জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও দেশে ফিরব :মোশাররফ

দেশে ফেরার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বর্তমানে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। খবর এনডিটিভি ও জিনিউজ অনলাইনের।


সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে পারভেজ মোশাররফ বলেন, এটা এখন খুবই নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। ৯-১১ এর আগেও এমনটি ছিল বলে আমার মনে হয় না। ভূ-রাজনীতি বোঝেন এমন যে কারও কাছেই বিষয়টি অস্বস্তিকর হবে বলে মনে করেন তিনি। মোশাররফ বলেন, আমি আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান তাদের পথের বাধাগুলো দূর করবে এই অঞ্চলের স্বার্থে; পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে তারা একসঙ্গে একই পথে থাকবে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের মিত্রতা গড়ে ওঠে পাকিস্তানের। গত বছর ২ মে সংরক্ষিত সামরিক এলাকা এবোটাবাদের একটি সুরক্ষিত বাসভবনে মার্কিন কমান্ডোদের হামলায় নিহত হন আল কায়দার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন। এর পর ন্যাটোর বিমান হামলায় নিহত হয় ২৪ পাকিস্তানি সেনা। এতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়।
পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা বিষয়ে মোশাররফ বলেন, দেশের অবস্থা যদি আরও খারাপ হয় এবং শাসনক্ষমতা সরকারের হাত থেকে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হাতে চলে যায়, তাহলেই কেবল অস্ত্রগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু আমি এমন আশঙ্কার কিছু দেখতে পাচ্ছি না। তার মতে, দেশের কোনো ধর্মীয় দলের নির্বাচনে জেতার ক্ষমতা নেই। গুরুত্বপূর্ণ ওই স্থাপনার সুরক্ষায় শক্তিশালী সামরিক বাহিনী নিয়োজিত থাকায় বল প্রয়োগের মাধ্যমেও উগ্রবাদীরা এগুলো ছিনিয়ে নিতে পারবে না।

No comments

Powered by Blogger.