ফারুকের গ্রামে শোকের মাতম, বাবা-মায়ের স্বপ্ন ধূলিসাত

 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ছাত্র ফারুক শিবির ক্যাডারদের হাতে খুন হওয়ার খবরে জয়পুরহাটের ভাদসা ইউনিয়নের খর্দ্দ সগুনা গ্রামে শোকের মাতম শুরম্ন হয়েছে। ফারুকের বাবা-মা, দাদি-নানিসহ গোটা গ্রামবাসী শোকে স্থবির হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ভাদসার খর্দ্দ সগুনা গ্রামে ফারম্নকের লাশ পেঁৗছলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। লাশ গ্রহণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম হক্কানি, দফতর সম্পাদক মনিরম্নল শহিদ মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শহীদ ইকবাল সদু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুলফিকার আলী রনি, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ আরেফিন, জয়পুরহাট সরকারী ডিগ্রী কলেজ শাখার নেতা মেহেদি হাসান ও আতিক। এ সময় জয়পুরহাট সদর থানার ওসি মোসত্মফা কামালও উপস্থিত ছিলেন। লাশ গ্রহণের পরপরই তার বাবা-মা মূর্ছা যায়। কান্নার রোল পড়ে যায় ফরম্নকের গ্রাম খর্দ্দ সগুনায়। লাশ গ্রহণের সময় ফারম্নকের এক আত্মীয় বলছিল, পুত্র ফারম্নককে নিয়ে দিনমজুর ফজলুর রহমানের অনেক আশা ছিল। লেখাপড়া শিখে ছেলে বড় হবে। তাদের অভাবের সংসারে অভাব মিটবে। দিনমজুর ফজলুর রহমানের দুই মেয়ে এক ছেলে। দুই মেয়েরই বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে ফারম্নককে নিয়ে নানা স্বপ্নের জাল বুনছিল পিতা-মাতা। কিন্তু রাজশাহী বিশ্বাবিদ্যালয়ে উচ্চশিা নিতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হতে হলো ফারম্নককে। ফারম্নকের বাবা-মার সব স্বপ্ন ধূলিসাত হয়ে গেল।

No comments

Powered by Blogger.