‘৬০ শতাংশ কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব’

কিডনি রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব হলে ৬০ শতাংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব। গতকাল জাতীয় প্রেস কাবে ‘সবার জন্য সুস্থ কিডনি : প্রয়োজন গণসচেতনতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এ তথ্য জানান। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস) আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা: এম এ সামাদ।
আলোচনায় অংশ নেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ডা: রফিকুল আলম, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজেজেস অ্যান্ড ইউরোলজির পরিচালক প্রফেসর ডা: রফিকুল আবেদীন, ডেইলি সান সম্পাদক মো: জামিলুর রহমান, এনটিভির স্বাস্থ্যবিষয়ক উপস্থাপক ডা: সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ান্থ, ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। দেশে প্রায় দুই কোটির বেশি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, কিডনি রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল, বেশির ভাগ লোকের পে চিকিৎসা নেয়া অসম্ভব। তিনি সরকারের প থেকে বিনামূল্যে এ রোগের চিকিৎসা দেয়ার আহ্বান জানান।
ডা: এম এ সামাদ বলেন, কিডনি রোগের চিকিৎসা এতই ব্যয়বহুল যে এ দেশের শতকরা ৫ শতাংশ মানুষ এ রোগের চিকিৎসা নিতে পারে না। কিডনি সচল ও সুস্থ রাখতে অধিক পানি পান ও ব্যায়াম করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। একই সাথে ফাস্টফুড এবং কোমল পানীয় পরিহার করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গত বছর কিডনি চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রে ৪৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। এটি আমাদের দেশের বাজেটের প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি। কিডনি রোগে কেবল আক্রান্ত মানুষটি নয় চিকিৎসা করতে যেয়ে পুরো পরিবারটিই ধ্বংস হয়ে যায়। এ রোগ প্রতিরোধে কায়িক পরিশ্রম ও নিয়মিত ব্যায়াম করা, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, সুপ্ত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত রক্তচাপ পরীা করা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা, ধূমপান থেকে বিরত থাকা, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন না করা এবং নিয়মিত কিডনির কার্যকারিতা পরীার পরামর্শ দেন।

No comments

Powered by Blogger.