ডলারের রিজার্ভ বৃদ্ধি : সদ্ব্যবহার করতে হবে by ড. আর এম দেবনাথ

যে খবরটি দিয়ে আজকের নিবন্ধ শুরু করতে চাই, আমার ধারণা এ সম্পর্কে অনেকেই অবহিত। খবরটি মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য সংক্রান্ত। বাংলাদেশের বাজারে এ মুহূর্তে এক ডলার সমান ৭৭-৭৮ টাকা। সরকারিভাবে যা ‘কার্ব’ মার্কেটেও মোটামুটি তাই। এক সময় ডলারের মূল্য ছিল ঊর্ধ্বমুখী, এখন তা বলা যায় নিুমুখী। আমাদের তুলনায় প্রতিবেশী দেশগুলোয় ডলারের অবস্থা কী? আমি শ্রীলংকা, নেপাল অথবা ভুটানের দিকে যাব না। আমি তুলনা করতে চাই ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থার সঙ্গে। ভারতে এ মুহূর্তে ডলারের বাজারমূল্য মোটামুটি ৬১-৬২ ভারতীয় রুপি। শুনেছি হুন্ডিতেও নাকি একই বিনিময় মূল্য যাচ্ছে। ১০০ বাংলা টাকায় ৮০-৮১ ভারতীয় রুপি পাওয়া যায় কলকাতা নিউমার্কেটের আশপাশের দোকানগুলোতে। এটা ‘ওপেন সিক্রেট’। অর্থাৎ ৭৭-৭৮ টাকা দিয়ে ডলার কিনে ভারতীয় রুপিতে পাওয়া যাচ্ছে ৬১-৬২ রুপি। আবার ‘হুন্ডিতে’ ১০০-এর বদলে ৮০-৮১ রুপি।
পাকিস্তানের রুপির বিনিময় মূল্য কত? এ মুহূর্তে এক ডলারে পাওয়া যায় ১০২-০৩ পাকিস্তানি রুপি। এ অবস্থায় বাংলাদেশী টাকার মূল্যমান কতটা শক্ত- তুলনাটা করা যায় অতীতের তথ্য নিলে। আজ থেকে ২০-৩০ বছর আগে ১০০ টাকায় পাওয়া যেত ৪০-৪২ ভারতীয় রুপি। কখনও কখনও ৩৮-৪০ রুপি। পাকিস্তানের রুপি ১৯৭০ সালের দিকেও ভারতীয় রুপির তুলনায় শক্ত ছিল। বলা যায় বিগত ২০-৩০ বছরে বাংলাদেশের টাকার বিনিময় মূল্য যথেষ্ট উন্নত হয়েছে। টাকা অনেক ‘সাবালক’ অথবা শক্ত হয়েছে। এটা কোনো ফেলনা কারেন্সি নয়। প্রমাণ ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় মূল্য। প্রমাণ ডলারের মাধ্যমে ভারতীয় রুপি বা পাকিস্তানি রুপির বিপরীতে আমাদের টাকার মূল্যমান।
প্রশ্ন, টাকার এ সামর্থ্য অর্জন কি এমনি এমনি হয়েছে? টাকা যে ডলারের বিপরীতে, ভারতীয় রুপি ও পাকিস্তানি রুপির বিপরীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াল, তার কারণ কী? কারণ আর কিছুই নয়, অর্থনীতির ‘সাবালকত্ব’ অর্জন। সাবালকত্বের প্রমাণ অনেক কিছু হতে পারে। জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার, আমদানি ও রফতানির তথ্য, কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, রেমিটেন্স, শিল্পায়ন ইত্যাদির তথ্য সাবালকত্বের সপক্ষে হাজির করা যায়। এসবের সম্মিলিত ফলই হচ্ছে ‘বৈদেশিক মুদ্রা মজুদ’ (ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ)। কয়েকদিন আগেই খবরের কাগজগুলোতে বিশাল শিরোনামে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ সংক্রান্ত একটা খবর ছাপা হয়েছে। একটি শিরোনাম হচ্ছে : ‘রিজার্ভ বেড়ে ২৩০০ কোটি ডলার’। উল্লেখ্য, এ পরিমাণ রিজার্ভ সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বস্তুত বেশ কিছুদিন ধরেই বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে বাংলাদেশ একের পর এক রেকর্ড সৃষ্টি করে চলেছে।
বলা হয়, একটি দেশের তিন মাসের পণ্য আমদানির জন্য যে পরিমাণ ডলার দরকার সেই পরিমাণ ডলার ‘রিজার্ভ’ হিসাবে থাকলেই যথেষ্ট। কিন্তু হিসাবে দেখা যায় আমাদের এ মুহূর্তে আছে সাত-আট মাসের আমদানির সমপরিমাণ ডলার। আমাদের ২৩০০ কোটি তথা ২৩ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে ভারতের রিজার্ভের পরিমাণ কত? সর্বশেষ হিসাবে দেখা যায়, তাদের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পরিমাণ ৩৩৩ বিলিয়ন ডলার। এদিকে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পরিমাণ মাত্র ১৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ পাকিস্তানের রিজার্ভের তুলনায় আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ সাত বিলিয়ন ডলার বেশি। এ খবর আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দদায়ক। কারণ স্বাধীনতার আগে একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিক প্রচার করতেন, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ ‘আলাদা’ হলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে বাঁচতে পারবে না। বাংলাদেশের কোনো রফতানিযোগ্য পণ্য থাকবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। আজ বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে তার অর্থনীতি অনেক মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তার মুদ্রার মানই এর প্রমাণ। পাকিস্তানের মুদ্রার তুলনায় বাংলাদেশের টাকা অনেক বেশি শক্ত। বৈদেশিক মুদ্রা তার পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এত বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ কী? এটা কি সত্যি সত্যি অবিমিশ্র আশীর্বাদ, না এ ক্ষেত্রে আমাদের সতর্কতা গ্রহণ করা উচিত? বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রথমত বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বিপুলভাবে হ্রাস পেয়েছে, খাদ্যশস্য আমদানির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। দ্বিতীয়ত, দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি ভালো নয় বিধায় ডলারের খরচ কম হচ্ছে। এদিকে রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধির হার মোটামুটি সন্তোষজনক। সন্তোষজনক রফতানি প্রবৃদ্ধির হারও। অধিকন্তু, আমাদের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা বিদেশ থেকে ঋণ নিচ্ছেন। এর ডলার আমাদের রিজার্ভে যোগ হচ্ছে। মোটামুটি এসব কারণের কথাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে এবং আমরাও সাদামাটা চোখে তা দেখছি। কারণগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সত্যি সত্যি আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অর্ধেকেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। শুধু তেলের দাম নয়, আমাদের আমদানিযোগ্য প্রায় সব ধরনের পণ্যের দামই আন্তর্জাতিক বাজারে হ্রাস পেয়েছে। এতে অনেক টাকা বা ডলার সাশ্রয় হচ্ছে। আবার স্থানীয় বাজারে পণ্যের কাটতি কম থাকায় আমদানিও কম হচ্ছে। অর্থাৎ আমরা পণ্যের দামে যেমন স্বস্তি পাচ্ছি, তেমনি ‘ভলিউম’ বা পরিমাণেও স্বস্তি পাচ্ছি।
কিন্তু এর বিপরীতে একটা সমস্যাও দেখা দিয়েছে। তেল বাদে অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দাম কমার ফলে দেশীয়ভাবে অনেক ব্যবসায়ী লোকসান দিয়েছেন। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তেমনি এর কুফল পড়ছে এখন ব্যাংকের ওপর। ব্যাংকগুলোকে ঋণ পুনঃতফসিল করতে হচ্ছে, সুদ মওকুফ করতে হচ্ছে। এদিকে তেলের দাম হ্রাসের কোনো সুবিধা সাধারণ ভোক্তারা পায়নি। প্রতিবেশী দেশ ভারতে তেলের দাম কমার সুবিধা সাধারণ মানুষ পেয়েছে। ভারত সরকার কমপক্ষে সাতবার তেলের দাম কমিয়েছে। কিন্তু আমাদের সরকার একবারও কমায়নি। এটা একটা বাজে উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে। দ্বিতীয় যে কারণের কথা বলা হয়েছে তা হচ্ছে খাদ্যশস্যের আমদানি হ্রাস। এটা সত্য। আমাদের আগের মতো লাখ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয় না। বরং কিছু চাল আমরা শ্রীলংকায় রফতানি করেছি। এই অর্থে চালের আমদানি সূত্রে ডলারের ওপর কোনো চাপ নেই। আবার বিনিয়োগ ক্ষেত্রেও রয়েছে মন্দা। অবকাঠামোর দুর্বলতা, গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তো আছেই। সর্বোপরি বাধা এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা। রাজনৈতিক অস্থিরতা বললে কম বলা হয়। আজ প্রায় দুই মাস ধরে চলছে হরতাল-অবরোধ। এর মাঝেই ঘটছে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনা। নিরীহ লোক মারা যাচ্ছে সহিংসতা ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে। এতে এমনিতেই মন্দাভাব, বিনিয়োগে নিয়ে এসেছে আরও গভীরতর মন্দা। ফলে শিল্পায়নের কাজে মন্থরতা দেখা দিয়েছে। শিল্পায়ন না হলে ক্যাপিটেল মেশিনারিজ আমদানি কম হয়। এতে ডলার খরচ কম হয়। এ কারণেও ডলার রিজার্ভে স্ফীতি ঘটছে। অধিকন্তু বিদেশী ঋণের ফলে ডলার রিজার্ভ আরও স্ফীত হচ্ছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রটি আবার উদ্বেগের বিষয় হয়েও দেখা দিচ্ছে।
খবরের কাগজের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা বিদেশ থেকে ঋণ গ্রহণের দিকে ঝুঁকছেন। তাদের যুক্তি- বিদেশী ঋণ সস্তা, এতে সুদের হার কম। এটা খুবই সত্য। দেশী ব্যাংকগুলো ঋণের ওপর চড়া সুদ চার্জ করে। অধিকন্তু রয়েছে নানাবিধ চার্জ ও কমিশন। ব্যবসায়ীদের কথা, এত সুদ ও চার্জ দিয়ে ব্যবসা করা যায় না, বিশেষ করে বিদেশে প্রতিযোগিতা করা যায় না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে হয় এ যুক্তি মেনে নিয়েছে। তারা অনেকটা উদারভাবেই বড় বড় পার্টিকে বিদেশ থেকে ঋণ নিতে উৎসাহিত করছে। ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যবসায়ী বিদেশ থেকে ঋণ নিয়েছেন। এসব ঋণ কাজে লাগার কথা নতুন বিনিয়োগে, বিনিয়োগ সম্প্রসারণে। কিন্তু কাগজে খবর দেখছি নানা ধরনের। দেখা যাচ্ছে, অনেক ব্যবসায়ী বিদেশী ঋণের টাকা শিল্পায়নে ব্যবহার না করে দেশীয় ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে রাখছেন। দেশী ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করছেন। অনেকের ধারণা, তারা বিদেশী ঋণের টাকা আবার বিদেশেই নিয়ে যাচ্ছেন। ঋণ পরিশোধের নিমিত্তে মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে যে ফান্ড বিল্ড-আপ করার কথা, তারা তা করছেন না। এসব খুবই উদ্বেগের খবর। একটা ভালো উদ্যোগ কিন্তু শেষে একটা বিষফোঁড়া হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবধানি পদক্ষেপ নেয়া উচিত। বিপদ কিন্তু বলে-কয়ে আসে না। ডলার পরিস্থিতি ভালো বলে ব্যবসায়ীদের বিদেশী ঋণ নিতে উৎসাহিত করার নীতিটি গভীরভাবে বিশ্লেষণের দাবি রাখে। যেসব ব্যবসায়ী বিদেশী ঋণ নিয়েছেন তাদের ব্যবসা, বিনিয়োগ, স্থানীয় ব্যাংকের ঋণ, ঋণ পরিশোধ, ফান্ড বিল্ড-আপ অবস্থা ইত্যাদি নিয়মিতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার।
এসবের বিপরীতে দেখা যাচ্ছে ডলারের রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বিরাট অবদান রাখছে রেমিটেন্স। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে অর্থাৎ জুলাই-জানুয়ারি মাসের মধ্যে রেমিটেন্সের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ হারে। এ দুর্দিনে যেখানে মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা টালমাটাল, সেখানে আমাদের রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু কয়েকটি দেশ থেকে রেমিটেন্স কম আসছে বলে খবর রয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে কুয়েত, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও লিবিয়া। অতএব রেমিটেন্স সব সময়, সব দেশ থেকে অব্যাহতভাবে বাড়বে এ কথা ধরে নিয়ে ডলারের পরিকল্পনা করলে ভুল হবে। এদিকে দেখা যাচ্ছে রফতানি আয়ও বাড়ছে, যদিও তা আশানুরূপ হারে নয়। বর্তমান অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রফতানির পরিমাণ প্রায় আড়াই শতাংশ হারে বেড়েছে। এই হচ্ছে মোটামুটিভাবে ডলার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ।
আরও একটা কথা বলা দরকার। ব্যক্তিগতভাবে মানুষের হাতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি টাকা হলে অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিটির মাথা ‘খারাপ’ হয়ে যায়। সে কী করবে, কী করবে না, তা ভাবতে পারে না। দেশের ব্যাপারেও এটা সত্য। আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ভালো। কিন্তু এটা শেষ কথা নয়। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়তে পারে, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য আমদানি বাড়তে পারে। তখন ডলারের চাহিদা বাড়বে। যখন বাড়বে, তখন ডলার খরচ হতে বেশি সময় লাগবে না। এছাড়া বড় কথা, ডলার সরকারের নয়। ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও নয়। যারা রেমিটেন্স পাঠায় এবং যারা রফতানি করে তাদেরই ডলার। তাদের টাকায় পরিশোধ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা নিয়ে নেয়। আবার যাদের প্রয়োজন, তাদের কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করে। অতএব, এ ধারণার কোনো ভিত্তি নেই যে, সরকার অথবা কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভের টাকা যাচ্ছেতাইভাবে ব্যয় করতে পারে। অতএব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত প্রতিটি ডলার সুচিন্তিতভাবে ব্যবহার করা। বিদ্যমান ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিং বন্ধ করা, অথবা নিদেনপক্ষে তা কিছুটা হ্রাস করার ব্যবস্থা করতে পারলে দেশ উপকৃত হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত এ ব্যাপারে একটা উপায় বের করা। কাজটি কঠিন নয়। রেমিট্যান্সের টাকা বা ডলারের অপব্যবহার হচ্ছে এ কথা দিবালোকের মতো সত্য। এ টাকা উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহারের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও উদ্যোগী হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে মনে করি।
পরিশেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ধন্যবাদ একটি কারণে। এত রিজার্ভের পরও তারা মূল্যস্ফীতিটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে। তবে এ ক্ষেত্রেও অব্যাহত পদক্ষেপ দরকার হবে নিয়ন্ত্রণ ঠিক রাখার জন্য।
ড. আরএম দেবনাথ : ম্যানেজমেন্ট ইকোনমিস্ট ও সাবেক শিক্ষক, ঢাবি
rmdebnath@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.