আখ মাড়াই শুরু কাল-লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে সেতাবগঞ্জ চিনিকল by সালাহ উদ্দিন আহমেদ,

বারও লোকসান গুনে আগামীকাল শুক্রবার থেকে আখ মাড়াই শুরু হচ্ছে সেতাবগঞ্জ চিনিকলে। গত ১৬ বছরে চিনিকলটিতে লোকসান গুনতে হয়েছে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা। চলতি মৌসুমে সেই ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ১৩৮ কোটি টাকায়। তবে দেশের চিনির ঘাটতি পূরণ এবং লাভের মুখ দেখতে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। এ জন্য নেওয়া হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ।


লোকসান কাটাতে এলাকায় রোপাপদ্ধতিতে আখের আবাদ বাড়ানোর পাশাপাশি অচিরেই চিনি রিফাইনের কাজও শুরু হবে বলে জানিয়েছে মিল কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল রফিক কালের কণ্ঠকে জানান, 'গত বছর লোকসান গেছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। চলতি মৌসুমে ওই লোকসান নেমে আসতে পারে আট কোটি টাকায়। এবার আখ মাড়াই করা হবে প্রায় ৬০ হাজার টন। এতে পাওয়া যাবে প্রায় সাড়ে চার হাজার টন চিনি। তিনি বলেন, মিলটিকে লাভজনক করতে আখের ফলন বাড়ানোর বিকল্প নেই। লাভজনক পর্যায়ে পেঁৗছাতে কমপক্ষে আট হাজার একর জমিতে উন্নত মানের আখ চাষ করা প্রয়োজন। ১২০ দিন চলার মতো আখের সরবরাহ থাকলে দেশের চিনি ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি মিল লাভের মুখ দেখতে পাবে বলে মন্তব্য করেন আবুল রফিক।
তিনি আরো জানান, এবার প্রতি মণ আখের দর ধরা হয়েছে ৯৭ টাকা এবং মিলগেটে ১০০ টাকা করে। এ ছাড়া ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে আখচাষিদের।
জানা গেছে, সেতাবঞ্জ চিনিকল ১৯৩৩-৭৩ পর্যন্ত লাভের মধ্যে পরিচালনা করেন সুগরমল আগরওয়াল ও নাগরমল আগরওয়াল নামের দুই ভারতীয় মাড়োয়ারি ভাই। ১৯৭৪ সালে মিলটি লে অফ (বন্ধ) ঘোষণা করেন তাঁরা। এর আগে চিনিকলটির মেশিনপত্র ধ্বংস করা হয় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়।
১৯৮২ সালে মিলটিতে বসানো হয় আধুনিক যন্ত্রপাতি। নবযাত্রার পর মিলটি ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে লাভ গুনেছে ৭৭ লাখ টাকা। সবশেষ লাভ গোনা হয় ১৯৯৪-৯৫ সালে এক কোটি ২৪ লাখ টাকা। তারপর শুরু হয় লোকসান গোনার পালা। গত ১৬ বছরে লোকসান গুনতে হয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।

No comments

Powered by Blogger.