পার্লামেন্টারি তদন্তের মুখে ব্লেয়ার

লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখায় পার্লামেন্টারি তদন্তের মুখে পড়তে যাচ্ছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। ব্লেয়ারের সঙ্গে গাদ্দাফির প্রতিটি বৈঠকের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানোর দাবি করেছেন পার্লামেন্টের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা।ব্রিটিশ পার্লামেন্টের রক্ষণশীল দলের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক কমিটির সভাপতি রিচার্ড ওটাওয়ে বলেন, ব্লেয়ারের লিবিয়া-সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু করা যায় কি না তা নিয়েই এ সপ্তাহে সদস্যরা আলোচনা করেছেন। সামনের সপ্তাহেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।

গাদ্দাফির সঙ্গে ব্লেয়ারের সখ্যের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের অনুরোধ করেছেন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের লিবিয়াবিষয়ক সর্ব দলীয় কমিটির প্রধান রক্ষণশীল দলের ড্যানিয়েল কাউজিনস্কি। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে চিঠিও দিয়েছেন। কাউজিনস্কি বলেন, সরকারের উচিত গাদ্দাফি প্রশাসনের আর্কাইভে সংরক্ষিত তথ্যাদি সংগ্রহ করে ক্ষমতায় থাকাকালে ও ক্ষমতা ছাড়ার পর লিবিয়ার সঙ্গে ব্লেয়ারের কী সম্পর্ক ছিল, তা পর্যালোচনা করা। 'তিনি (ব্লেয়ার) আদতেই লিবিয়ার সঙ্গে কোনো লাভজনক বাণিজ্যে যুক্ত ছিলেন কি না তা আমাদের জানা প্রয়োজন।
লকারবি হামলায় দোষী সাব্যস্ত আবদেল বাসেত আল-মেগরাহির মুক্তি পাওয়ার আগের ১৪ মাসে গাদ্দাফির সঙ্গে অন্তত পাঁচবার বৈঠক করেন ব্লেয়ার। এর মধ্যে ২০০৯ সালে একবার ব্লেয়ার লিবিয়ায় যান মার্কিন বিনিয়োগকারী ব্যাংক জেপি মর্গান ও একটি রুশ প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য দুতিয়ালি করতে। জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে ব্লেয়ার এ ব্যাংকের কাছ থেকে প্রতিবছর ২০ লাখ পাউন্ড পান। সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ।

No comments

Powered by Blogger.