রাকিব হত্যা: সাজা কমে ২ আসামির যাবজ্জীবন

মলদ্বার দিয়ে পেটে বাতাস ঢুকিয়ে খুলনার আলোচিত শিশু রাকিব হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের দু'জনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। এর আগে ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর শিশু রাকিব (১২) হত্যার দায়ে আসামি মো. শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা। রায় ঘোষণার মাত্র দুই দিনের মধ্যে ওই বছরের ১০ নভেম্বর এই মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এরপর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি রাকিব হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। গত ২৯ মার্চ এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষ হয়। ওই দিনই রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম।
আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গোলাম মো. চৌধুরী আলাল। খুলনার বিচারিক আদালত রায়ে মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামি শরীফের মা বিউটি বেগমকে খালাস দেন আদালত। হাইকোর্টের রায়ে আজ তা বহাল রইলো। এদিকে আসামিদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত শিশু রাকিবের পরিবার। তারা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান। ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বিকালে খুলনার টুটপাড়ায় শরীফ মোটরস নামে এক মোটরসাইকেলের গ্যারেজে পেটে বাতাস ঢুকিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে শিশু রাকিবকে হত্যা করা হয়। পরদিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে শরীফ, শরীফের সহযোগী মিন্টু খান ও মা বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। বহুল আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডে মামলা হওয়ার ৯৬ দিন পর বিচারিক আদালত আসামি মো. শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন। আর শরীফের মা বিউটি বেগমকে খালাস দেন।

No comments

Powered by Blogger.