লিবিয়ায় হস্তক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অপমান: পুতিন

লিবিয়ায় পশ্চিমা হস্তক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন। দেশটিতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে ‘কেলেঙ্কারি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অপমান’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
গত শুক্রবার মস্কোর বাইরে একটি রেস্তোরাঁয় রাশিয়ার আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত ভালদাই গ্রুপের নৈশভোজে এ কথা বলেন পুতিন। রুশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওই দেশগুলো জাতিসংঘের প্রস্তাব নির্মমভাবে লঙ্ঘন করেছে।’
সিরিয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন পুতিন।
প্রধানমন্ত্রী পুতিন ইতিপূর্বে বলেছেন, সিরিয়ার বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা যদি লিবিয়ার মতোই ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, তা হবে ‘একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’।
পুতিনের শুক্রবারের ঝাঁজালো মন্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে আগের মতোই সংগ্রামী প্রেসিডেন্ট হিসেবে চিহ্নিত হবেন।
পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে উত্তেজনার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা এবং দেশটির অবকাঠামো উন্নয়নে রাশিয়ার সহায়তার প্রস্তুতি ওই উত্তেজনা কিছুটা শিথিল করেছে।
ক্রেমলিনের সঙ্গে পশ্চিমা সম্পর্ক যখন একেবারে শিথিল ছিল, তখন ভালদাই গ্রুপ গঠন করা হয়।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ভ্লাদিমির পুতিনের নাম ঘোষণার ছয় সপ্তাহ পর ভালদাই গ্রুপের সঙ্গে তাঁর এই বৈঠক হলো। পুতিনের গ্রহণযোগ্যতায় মনে হচ্ছে, আবার তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। চার বছর আগে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর ক্ষমতা ছেড়ে দেন তিনি। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী টানা দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না।
সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়েছে। তাই পুতিন আগামী মার্চে এবং পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করলে আবারও টানা দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তার মানে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন পুতিন।

No comments

Powered by Blogger.