তথ্য ফাঁস ঠেকাতে নতুন উদ্যোগ ওবামার

ইকিলিকসে নথি ফাঁস হওয়ার মতো ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে নতুন আদেশ জারি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গত শুক্রবার এ আদেশ দেন তিনি।তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষা ও এ ক্ষেত্রে কোনো নিয়মের লঙ্ঘন হলে তা শনাক্ত করতে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন ওবামা। পাশাপাশি স্পর্শকাতর তথ্য নিয়ে কাজ করেন এমন সরকারি কর্মকর্তা, আমলা, কূটনীতিক ও সৈন্যদের কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারির জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক ওই টাস্কফোর্সের নেতৃত্ব দেবেন। তাঁরা এক বছরের মধ্যে তথ্য চুরি রোধে সরকারের নীতি ঠিক করার পাশাপাশি তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের মানদণ্ড ঠিক করবেন।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'আমাদের প্রচেষ্টার কৌশলগত উদ্দেশ্য হলো_গোপন তথ্যের যথেষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও পেশাগত কারণে যাদের তথ্যগুলো প্রয়োজন তাদের মধ্যে সেগুলোর বিনিময় করা।'
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রায় আড়াই লাখ গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ সম্পাদিত বিকল্প ধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস।
এসব নথিতে দেখা যায়, বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তা সম্পর্কে মার্কিন কূটনীতিকরা 'অসংযত' মন্তব্য করেছেন। এগুলো প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চরমভাবে ক্ষুব্ধ হন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে।
অ্যাসাঞ্জের কাছে এসব তথ্য পাচারের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্র্যাডলি ম্যানিংকে অভিযুক্ত করে। বর্তমানে তিনি কারাবন্দি আছেন।
পেন্টাগন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি ফাঁসের ঘটনা তদন্তকারী মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় ইরাকে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে কর্মরত নিরাপত্তা বিশ্লেষক ম্যানিং তথ্য পাচারের সুযোগ পান। সূত্র : রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.