বড় জয় দিয়ে স্বরূপে ফিরল বার্সেলোনা

কে বলে বার্সেলোনার ছন্দপতন হয়েছে? এই তো আবার ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল ভ্যাল্লেকানোকে! রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ছয় পয়েন্টের ব্যবধান হয়ে গেছে বলে যাঁরা লিগ শিরোপার লড়াই থেকে ছেঁটে ফেলতে চেয়েছিলেন তাঁরা জেনে নিন, পরশু রাতে সেই ব্যবধান কমিয়ে তিন পয়েন্টে নিয়ে এসেছে বার্সেলোনা। হ্যাঁ, রিয়ালের চেয়ে একটা ম্যাচ বেশি খেলেছে তারা। কিন্তু গেতাফের বিপক্ষে আগের ম্যাচে অপ্রত্যাশিত হারের পর যাঁরা শিরোপার দৌড়টা সেখানেই শেষ


করে দিতে চেয়েছিলেন, তাঁদের পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা জানিয়ে দিলেন_ শিরোপা ডিসেম্বরে নয়, নির্ধারিত হবে সামনের বছরের মে মাসে। এর আগে লিওনেল মেসিরা বিনা যুদ্ধে সূচ্যগ্র মেদিনী দেবেন না।
আসলে প্রত্যাশা আকাশচুম্বী বলেই এমন হয়। বার্সেলোনার কাছ থেকে অন্য ধরনের, অন্য মাত্রার ফুটবল দেখতে চান বলেই সেটা না পেলে আফসোসে পোড়েন সমর্থকরা। গেতাফের বিপক্ষে এর আগের ম্যাচে সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি তাঁদের। কিন্তু সেটা সুদে-আসলে পুষিয়ে দেওয়ার জন্যই পরশু রাতে মাঠে নেমেছিলেন মেসি-সানচেজ-ভিয়ারা। ডিসেম্বরের শুরুতে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে জাপান চলে যাবেন বলে নির্ধারিত সূচির মাঝখানে হওয়া ম্যাচটাতে অনেক দিন পর শুরুর একাদশে ফিরেছেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। তাঁকে জায়গা দিতে বেঞ্চে বসতে হলো সেস্ক ফ্যাব্রেগাসকে। একাদশে নিয়মিতই আছেন অ্যালেঙ্সি সানচেজ, কিন্তু ইনজুরি থেকে ফিরে আসার পর যেন আসল রূপটা দেখছিল না সমর্থকরা। সেটা দেখা গেল পরশু রাতে। ২৯ মিনিটে করা তাঁর প্রথম গোলটা বানিয়ে দিয়েছিলেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। দ্বিতীয় গোলেও তাঁর অবদান। ৪১ মিনিটের সময় লিওনেল মেসির সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে ডি বঙ্রে একবারে ভেতরে গিয়ে বল বাড়ালেন সানচেজের দিকে। এবারও ভ্যাল্লেকানোর গোলরক্ষক ডেভিড কোবেনোকে ফাঁকি দিতে কোনো ভুল হয়নি চিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের। পরপর দুই গোল খেয়ে ম্যাচে এমনিতেই কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল ভ্যাল্লেকানো। তার ওপর মিনিট খানেক পরে যখন ডেভিড ভিয়া ১২ গজ দূর থেকে বার্সার হয়ে তৃতীয় গোলটা করেন তখন হার একরকম নিশ্চিতই হয়ে যায় তাদের। কিন্তু বার্সার গোল-উৎসব থামেনি তখনও। আগের ম্যাচে গেটাফের বিপক্ষে গোল করতে পারেননি। এই ফাঁকে জোড়া গোল করে এগিয়ে গিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ব্যবধানটা ঘুচানোর জন্যই বুঝি বিরতির পর প্রায় একক প্রচেষ্টায় স্কোর শিটে নাম তুললেন মেসিও। লা লিগায় এটা তাঁর ১৬তম গোল। যৌথভাবে এখন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে তিনিও সর্বোচ্চ গোলদাতা।
ব্যক্তি বিশেষের প্রশংসা নয়, দল যখন জেতে তখন কৃতিত্বটা সব শিষ্যকে ভাগাভাগি করে দিতেই বেশি পছন্দ করেন পেপ গার্দিওলা। তবে পরশু রাতের জয়ের পর অ্যালেঙ্সি সানচেজকে নিয়ে একটু বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখাতে দ্বিধা করেননি তিনি, 'ও মাঝের কিছুদিন ইনজুরিতে ছিল। ফিরে এসে ঠিক ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিল না। কিন্তু ফর্মে থাকলে কী দারুণ খেলতে পারে সেটা আজ দেখিয়েছে।' রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধানটা একটু বেড়ে গেছে বলে শিরোপার লড়াই নিয়ে যাঁরা চিন্তিত তাঁরাও কিন্তু আশ্বস্ত হবেন বার্সা কোচের কথা শুনে, 'আমার ছেলেরা যেভাবে খেলছে তাতে আমি খুশি। আমরা এখনো লড়াইয়ে আছি।' এপি, সকারনেট

No comments

Powered by Blogger.