অনুবাদ-বুদ্ধিজীবীদের দায়বদ্ধতা by নোয়াম চমস্কি

নোয়াম চমস্কি এ সময়ের একজন বিখ্যাত লেখক, দার্শনিক ও ভাষাতত্ত্ববিদ। সম্প্রতি তিনি 'বোস্টন রিভিউ'য়ে বুদ্ধিজীবীদের সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখেছেন। তাঁর ওই প্রবন্ধের ভাষান্তর করেছেন অনিন্দ্য আরিফ। আজ ধারাবাহিক ওই প্রবন্ধটির দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশিত হলোপূর্ব প্রকাশের পররাষ্ট্রের ওপর যে বিশেষ স্বার্থের বোঝা রয়েছে তা লাঘব করার জন্য ত্রিপাক্ষিকবাদীরা গণতন্ত্রের সংযতকরণের আহ্বান করেন, অর্থাৎ কম উপযুক্ত অসাড় সময়ে ফিরে পাওয়া এমনকি সেই সুখী দিনে ফিরে যাওয়া,


যখন 'মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রুম্যান স্বল্পসংখ্যক ওয়াল স্ট্রাটের আইনবিদ এবং ব্যাংকারদের সহযোগিতায় দেশকে পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছিলেন' এবং এভাবে গণতন্ত্র প্রসারিত হয়েছিল। ত্রিপাক্ষিকবাদীরা সংবিধানের প্রকৃত উদ্দেশ্যে অনড় থাকার দাবি করেন, যেটি ঐতিহাসিক গর্ডন উডের সঠিক ভাষ্য মতে 'একটি অভিজাত দলিল, যা অন্তর্নিহিতভাবে নির্দিষ্ট সময়কালের গণতান্ত্রিক প্রবণতাগুলোকে বাধা দেওয়ার জন্য পরিকল্পিত হয়।' এটি জনগণের 'অধিকতর ধনী অংশের' ক্ষমতায়নের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং 'যাঁরা ধনী নন, কিন্তু ভালো বংশের অথবা রাজনৈতিক চর্চার দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ' তাঁদের ক্ষমতায়নকে বাধা দেয়। মেডিসনের যুক্তি অনুযায়ী আমাদের স্বীকার করা উচিত, তাঁর মানসিকতা ছিল প্রাক পুঁজিবাদী। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী ক্ষমতা তাদের হাতে দেওয়া উচিত, যারা জাতির মধ্যে সবচেয়ে সম্পদশালী, জনগণের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমতাবান গোষ্ঠী। তিনি ওই ব্যক্তিদের আদর্শ ভেবে নিয়েছিলেন, যারা কল্পিত রোমান বিশ্বে 'আলোকিত রাষ্ট্র পরিচালক' এবং 'দয়ালু দার্শনিক'। তারা যেন বিশুদ্ধ এবং মহান। সেই সব মানুষ, যারা বুদ্ধিমত্তা, দেশপ্রেম, বিত্ত এবং স্বাধীন অবস্থাগুলোর অধিকারী। যার জ্ঞান দেশের প্রকৃত স্বার্থ অনুধাবন করতে পারে এবং যার দেশপ্রেম ও ন্যায়ের প্রতি ভালোবাসা তার সাময়িক কিংবা আংশিক স্বার্থকে ত্যাগ করার মানসিকতা অর্জনে সহায়ক হয়। জন্মসূত্রে ওই সব ব্যক্তি জনগণের দৃষ্টিভঙ্গিকে বিশুদ্ধ এবং বৃহৎ করে তোলে। গণতান্ত্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠতার ক্ষতির বিরুদ্ধে জনগণের স্বার্থকে তত্ত্বাবধায়ন করে, ঠিক একইভাবে প্রগতিশীল উইলসনিয়ান বুদ্ধিজীবীরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন। আচরণ বিজ্ঞানের আবিষ্কারের মাধ্যমে যা ১৯৩৯ সালে মনোবিদ এবং শিক্ষা-সংক্রান্ত তাত্তি্বক এডওয়ার্ড থর্নডিকের ব্যাখ্যায় বোঝা যায় যে 'মানব জাতির মহৎ সৌভাগ্য যে বুদ্ধিমত্তা এবং নৈতিকতার মধ্যে পর্যাপ্ত পারস্পরিক সম্পর্ক, যার অন্তর্গত রয়েছে সহকর্মীদের সুখ্যাতি... ফলত সক্ষমতায় আমাদের শ্রেষ্ঠরা রয়েছে গড়পড়তায় জনহিতকারী অবস্থায় এবং আমাদের তুলনায় তাদের ওপর আমাদের স্বার্থের ব্যাপারে বিশ্বাস রাখা অধিকতর নিরাপদ।'
একটি স্বস্তিদায়ক মতবাদ, যদিও কেউ কেউ অনুভব করে যে অ্যাডাম স্মিথের অধিকতর তীক্ষ্ন দৃষ্টি ছিল।...
এটি ক্ষমতার প্রথম দিকেই প্রচলিত ছিল যেসব বুদ্ধিজীবী তাঁদের সরকারগুলোর পক্ষে কাজ করবে, তাঁদের দায়বদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং অর্থবহ বুদ্ধিজীবীরা খারিজ হয়ে যাবেন অথবা তাঁদের সম্ভ্রমহানি করা হবে। শক্রদের কথা মনে রেখে দুই শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে পার্থক্য অব্যাহত রয়েছে, কিন্তু অর্থবহতা পাল্টে গেছে। পুরনো সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় অর্থবহ বুদ্ধিজীবীরা সম্মানিত ভিন্নমতাবলম্বী হিসেবে বিবেচ্য হতেন, তখন শুধু আমরা অ্যাপারচিকস বুদ্ধিজীবীদের ভিন্নমতাবলম্বীদের সম্মান করি এবং তাঁদের নিন্দা করি, যাঁরা ধর্মীয় শাসকদের প্রতি আনুগত্য পোষণ করেন; এবং অন্যত্র সাধারণভাবে। সম্মানজনক উপাধি ভিন্নমতাবলম্বী নির্বাচিতভাবে ব্যবহার করা হয়। এটা অবশ্যই গূঢ়ার্থে স্বদেশে অর্থবহ বুদ্ধিজীবীদের ক্ষেত্রে কিংবা যাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। নেলসন ম্যান্ডেলার ক্ষেত্রে এ বিষয়টি খুবই চমকপ্রদ, যাঁর নাম ২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিক সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এখন তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারেন কোনো বিশেষ কর্তৃপক্ষের তদারকি ছাড়াই। বিশ বছর আগে তিনি ছিলেন সেই অপরাধী নেতা, যাঁর নাম পেন্টাগনের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে কুখ্যাত সন্ত্রাসী তালিকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ জন্যই সে সময় রাষ্ট্রপতি রিগ্যান দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শাসনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করেছিলেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা তার প্রতিবেশী দেশগুলোতে যে লুণ্ঠন চালিয়েছিল তাতে সমর্থন জানিয়েছিলেন। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই সময়ে এই লুণ্ঠনের কারণে ১.৫ মিলিয়ন জনগণ মৃত্যুবরণ করেছিল। এটি ছিল রিগ্যানের সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধের একমাত্র উপাখ্যান, যাকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন আধুনিক যুগের প্লেগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে অথবা মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব জর্জ শুলজ আখ্যায়িত করেছেন বর্তমান সময়ে বর্বরতার আগমন হিসেবে। এর সঙ্গে অন্যান্য অর্জন হিসেবে আমরা যুক্ত করতে পারি মধ্য আমেরিকার শত সহস্র এবং মধ্যপ্রাচ্যে হাজার হাজার মৃত্যুকে।
লাতিন আমেরিকার কাহিনী প্রকাশিত হয়েছে। যাঁরা লাতিন আমেরিকায় স্বাধীনতা এবং ন্যায়ের পক্ষে কাজ করেন তাঁদের সম্মানিত ভিন্নমতাবলম্বী হিসেবে গণ্য করা হয় না। উদাহরণস্বরূপ বার্লিন ওয়ালের পতনের এক সপ্তাহ পর ছয়জন অগ্রসর লাতিন আমেরিকান বুদ্ধিজীবী, যাঁরা সবাই খ্রিস্টান ধর্মযাজক ছিলেন, তাঁদের মাথা সালভাদোরান উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ড সংঘটনকারীদের বেছে নেওয়া হয়েছিল অভিজাত ব্যাটালিয়ন থেকে। সশস্ত্র এবং প্রশিক্ষিত হয়েছিল ওয়াশিংটন দ্বারা। তাদের একটি রক্তাক্ত এবং সন্ত্রাসের বিভীষিকা তৈরির দক্ষতা ছিল এবং তারা তখন কেবল বিখ্যাত জন এফ কেনেডি বিশেষ যুদ্ধ কেন্দ্র ও উত্তর ক্যারোলিনার ফোর্ট ব্রেগ থেকে প্রশিক্ষিত হয়ে ফিরেছিল। ঠিক টেকনোক্র্যাটিক একইভাবেও নীতি ইরানে আমার নির্ধারক সাহসী খ্রিস্টান ধর্মযাজকরা সম্মানিত ভিন্নমতাবলম্বী হিসেবে বিবেচ্য বা স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারেনি। সম্মানিত ভিন্নমতাবলম্বী তাঁরাই, যাঁরা পূর্ব ইউরোপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, তাঁরা কিছুটা ভুক্তভোগী, কিন্তু লাতিন আমেরিকায় তাঁদের প্রতিমূর্তিদের মতো নয়। সম্প্রতি জন কোটসওয়ার্থ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য প্রকাশিত তাঁর ঠাণ্ডা যুদ্ধবিষয়ক গ্রন্থে লিখেছেন, ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৯০-এ সোভিয়েতের বিপর্যয় পর্যন্ত লাতিন আমেরিকায় যে পরিমাণ রাজনৈতিক বন্দি নির্যাতিত ছিল এবং অহিংস রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তা সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং এর অনুগামী পূর্ব ইউরোপকে অনেক আগেই অতিক্রম করে গেছে। অসংখ্য ধর্মীয় শহীদের মৃত্যু এবং গণহত্যার পেছনে ওয়াশিংটনের সমর্থন ছিল।
১৯৬০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত লাতিন আমেরিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত যুদ্ধের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিমুখ বিবেচনা করা যায়, তারা চার্চের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেছে। বিশেষ করে ১৯৬২ সালে ভ্যাটিকান দ্বিতীয়ে যে প্রচলিত ধর্মীয় মতের বিরুদ্ধে ভিন্ন মত নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন পোপ জন ২৩তম, তাঁকে ধ্বংস করার দায়িত্বভার মার্কিন প্রশাসন নিয়েছিল। ওই মতকে অভিহিত করা হয় 'ক্যাথলিক চার্চের ইতিহাসে নতুন যুগের সূচনাকারী' হিসেবে। ধর্মতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ হানস ক্যুঙ যাকে চিহ্নিত করেছেন গসপলের শিক্ষা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা হিসাবে, যা চতুর্থ শতাব্দীতে সম্রাট কনস্তাতাইন কর্তৃক রোমান সাম্রাজ্যে ধর্ম হিসেবে ক্রিশ্চায়ানিটিকে প্রতিষ্ঠা করার পর উধাও হয়ে গিয়েছিল। তিনি একটি বিপ্লব প্রতিষ্ঠিত করেন, যার ফলে 'যন্ত্রণা ভোগকারী চার্চকে' 'যন্ত্রণাদায়ক চার্চে' রূপান্তরিত করা হয়। ভ্যাটিকান দ্বিতীয়ের প্রচলিত ধর্মীয় মতের বিরুদ্ধে ভিন্ন মতকে লাতিন আমেরিকান বিশপরা গ্রহণ করেছিলেন। তাঁরা 'দরিদ্রের প্রতি প্রাধিকার দেওয়ার' নীতি গ্রহণ করেছিলেন। যাজক, নান এবং অযাজকীয় ব্যক্তিরা দরিদ্রের জন্য রাডিক্যাল শান্তিবাদী বাণী প্রচার করেছিলেন, যা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যবাদী নীতির ফলে যে দুর্ভাগ্য ওই সব জনগণ বহন করেছিল তা থেকে উত্তরণের বাণী। ওই একই বছর ১৯৬২ সালে রাষ্ট্রপতি কেনেডি কিছু সমালোচনামূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এর মধ্যে একটি ছিল 'গোলার্ধের প্রতিরক্ষার জন্য' আমেরিকান সেনাবাহিনীকে স্থানান্তরিত করা একটি কালপ্রমাদ, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে চলে আসছিল_'অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার' নামে সমষ্টিগত জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, যদি তারা তাদের মাথা জাগ্রত করে। চার্লস মিছলিং, যিনি মার্কিন বিদ্রোহ দমন নীতি এবং অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষার ব্যাপারটিকে ১৯৬১-১৯৬৬ সাল পর্যন্ত পরিচালনা করতেন, তিনি এ ব্যাপারটির ফলাফল ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, এই ১৯৬২ সালের সিদ্ধান্তের ফলে সহনশীলতার বদলে 'ল্যাটিন আমেরিকান সেনাবহিনীর লোলুপতা এবং নিষ্ঠুরতা বৃদ্ধি পেল' ও 'তাদের সরাসরি দুষ্কর্মে' মার্কিন সহায়তা পেল। একে 'হেনরিক হিমলারের ধ্বংসকারী বাহিনীর' সঙ্গে তুলনা করা যায়। এর একটি সামরিক উদ্যোগ হলো, ব্রাজিলে সামরিক অভ্যুত্থান, যার পরিকল্পনা হয়েছিল ওয়াশিংটনে এবং কেনেডির হত্যাকাণ্ডের অল্প কিছুদিন পরেই তা বাস্তবায়িত হয়েছিল। ফলে একটি হত্যাকারী এবং নিষ্ঠুর রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটল। দমন নীতির এই মহামারি গোটা গোলার্ধে ছড়িয়ে পড়ল, যার মধ্যে রয়েছে ১৯৭৩ সালে পিনোচেটের নেতৃত্বে চিলিতে সামরিক অভ্যুত্থান। এর কিছুদিন পর সবচেয়ে কলুষিত ঘটনাটি ঘটল। আর্জেন্টিনায় সামরিক অভ্যুত্থান ঘটল, এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারীরা রিগ্যানের সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিতে পরিণত হলেন। মধ্য আমেরিকায় এই পরিবর্তনের ফলে ১৯৮০-র দশকে 'উষ্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ ভূতের' নেতৃত্ব সেখানে প্রতিষ্ঠিত হলো।
বার্লিন ওয়াল পতনের পর যাজক বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ড ছিল ভিন্ন মতকে পরাজিত করার জন্য চূড়ান্ত ঝড়। ওই হত্যাকাণ্ডের পর এল সালভাদরে এক ভয়াবহ দশকের সূচনা ঘটে। এর পর আর্চবিশপ ওস্কার রোমারিও, যাঁকে 'কণ্ঠহীনদের কণ্ঠস্বর' হিসেবে অভিহিত করা হতো তাঁকে হত্যা করা হয়। চার্চের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয় তাদের দায়বদ্ধতাকে গর্বের সঙ্গে অনুভূত করায়। আমেরিকান সামরিক বিদ্যালয়গুলো লাতিন আমেরিকান হত্যাকারীদের প্রশিক্ষণ গৃহ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভ্যাটিকান দ্বিতীয়ের যে স্বাধীন ধর্মতত্ত্বের প্রতি সমর্থন ছিল, তাকে মার্কিন সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পরাজিত করা হয়। প্রকৃত অর্থে, ১৯৮৯ সালের নভেম্বর মাসের হত্যাকাণ্ড ছিল একটি চূড়ান্ত ঝড়। এ ধরনের আরো ঘটনার প্রয়োজন পড়ল।
(চলবে)

No comments

Powered by Blogger.