বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ by ড. শামস্ রহমান

একজন বাঙালী হিসেবে যা কিছু বাঙালীদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালবাসা, অক্ষয় ভালবাসা, যে ভালবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে’।
Ñবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুগ যুগ ধরে উপমহাদেশের রাজনীতিকরা লিখেছেন তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে। শুধু অবসরেই নয়; লিখেছেন কারারুদ্ধ অবস্থায়ও। নেহ্রুর লেখা এষরসঢ়ংবং ড়ভ ডড়ৎষফ ঐরংঃড়ৎু এবং ঞযব উরংপড়াবৎু ড়ভ ওহফরধ দুটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ব্রিটিশভারতের বিভিন্ন জেলে বসে মেয়ে ইন্দিরাকে লেখা চিঠির মাধ্যমে মানব ইতিহাসের এক চিত্র তুলে ধরেন এষরসঢ়ংবং ড়ভ ডড়ৎষফ ঐরংঃড়ৎু-তে। আর ভারতের ইতিহাস, দর্শন ও কৃষ্টিসম্পর্কিত বিষয়াদি স্থান পায় উরংপড়াবৎু ড়ভ ওহফরধ-তে।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ (ঞযব টহভরহরংযবফ গবসড়রৎং)। বঙ্গবন্ধুকে তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য এবং সব থেকে মূল্যবান সময় অতিবাহিত করতে হয়েছে পাকিস্তানী কারাগারে। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ প্রন্থটি রচিত হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে, যার শুরু ১৯৬৭-এর দ্বিতীয়ার্ধে।
গ্রন্থটি রচনার পটভূমি এ রকম। বঙ্গবন্ধুকে সহকর্মীরা বলেন লিখতে- কারাগারে বসে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের ঘটনাবলী লিখতে। সাধারণ পাঠকদের জন্য যিনি পূর্বে কখনও উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু লেখেননি বা প্রকাশ করেননি; তিনি কি-ই বা লিখবেন? অকপটে স্বীকার করেন- ‘লিখতে যে পারি না; আর এমন কি করেছি যা লেখা যায়!’ (পৃ.১)। সহকর্মীদের অনুরোধ তাঁকে কতটুকু প্রভাবিত করেছিল তা বলা কঠিন। তবে সহধর্মিণী রেণুর অনুরোধে তিনি যে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তা স্পষ্ট- ‘বসেই তো আছ, লেখ তোমার জীবনের কাহিনী’ (পৃ.১)। শুধু বলেই ক্ষান্ত নন, ‘কালি-কলম-মন’, লেখার এই তিন উপকরণের যোগানও দিয়েছিলেন রেণু। তা থেকেই শুরু।
খ- খ- রাজনৈতিক কর্মকা-ের ঘটনা ও তার ধারাবাহিকতার মাঝে বঙ্গবন্ধু বাংলা, পূর্ব বাংলা ও পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতির এক বিশাল চিত্র তুলে ধরেন, যার ব্যাপ্তি চল্লিশ দশকের শুরু থেকে পঞ্চান্ন সাল পর্যন্ত। প্রায় দেড় দশকের এই সময়ে তিনি কখনও ছিলেন ছাত্র সংগঠক, কখনও উত্তীর্ণ হয়েছেন জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে। সেই সময়ের তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা শুধু দূর থেকেই প্রত্যক্ষ করেননি, বঙ্গবন্ধু ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন এই সব বহু ঘটনার সিদ্ধান্তের সাথে। জড়িত ছিলেন কলকাতার ভারত বিভাগের ছাত্র রাজনীতির সাথে। দেখেছেন প্রতিবাদ সত্ত্বেও জিন্নার রাজনীতির সূক্ষè মারপ্যাঁচে ১৯৪০-এর লাহোর প্রস্তাবের পূর্বে ছোট কিন্তু মৌলিক’ (‘স্টেটস’ থেকে ‘স্টেট’) রদবদলের ঘটনা। ওতোপ্রতোভাবে জড়িত ছিলেন ভাষা আন্দোলন ও আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্মের সাথে। জড়িত ছিলেন যুক্তফ্রন্টের রাজনীতি, নির্বাচন ও উত্থান-পতনের সাথে। কোন ভাবগম্ভীর তত্ত্বের মাঝে নয়, এই সব ঘটনা বর্ণনা করেছেন সহজ-সরল ভাষায়, অত্যন্ত আন্তরিকতা এবং সততার সাথে। এ-টা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র একটি উল্লেখযোগ্য দিক।
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে একদিকে ফুটে ওঠে বঙ্গবন্ধুর দেশ ও মানবপ্রেম; অন্যদিকে প্রকাশ পায় তাঁর সংগ্রামী চেতনা ও গণতান্ত্রিক মনোভাব এবং সেই সাথে রাজনৈতিক নেতার প্রতি শ্রদ্ধা ও কর্মীর প্রতি সহমর্মিতা। এই সব গুণ বঙ্গবন্ধু কোন কাঠামোগত প্রথায় রপ্ত করেননি; তিনি এগুলো আত্মস্থ করেছেন অভিজ্ঞতার আলোকে। মাটি ও মানুষ থেকে শিখেছেন দেশপ্রেম; সামাজিক বৈষম্য তাঁকে করেছে সংগ্রামী; আর সহকর্মীদের ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে জন্মেছে সহমর্মিতা। বঙ্গবন্ধুর লেখা একটি চিঠির কথাই ধরুন। সময় ১৯৫২ সালের জুলাই মাস। তিনি তাঁর এক সহকর্মীর মাকে এই চিঠিটি লেখেন। এই একটি মাত্র চিঠির মাঝেই ফুটে ওঠে সহকর্মীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমত্ববোধের গভীরতা। যে মাকে তিনি কখনও দেখেননি; তার ছেলে আজ জেলে। তাকে আম্মা বলে সম্বোধন করে লিখেন:
‘‘আম্মা,
আমার ভক্তিপূর্ণ ছালাম নিবেন। আপনি আমায় জানেন না- তবুও আজ লিখতে বাধ্য হচ্ছি। আপনার ছেলে খালেক নেওয়াজ আজ জেলখানায়। এতে দুঃখ করার কারণ নাই। আমিও দীর্ঘ আড়াই বৎসর কারাগারে কাটাতে বাধ্য হয়েছি। দেশের ও জনগণের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্যই সে আজ জেলখানায়। দুঃখ না করে গৌরব করাই আপনার কর্তব্য। যদি কোন কিছুর দরকার হয়, তবে আমায় জানাতে ভুলবেন না। আমি আপনার ছেলের মত। খালেক নেওয়াজ ভাল আছে। জেলখানা থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছে। সে মওলানা ভাসানী সাহেবের সাথে আছে। আপনার স্নেহের’’ (বঙ্গবন্ধুর অপ্রকাশিত চিঠিপত্র, পৃ.৬১, দে, ২০১০)
চিঠির ভাষা ও ভাবে যা ফুটে ওঠে তা শুধুই নান্দাইলের আচারগাঁও গ্রামের খালেক নেওয়াজের মাকে লেখা এ চিঠি নয়- এ যেন খালেক নেওয়াজের মায়ের অবস্থানে অবস্থিত বাংলাদেশের সমগ্র মা-জননীকে লেখা এ চিঠি। তাইতো এর আবেদন শাশ্বত। বঙ্গবন্ধু বুঝেছেন মায়ের বুকের চিরন্তন আকুতি; যার প্রকাশ ঘটেছে খালেকরূপে আত্মপ্রকাশে (‘আমি আপনার ছেলের মত’) এবং তার সাথে একাত্মতা ঘোষণার মাঝে (‘আমিও দীর্ঘ আড়াই বৎসর কারাগারে কাটাতে বাধ্য হয়েছি’)। একদিকে মাকে দিয়েছেন সান্ত¡না (‘এতে দুঃখ করার কারণ নাই’), শুনিয়েছেন আশার বাণী (‘জেলখানা থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছে’), দিয়েছেন নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি (‘সে ভাসানী সাহেবের সাথে আছে’)। অন্যদিকে, মায়ের কাছে সন্তানকে করেছেন গৌরবান্বিত (‘দেশের ও জনগণের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্যই সে আজ জেলখানায়। দুঃখ না করে গৌরব করুন’)। বাংলার মা এর চেয়ে বেশি কিছু কি চায়?
রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল গভীর শ্রদ্ধাবোধ। আত্মজীবনীতে এ বিষয়টির সাথে পাঠকরা মুখোমুখি হন বার বার। মওলানা ভাসানীর সাথে রাজনীতি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। যুক্তফ্রন্টের সময় একসাথে কাজ করেছেন শেরে বাংলা ফজলুল হকের সাথে। বঙ্গবন্ধু মওলানা ভাসানীকে দেখেছেন একজন নিঃস্বার্থ ত্যাগী এবং সাহসী রাজনীতিক হিসেবে। অন্যদিকে মওলানা ভাসানী বঙ্গবন্ধুকে দেখেছেন একজন কঠিন পরিশ্রমী ও দক্ষ সাধারণ সম্পাদক তথা রাজনীতিক হিসেবে। তাদের এই সম্পর্কের কারণে মওলানা ভাসানীর অনেক একক সিদ্ধান্তের প্রতি অনিচ্ছাসত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু আস্থা রেখেছেন তাঁর ওপর। তবে রাজনৈতিক গুরু হিসেবে যাকে মানতেন তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। সোহরাওয়ার্দীর রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস। তিনি বঙ্গবন্ধুকে সত্যিকার অর্থেই ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি সোহরাওয়ার্দীর স্নেহ ও ভালবাসার কথা বলতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন: ‘তিনি যে সত্যিই আমাকে ভালবাসতেন ও স্নেহ করতেন, তার প্রমাণ আমি পেয়েছি তাঁর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার দিন পর্যন্ত’ (পৃ. ২৯)। তবে এটাও সত্য, নীতির জন্য তিনি কারো সাথে কখনও আপোস করেননি। একবার কোন এক বিষয়ে সোহরাওয়ার্দীর সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। সম্ভবত সময়টা ১৯৪৪ সাল। হঠাৎ সোহরাওয়ার্দী বঙ্গবন্ধুকে বলে বসেন ‘ডযড় ধৎব ুড়ঁ? ণড়ঁ ধৎব হড়নড়ফু’। প্রতিউত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেন: ‘ওভ ও ধস হড়নড়ফু, ঃযবহ যিু যধাব ুড়ঁ রহারঃবফ সব (ঃড় ঃযরং সববঃরহম)? ণড়ঁ যধাব হড় ৎরমযঃ ঃড় রহংঁষঃ সব. ও রিষষ ঢ়ৎড়াব ঃযধঃ ও ধস ংড়সবনড়ফু’। এ্যারোগেন্ট শোনালেও, অশ্রদ্ধার কোন সুর ছিল না তাতে-বরং ‘ঞযধহশ ুড়ঁ ঝরৎ’ (পৃ.২৯) বলে তিনি সবিনয়ে বেরিয়ে আসেন।
সত্যিকার অর্থে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা, আর নীতির সাথে আপোসহীন মানসিকতা প্রকাশের কোন দ্বন্দ্ব নেই। বরং, একে অপরের সম্পূরক। ষাটের দশকে বাংলাদেশ একঝাঁক বুদ্ধিদীপ্ত, প্রগতিশীল ও সাহসী ছাত্র রাজনীতিকের জন্ম দেয়। সত্তরে এসে তাঁরা জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। বয়সের ভারে তাঁরাও আজ ধীরে ধীরে সরে দাঁড়াচ্ছেন রাজনীতি থেকে। সত্তরের পর আরও চার দশক গেল। পেল কি বাংলাদেশ বুদ্ধিদীপ্ত ও সাহসী ছাত্র অথবা জাতীয় রাজনীতিক? বর্তমান ছাত্র রাজনৈতিক অঙ্গনে এই ধরনের গুণাবলীসম্পন্ন রাজনীতিক পাওয়া ভার। তাহলে কি জাতি নেতৃত্বশ্যূতায় ভুগবে অদূর ভবিষ্যতে? বাংলাদেশ তথা উন্নয়নশীল দেশগুলো অবকাঠামোগত সমস্যায় জর্জরিত। আইন-কানুন থাকা সত্ত্বেও তার যথাযথ প্রয়োগ থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। তাই তো বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সুশাসন কায়েমে তরুণ, বুদ্ধিদীপ্ত ও সাহসী রাজনীতিকের এত বেশি প্রয়োজন। তাই তো, বঙ্গবন্ধু পাঠ এখনও প্রাসঙ্গিক।
বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির দুটি প্রধান স্তম্ভÑ ঐক্য আর গণতন্ত্র; আত্মজীবনীতে বর্ণিত তাৎপর্যপূর্ণ বহু রাজনৈতিক ঘটনাই এর স্বাক্ষর। তবে একটি বাদে অন্যটি নয়। ঐক্য হতে হবে গণতন্ত্রে ও সঠিক নেতৃত্বে। এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যুক্তফ্রন্টের ঐক্য আলোচনায়। আজ এদল, কাল সেদল। আজ এ নেতা, কাল অন্য নেতা- এই সব নেতা-কর্মী, এক কথায় এই প্রকৃতির রাজনীতিকদের নিয়ে আর যাই হোক, দেশ ও দশের সেবা করা যে সম্ভব নয়, তা বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রথম প্রহরেই বুঝেছিলেন। একাধিকবার বলেছেন- ‘নীতিহীন নেতা ও রাজনীতিবিদদের সাথে কোনদিন একসাথে হয়ে দেশের কোন কাজে নামতে নেই’ (পৃ.২৭৩)। ‘আদর্শহীন লোক নিয়ে ক্ষমতায় গেলেও দেশের কাজ হবে না। ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধার হতে পারে’ (পৃ.২৪৯)।
শুধু কথায় নয়, প্রমাণ করেছেন কাজেকর্মেও। ১৯৭১-এর মার্চে বলতে পারা ‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না’, বঙ্গবন্ধুর বিচ্ছিন্ন কোন উচ্চারণ নয়। এর দেড়যুগ আগের কথা। যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে জয়ের পর মওলানা ভাসানী বলেন-‘দরকার হলে তোমাকে (বঙ্গবন্ধুকে) মন্ত্রিসভায় যোগদান করতে হবে’ (পৃ.২৬২)। যখন সোহরাওয়ার্দী জিজ্ঞেস করেন- ‘তুমি মন্ত্রিত্ব নেবা কিনা’ (পৃ.২৫৯), উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেন- ‘আমি মন্ত্রিত্ব চাই না। পার্টির অনেক কাজ আছে, বহু প্রার্থী আছে দেখেশুনে তাদের করে দেন’ (পৃ.২৫৯)। ফজলুল হক বলেন- ‘তোকে মন্ত্রী হতে হবে। আমি তোকে চাই, তুই রাগ করে ‘না’ বলিস না’ (পৃ.২৬২)। শেষে অবশ্য বঙ্গবন্ধু রাজি হন এবং মন্ত্রীও হন। তবে এটাও সত্য, মন্ত্রিত্ব বণ্টনে যখন ষড়যন্ত্রের আভাস পান তখন ফজলুল হককেও বলতে দ্বিধাবোধ করেননি- ‘এ সমস্ত ভাল লাগে না, দরকার হয় মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে চলে যাব’ (পৃ.২৬৭)।
আজকের চিত্র ভিন্ন। আজ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মন্ত্রী হবার জন্যই যেন রাজনীতি। দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার প্রেষণা, প্রায়ওরিটির তালিকায় সর্বনিম্নে। আর একবার মন্ত্রী হলে তা যেন কামনা-বাসনার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। বাংলাদেশে অনেক রাজনীতিকই আছেন যাঁরা প্রায় সব সরকারেরই মন্ত্রী ছিলেন। ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারই তাদের নীতি ও আদর্শ। ছলেবলে কলাকৌশলে মন্ত্রী হওয়া এবং তা যে করেই হোক ধরে রাখার মাঝে সৃষ্ট রাজনৈতিক ভিশ্যাস চক্রের মাঝে ক্ষত হয় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা; আর ব্যাহত হয় রাষ্ট্রের অর্থনীতি।
(চলবে)

No comments

Powered by Blogger.