ঈদের আগে মাওয়া ঘাটের চিত্র

ত ৪ নভেম্বর ভোরে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে ১ ঘণ্টার মধ্যে মাওয়া চৌরাস্তায় ট্রাফিক পয়েন্টে ১০ কিলোমিটার আগ থেকে সারিবদ্ধভাবে কয়েকশ' ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। কয়েকজন পুলিশের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। চৌরাস্তায় ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে ঘাট পর্যন্ত কয়েকশ' পুলিশের উপস্থিতি ও যাত্রীদের সুবিধার্থে লোকাল গাড়িগুলোকে চৌরাস্তায় যাত্রী নামিয়ে দিয়ে দূরে গিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়।


অন্যবার দেখেছি, শত শত লোকাল বাস ঘাটের পথে ও সামনে জ্যাম লাগিয়ে নিদারুণ সংকটের সৃষ্টি করে, কোনো ছোট গাড়ি কেন, খালি হাতে যাত্রীদেরও এ জ্যামে হিমশিম খেতে হয়েছে। এবার চৌরাস্তা থেকে ঘাটের দিকে কিছু দূর এগিয়ে হাতের ডানে খোলা মাঠ ও হাতের বাঁয়ে দোকানের পেছনে মাঠে ছোট গাড়িগুলোকে পুলিশের সদস্যরা শৃঙ্খলভাবে দাঁড় করে রেখেছে। সময় হলে একটি ফেরিতে যে কয়টি ছোট গাড়ি যেতে পারে সে কয়টি গাড়ি ফেরিতে পাঠাচ্ছে। এদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বিনীত ও ভদ্র আচরণ দেখেও প্রীত হলাম। ছোট গাড়িগুলো মানুষের ভিড়ে আস্তে আস্তে গিয়ে ফেরিতে উঠছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হলো তারা এবার প্রমাণ করতে চাইছে, 'আমরাও পারি' কথাটার প্রকৃত প্রতিফলন ঘটাতে।
গত ৫ নভেম্বর একটি সংবাদপত্রে 'মাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলবাসীর দুর্ভোগ' প্রতিবেদনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে মাওয়া ঘাট যানজটমুক্ত কথাটির কোনো উল্লেখ নেই। সাধারণ যাত্রীদের আধাকিলোমিটার বা তারও একটু বেশি হেঁটে ফেরি, লঞ্চ বা স্পিডবোটে স্বস্তির সঙ্গে পারাপার দেখে এবং হেঁটে আসা ২-৪ জন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে যানজটমুক্ত এ সামান্য পথটুকু হেঁটে এসে সময়মতো পার হতে পারছেন_ একথা স্বস্তির সঙ্গে বললেন।
ডা. শেখ বনি আমিন (মুক্তিযোদ্ধা)
ফকিরহাট, বাগেরহাট
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমীপে
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন বছর মেয়াদি ডিগ্রি পাস কোর্সে ভর্তি কার্যক্রম অবিশ্বাস্য দ্রুততায় শেষ করায় বিপাকে পড়েছে আমার মতো শত শত শিক্ষার্থী। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাসের কাগজপত্র তুলতে দেরি হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির তারিখ বিষয়ে ধীরেসুস্থে খোঁজ নেয়। আমার মতো অন্য শিক্ষার্থীরাও মনে করেছিল ফল প্রকাশের কয়েক মাস পরই ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি শুরু হবে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে খোঁজ নিলেও দায়িত্বরতরা ভর্তির তারিখ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি। রাজধানীর একাধিক কলেজ কেন্দ্রে খোঁজ নিলে আমাকে বলা হয়, 'ডিগ্রিতে ভর্তির বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না, আপনি আঞ্চলিক কেন্দ্রে গিয়ে খোঁজ নেন।' প্রসঙ্গত, বিভিন্ন কলেজের নিজস্ব জনবলের কয়েকজন তাদের কাজের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেন। ফলে সঠিক তথ্য পেতে আমাদের প্রায়ই সমস্যা হয়। একপর্যায়ে আমি আঞ্চলিক সমন্বয় কেন্দ্র ঢাকা কলেজে গিয়ে জানতে পারি, গত ১২ অক্টোবর ভর্তি ফরম সংগ্রহ ও ভর্তির তারিখ শেষ হয়ে গেছে। আমার মতো অনেকেই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় বা অন্য কোথাও দেখতে পায়নি। এমতাবস্থায় আমাদের মূল্যবান একটি বছর নষ্ট হতে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটু সদয় হয়ে চলতি সেশনে পুনঃভর্তির সুযোগ দিলে আমার মতো অনেক শিক্ষার্থী উপকৃত হবে।
মোঃ নুরুল হুদা
দক্ষিণ কমলাপুর, ঢাকা
অভিজ্ঞতা পাব কোথায়?
বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকা এবং অনলাইনে সার্চ করলে অনেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিই চোখে পড়ে। কিন্তু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে একটি জায়গায় মনে খটকা লাগে। যখন দেখি বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য তিন থেকে পাঁচ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে। অভিজ্ঞতার এই বিষয়টির কথা ভাবলেই অথৈ সাগর দেখি। কারণ আমরা নবীন গ্র্যাজুয়েট যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাস করেছি তারা কোথাও চাকরি না পেয়ে কীভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করব? অভিজ্ঞতা নেই বলে কি আমরা চাকরি পাব না? যদি চাকরি না-ই পাই তাহলে অভিজ্ঞতা পাব কোথায়? আমরা শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে স্বপ্ন দেখে আসছি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে চাকরি পাব। কিন্তু 'অভিজ্ঞতা' আমাদের স্বপ্নকে পরিণত করছে দুঃস্বপ্নে। এর দায়ভার কে নেবে? সরকারি এবং বেসরকারি উচ্চপদস্থ নিয়োগকর্তাদের প্রতি আবেদন, আপনারা কি পারেন না আমাদের মতো নবীন গ্র্যাজুয়েটদের নিয়োগ দিয়ে কাজ শেখাতে? এই গ্র্যাজুয়েটদের কাজে লাগানো হলে দেশের অর্থনীতির চাকা হবে সচল এবং দূর হবে বেকারত্ব।
মোঃ মাইন উদ্দিন সোহাগ
শিক্ষার্থী, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

No comments

Powered by Blogger.