চট্টগ্রামে দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট

ণপরিবহনে বর্ধিত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বাসযাত্রীদের সঙ্গে চালক-শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে টানা দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন চট্টগ্রামের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এ ছাড়া এ সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৬৪টি রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়।

গতকাল রবিবার বিকেলে সিটি বাস মালিক সমিতি কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা ও মহানগর সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা। চট্টগ্রাম জেলা পরিবহন মালিক গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন নাজিম উদ্দিন, মোজাহের হোসেন, অধ্যাপক আবু তৈয়ব, মোহাম্মদ ইয়াসিন, মোহাম্মদ প্রমুখ।
দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট ডাকার বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সকালে নগরীর বহদ্দারহাটে বর্ধিত ভাড়া আদায় নিয়ে চারটি মিনিবাস ভাঙচুর করেছে যাত্রী নামধারী কতিপয় সন্ত্রাসী। এ সময় মোহাম্মদ ইউনূস নামের এক চালক এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হককে ব্যাপক মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। প্রশাসনের সহযোগিতা ও নিরাপত্তা না পেয়ে শ্রমিকরা বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। এ পরিস্থিতিতে আমরা বাধ্য হয়ে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি।'
সম্প্রতি জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর সরকার গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ায়। চট্টগ্রাম মহানগরীতে গত শুক্রবার থেকে বর্ধিত ভাড়া কার্যকর হয়। ছুটি শেষে গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে এ বর্ধিত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে নগরীর বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের সঙ্গে পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের বাগ্বিতণ্ডা ও সংঘর্ষ হয়েছে। এর মধ্যে সকাল ৯টায় বহদ্দারহাট এলাকায় সংঘর্ষের পাশাপাশি চারটি মিনিবাস ভাঙচুর হয়েছে। এ সময় দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় প্রায় এক ঘণ্টা ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।

No comments

Powered by Blogger.