এবার রাবিতে শিবিরের হিটলিস্টে ৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী

 ঢাকার পর এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হক হলে ছাত্রলীগ নেতাদের নামে শিবিরের হিটলিস্টের সন্ধান মিলেছে। ঐ হিটলিস্টে রাবি ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক সভাপতিসহ ৫ নেতাকর্মীর নাম রয়েছে।
রাবি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হত্যা পরিকল্পনার অংশ হিসাবে হিটলিস্ট তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন মুন রবিবার বলেন, গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি রাতে ক্যাম্পাসে শিবিরের নারকীয় তা-ব ও ফারম্নক হোসেন হত্যাকা-ের পর শনিবার বিকালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হক হলে ওঠেন। হলের পূর্ব-১১ নম্বর করে কয়েক আবাসিক ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী দরজা খোলার পরই মেঝেতে একপাতা কাগজ দেখতে পান। সেটি তুলে হাতে লেখা শিবিরের হিটলিস্ট দেখে তারা ভীতসন্ত্রসত্ম হয়ে পড়েন। বিষয়টি তারা তাৎণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশকে জানান।
পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি সূত্রে জানা যায়, শিবিরের দলীয় প্যাডের ওপর হাতে লেখা ওই হিটলিস্টে রাবি শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক সভাপতিসহ ৫ নেতাকর্মীর নাম লিখে তাদের সকলকে 'পরকালের পাসপোর্ট' দেয়া হলো বলে উলেস্নখ করা হয়েছে। কাগজটির উপরে প্রেসের ছাপার অরে শিবিরের দলীয় লোগোসহ কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন-২০০৯ এবং হাতে লেখা ১৮ জানুয়ারি ২০১০। নিচে শের-ই-বাংলা হল, 'পরকালের পাসপোর্ট' লিখে পাতাটিতে ওই হলের আবাসিক ছাত্র, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন মুন, বর্তমান সভাপতি আওয়াল কবির জয়, ছাত্রলীগ কর্মী ফাহাদ আকতার হাবিব ওরফে জুয়েল, এসএম ফয়সাল আহমেদ ও আল আমিনের নাম ও পিতার নামসহ পূর্ণ ঠিকানা লেখা রয়েছে। মুন দাবি করেন, শিবির তাদের হত্যার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে হিটলিস্ট তৈরি করে রেখেছিল। গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি রাতের তা-বের সময় অথবা পরে পুলিশের উপস্থিতিতে হলে প্রবেশ করে হিটলিস্টটি ঐ করে দরজার নিচ দিয়ে ফেলে রেখেছে।

No comments

Powered by Blogger.