স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিটিতে সদস্য হওয়া যাবে না, এ ধরনের আইনও আমার জানা ছিল না by ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান

যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য আমি কোনো তদবির করিনি। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদের পরামর্শক্রমে আমাকে ওই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করেছেন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই আমি দায়িত্ব নিয়েছি।


এ ছাড়া স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিটিতে সদস্য হওয়া যাবে না, এ ধরনের আইনও আমার জানা ছিল না। এখন প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে বাদ দেন তাহলে তা মাথা পেতে নিতে হবে। এ ছাড়া আমার আর করণীয় কিছুই নেই। যোগাযোগ খাতে আমার ব্যবসা আছে এটি ঠিক; কিন্তু সভাপতি হওয়ার সুবাদে মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজে প্রভাব খাটিয়েছি, এমন কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। রাজনীতির মাঠে অনেক দিন ছিলাম। দেশ ও জনগণের জন্য অনেক কাজ করেছি। এখনো দেশের জন্যই কাজ করতে চাই। শেষ বয়সে এসে চাওয়া-পাওয়ার কোনো খেদ নেই। আমার কোনো কর্মকাণ্ডে সরকার বিব্রত হোক এটাও কখনো চাই না। তাই নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের কার্পণ্য কিংবা অনিয়ম করছি না। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরাও আছেন। তাঁরা সব সময় খোলা মনে কথাও বলেন। সরকারের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করেন। এখানে কোনো বাধা নেই। কমিটির সভাপতি হওয়ার সুবাদে সরকারের কোনো দরপত্রে প্রভাব খাটিয়েছি, এমন কোনো প্রমাণ নেই। কারণ এ ধরনের কোনো কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে সংসদীয় কমিটির সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই। প্রধানমন্ত্রী চাইলে তিনি কমিটিগুলো আবার পুনর্গঠন করতে পারেন। সংসদীয় কমিটির কাজ সরকারের কাজে স্বচ্ছতা আনা, কোনো ধরনের বাধা দেওয়া নয়। সংসদীয় কমিটিগুলো মিনি পার্লামেন্ট। আমরা তা প্রমাণ করার জন্যই কাজ করে যাচ্ছি, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

No comments

Powered by Blogger.