ওঁরা দুজন

ড়ান'-এর পর নতুন ছবির কাজে হাত দিয়েছেন বিক্রমাদিত্য মাতওয়ানি। ছবির নাম 'লুটেরা'। কেন্দ্রীয় দুটি চরিত্রে অভিনয় করছেন রণবীর সিং ও সোনাক্ষী সিনহা। পঞ্চাশের দশকের প্রেম কাহিনী নিয়ে ছবির গল্প। এ মাসেই শুরু হয়েছে চিত্রায়ণ। সেই ছবি নিয়ে মুখোমুখি রণবীর-সোনাক্ষী। এই প্রথম বলিউডের দুই নবাগত তারকার যৌথ সাক্ষাৎকার। গ্ল্যামশ্যামডটকম থেকে ভাষান্তর করেছেন ইমাম বাবু


গল্পের প্লট পঞ্চাশের দশকের। সেই সময়ের চরিত্রের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে কি আপনারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন?
রণবীর : এ ছবিতে আমাকে যেভাবে দেখা যাবে, তা আগে আর কখনো দেখা যায়নি। পুরনো দিনের সাজপোশাকের ব্যাপারটি আমার খুব পছন্দের। সুতরাং আমি খুব খুশি।
সোনাক্ষী : সিনেমায় আমার চরিত্র একজন বাঙালি নারীর। ব্যাপারটি আমার কাছে সত্যিই উত্তেজনার। চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতে সেই সময়ের ধরন-ধারণ, সাজপোশাক, গয়না বা কাপড়চোপড়_সব কিছুতেই পঞ্চাশের দশক ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে।

আর চরিত্রের সঙ্গে নিজেদের মিশে যাওয়ার ব্যাপারটি?
রণবীর : আমি হয়তো ছবির গল্পের সঙ্গে পুরো মিশে যেতে পারতাম না। আমার চরিত্র ফুটিয়ে তোলার পুরো কাজই করেছেন আমাদের পোশাক ডিজাইনার সুপর্ণাজি।
সোনাক্ষী : আমাদের সাজপোশাকে পুরনো দিন ফিরিয়ে আনতে প্রচুর খেটেছেন সুপর্ণাজি। আপনারা এর ফলাফল দেখতে পাবেন। ছবিতে পঞ্চাশের দশকের একজন নারীই মনে হবে আমাকে।

'লুটেরা' থেকে আপনাদের চাওয়া কী?
সোনাক্ষী : ক্যারিয়ারের শুরুতেই অনেক মেধাবী মানুষের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ, আমি সত্যিই লাকি। এখন পর্যন্ত যত ছবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছি, 'লুটেরা'র চরিত্রই হয়তো সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং। বিক্রমাদিত্য একজন চমৎকার পরিচালক। আমার সবচেয়ে ভালোটাই দেওয়ার চেষ্টা করব। সুতরাং এর থেকে আমার প্রত্যাশার মাত্রা একটু বেশি।

ক্যামেরার সামনে আপনাদের দুজনের বোঝাপড়ার ব্যাপারটি যদি একটু বলেন।
সোনাক্ষী : এখনো তো শুটিং শুরু হয়নি। শুরু হলে হয়তো ব্যাপারটি বোঝা যাবে।
রণবীর : সোনাক্ষীর প্রথম ছবি 'দাবাং' দেখার কথা বলি। এক জায়গায় সোনাক্ষী বলে, 'থাপ্পড় সে ডর নেহি লাগতা সাব, পেয়ার সে লাগতা হ্যায়'_তখন আমার মনে হয়েছে সোনাক্ষী ওই চরিত্রের জন্য উপযুক্ত ছিল। এর পর থেকেই তার সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বিক্রমের মতো প্রতিভাবান পরিচালক রয়েছেন। আশা করি, আমাদের যৌথ রসায়নের ফল মানুষকে দুর্দান্ত কিছু উপহার দেবে।

রণবীর, আপনি নিজে লুটেরা (ডাকাত) হিসেবে কেমন?
রণবীর : আমি খুবই ধুরন্ধর এক ডাকাত। আগামী বছর ছবি মুক্তির পর আপনাদের হৃদয় হরণ করে তার প্রমাণ দেব!... হা হা হা...

আমাদের কি বলবেন, আপনার হৃদয় হরণ করবে_এমন যোগ্য কে?
রণবীর : 'দাবাং' দেখার পর বলতে পারি, সোনাক্ষী আমার হৃদয় চুরি করে নিয়েছে। আমি তার একজন গুণমুগ্ধ দর্শক।
সোনাক্ষী : 'ব্যান্ড বাজা বরাত'-এর রণবীরের প্রশংসায় আমি পঞ্চমুখ। আমি তাকে বলেছি, সত্যি তোমরা আমাদের মতো মানুষকেও গল্পের সঙ্গে জড়িয়ে নিতে পারো। অবশ্যই রণবীর একজন প্রতিভাবান অভিনেতা। তার সঙ্গে এক ছবিতে কাজ করার ব্যাপারটি দারুণ ঘটনা। এর সুফল দেখতে অপেক্ষা করছি।

নবাগত হিসেবে আপনারা দুজনই ইন্ডাস্ট্রির বড় বড় মানুষের সঙ্গে কাজ করছেন। কিভাবে আপনারা তারকাখ্যাতি সামলাচ্ছেন?
সোনাক্ষী : আমি বাপু সামলানো-টামলানোর মধ্যে নেই। কাজ করি, বাড়ি ফিরি, ঘুমাই। পরের দিন আবার কাজে আসি। একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমার কাজটাকে আমি ভালোবাসি। সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
রণবীর : আমি আমারটা দিতে চাই। যদি মানুষ আমার কাজের বিচার করতে চায়, করবে। আমি তাই করতে চাই, যা আমি পারি।

No comments

Powered by Blogger.