাস্কি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।

No comments

Powered by Blogger.