গ্রহাণুর নিয়ন্ত্রণ নেবে নাসা!

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা সম্প্রতি পাঁচ লাখ কেজি ওজনের একটি গ্রহাণুকে নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা করেছেন। গ্রহাণুটিকে স্পেস স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করবেন গবেষকেরা।
নিজস্ব কক্ষপথ থেকে গ্রহাণুটিকে সরিয়ে এনে সুবিধাজনক একটি কক্ষপথ নির্ধারণ করে দিচ্ছেন তাঁরা। এক খবরে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মহাকাশের বিশালাকার কোনো বস্তুকে কক্ষচ্যুত করার প্রথম ঘটনা হবে এটা।
নাসার গবেষকেরা মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন। মঙ্গলগ্রহে নভোযান পাঠাতে হলে দীর্ঘ যাত্রাপথে নভোযানটিকে কোনো মহাকাশ স্টেশনে থামতে হবে এবং জ্বালানি নিতে হবে। গবেষকেরা যে গ্রহাণুটিকে কৃত্রিম মহাকাশ স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করবেন, সেখানেই জ্বালানি নেওয়ার জন্য থামবে মঙ্গল যান।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সরকার আগামী দশকে মহাকাশ গবেষণার জন্য ২৬০ কোটি মার্কির ডলার অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। গবেষকেরা তাঁদের মহাকাশ অভিযাত্রার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে গ্রহাণু নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে চূড়ান্ত করছেন।
গবেষকেরা গ্রহাণু নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনা হিসেবে একটি গ্রহাণু ক্যাপসুল পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন। পৃথিবী ও চাঁদের মাঝামাঝি অঞ্চলে এ গ্রহাণুটির কক্ষপথ নির্ধারণ করবেন গবেষকেরা। গবেষকেদের পাঠানো নভোযান গ্রহাণুর কাছাকাছি গিয়ে একটি থলে সদৃশ জালে আটকে ফেলবে গ্রহাণুটিকে। তারপর এটি টেনে নির্ধারিত কক্ষপথে বসাবে নাসার পাঠানো নভোযানটি।
আগামী এক দশকের মধ্যেই গ্রহাণু নিয়ন্ত্রণের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন নাসার গবেষকেরা।

No comments

Powered by Blogger.