একটু অন্যরকম উদ্যোগ by হারুনুর রশিদ শাহীন

কীভাবে সুন্দরবনকে রক্ষা করা যায় এবং কোন কোন পরিকল্পনা নিয়ে এগোলে ভবিষ্যতে সফল হওয়া যাবে, তার জন্য 'প্রজেক্ট কনসার্ভ সুন্দরবন' প্রজেক্টের মাধ্যমে ঢাকা শহরের নামিদামি বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এক সঙ্গে করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো_ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এনএসইউ, ইস্ট ওয়েস্ট, এআইইউবি...রায়ান, মেরাজ ও সাদাফ হায়দার। তিন বন্ধু। পড়েন নর্থ সাউথ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে। কিছু একটা


করার জন্য মাথায় কি যেন সারাক্ষণ ঘুরপাক খায়। হঠাৎ করেই পরিকল্পনা আসে কীভাবে যুব সমাজকে বিপথ থেকে ফিরে আনা যায়। লাগানো যায় ভালো কাজে। এ নিয়ে তারা কাজ করেছে বেশকিছু। বসে না থেকে কাজের পরিধি বাড়াতে বিভিন্ন চিন্তার প্রকাশ ঘটাতে যাত্রা শুরু হয় গত মার্চে চেঞ্জিং বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (সিবিএফ)। অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ ও মাদকবিরোধী কার্যক্রমকে জোরালো করা এবং দারিদ্র্যমুক্ত শিক্ষিত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে এ সংগঠন। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রায়ান রহমানের ঐকান্তিক চেষ্টায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সংগঠনটি অভাবনীয় সাফল্য লাভ করে।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় আমাদের গর্ব সুন্দরবনকে রক্ষায় এগিয়ে আসছে। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সিডর ও আইলা প্রাকৃতিকভাবেই মোকাবেলা করছে সুন্দরবন। সব ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে জীববৈচিত্র্যের জন্য নিজেকে সাজিয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শ্বাসমূলীয় এ বনটি।
তাছাড়া সম্প্রতি ঢাকায় শেষ হওয়া কমনওয়েলথ ভালনারেবল ফোরামে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় বিশ্বনেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের প্রত্যেক দেশই হুমকির মুখে রয়েছে। তাই এ হুমকি মোকাবেলায় রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আর এ ভিশনকে সামনে রেখেই সিবিএফের নতুন কার্যক্রম প্রজেক্ট কনসার্ভ সুন্দরবনের অগ্রযাত্রা।
কীভাবে সুন্দরবনকে রক্ষা করা যায় এবং কোন কোন পরিকল্পনা নিয়ে এগোলে ভবিষ্যতে সফল হওয়া যাবে তার জন্য 'প্রজেক্ট কনসার্ভ সুন্দরবন' প্রজেক্টের মাধ্যমে ঢাকা শহরের নামিদামি বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এক সঙ্গে করা হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো_ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এনএসইউ, ইস্ট ওয়েস্ট, এআইইউবি, প্রাইম এশিয়া, সাউথ ইস্ট, ভিকারুননিসা নূন, নটর ডেম কলেজসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
এসব প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হবে দুই দিনের সিবিএফ স্টল। সেখানে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়ে সদস্য হতে পারবেন। কেউ চাইলে একা অথবা সর্বোচ্চ ৫ জনের একটি গ্রুপ করে এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে পারবেন। আর এ কার্যক্রমের সার্বিক সহযোগিতা করছে ন্যাসক্যাফে। প্লান অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন, ইমপ্লিমেন্টেশন প্রসেস, বাজেট ব্যাকগ্রাউন্ড ও প্রজেক্ট অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ইটস অ্যাডভানটেজ_ এ ৪টি পরিকল্পনার মাধ্যমে কার্যক্রম চালনো হবে। আর এ পরিকল্পনা থেকেই বেরিয়ে আসবে সুন্দর সুন্দর আইডিয়া। প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পর যে প্রতিযোগীর পরিকল্পনা ভালো হবে তাকে সেরা হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং তিনি পাবেন ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার। এ জন্য ১ লাখ টাকার ফান্ড রাখা হয়েছে যা এ সিবিএফ কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যয় করা হবে।
এর আগে এ সামাজিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে একটি ক্যাম্পেইন করা হয়। তাতে অভাবনীয় সাড়া মেলে। ১ হাজার ৪০০ ফরম পূরণ, ১ লাখ লিফলেট বিতরণ, ৫ হাজার পোস্টার ও সিবিএফ লোগো সংবলিত ৪০০ টিশার্ট বিতরণ করা হয়। পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য সদস্য সংগ্রহ চলছে। কেউ সদস্য হতে চাইলে বয়স, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ও ফোন নম্বর পনভ.রহভড়@ুধযড়ড়.পড়স এ ঠিকানায় পাঠাতে পারবেন। পরবর্তী কার্যক্রমের বিস্তারিত তাদের পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/পনভ৭১ ভিজিট করে সিবিএফের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত
জানা যাবে।

No comments

Powered by Blogger.