মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা ও কয়েকটি প্রস্তাবনা by ডা. এম এ করীম

মাত্র কয়েক দিন আগেই ঋতুচক্রে আবার আমাদের মধ্যে হাজির হয়েছে শরৎ। আবারও মুগ্ধ করেছে আমাদের সবাইকে। ওপরে পরিষ্কার নীল আকাশ আর নিচে সুবিশাল সবুজের সমারোহ। নদীর তীরে কাশফুলের মেলা, সেই সঙ্গে পাগলা হাওয়ার ঢেউ খেলানো মনোরম শোভা।


তাতে আমরাও হারিয়ে যাই কবিগুরুর মতো একেবারে সুরের মূর্ছনায় চেনা-অচেনা ছন্দে। আমাদেরও গাইতে ইচ্ছে করে- 'কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে, মেলে দিলাম গানের সুরে এই ডানা মনে মনে।' ঠিক এই শরতে সবাই হারিয়ে যেতে চাইবে। আমার ছেলে অমিত, সে এবার এইচএসসি পাস করেছে জিপিএ ফাইভ পেয়ে। তারও ইচ্ছে এই শরতে কোথাও বেড়াতে যেতে। কিন্তু ইচ্ছা থাকলে সে তা করতে পারছে না- সামনে তার পরীক্ষা। ইচ্ছা মেডিক্যালে ভর্তি হওয়া, কিন্তু সরকারের হঠাৎ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল হয়তো (সাময়িকভাবে হলেও) তা আপাতত থেমে যাবে। কিন্তু তাতে কী সব কিছু পরিষ্কার হয়ে গেল। ভর্তি পদ্ধতি নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি তা কিন্তু মোটামুটি প্রশমিত হলেও সবার জন্য তা হয়নি। যেমন ধরুন, যে ছাত্রছাত্রীরা সরকারের সঙ্গে একমত পোষণ করে আন্দোলনে নেমেছিলেন তাঁরা কি সন্তুষ্ট। শুরুতেই আমিও ছোট্ট করে একটি কলাম 'কালের কণ্ঠে' লিখেছিলাম। এরপর অনেক লেখালেখি হয়েছে। যাঁদের লেখা আমি পড়েছি বা আমার নজর এড়ায়নি তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন ড. কায়কোবাদ, ড. জাফর ইকবাল, ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক (যিনি নিজেও চিকিৎসক)। প্রত্যেকেই স্ব স্ব যুক্তি উত্থাপন করেছেন। সে বিষয়ে আলোচনা করার আগে ঘটনার শুরুর দিকে ফিরে যাই। প্রতিবছর এইচএসসি পরীক্ষার পর (ফল প্রকাশ হওয়ার আগেই) শুরু হয় জীবনযুদ্ধ। সে জীবনযুদ্ধ হলো উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জীবনযুদ্ধ- বুয়েট, মেডিক্যাল ও দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জীবনযুদ্ধ। বিগত বছরগুলোতে ভালো হোক মন্দ হোক যথারীতি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে নিজ নিজ যোগ্যতায় পছন্দমতো বিষয়ে পড়ার সুযোগ পায় (যদিও এ পদ্ধতি নিয়ে মতবিরোধ আছে)। কিন্তু এবার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের কাছে (বিশেষ করে যাঁরা মেডিক্যাল ও বুয়েটে উচ্চশিক্ষা লাভে আগ্রহী) বড় বিপত্তি দেখা দিল। (১) বুয়েট শিক্ষকরা তাঁদের ভিসির অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। আন্দোলনের সঙ্গে বুয়েটের শিক্ষার্থীরাও পরে জড়িয়ে পড়েছেন। ফলে বুয়েট অচল। কবে ভর্তি পরীক্ষা হবে নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারে না। বিজ্ঞানের ছাত্রদের আরেকটি আরাধ্য বিষয় হলো মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া। যদিও আমার লেখায় অনেকের বক্তব্যের মিল থাকবে, তা সত্ত্বেও কথাগুলো না লিখলে লেখাটা পূর্ণতা পাবে না। পুনরাবৃত্তি হলেও লিখতে হচ্ছে। এই যে সিদ্ধান্ত (পরীক্ষা না নেওয়াটা) তা ছিল অপরিপক্ব ও অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত। অনেকের মতে, শিক্ষাব্যবস্থা কোনো বাজার ব্যবস্থাপনা নয় যে বাজারের চাহিদানুযায়ী আমদানি-রপ্তানি সমন্বয় করে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সমাধান করা যাবে। এখানে আমি একটা উদাহরণ তুলে ধরছি, বিকল্প রাস্তা না করে চলতি রাস্তা বন্ধ করা হয় না বিশ্বের কোথাও। ঠিক তেমনি করে ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তটি বোকামি ও অদক্ষ ব্যবস্থাপনা ছাড়া কিছুই নয়। এ রকম সিদ্ধান্ত যদি নিতেই হয়, তবে তা নেওয়া উচিত অন্তত দুই বছর আগে থেকে। এতে করে শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকরা মানসিক ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেতেন। এটা তো গেল সরকারের ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত। তা ছাড়া আমরা কী দেখি? সম্ভবত এ বছর আগে মেডিক্যালে ভর্তির যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ ৭ ধার্য ছিল । এ বছর সরকার জিপিএ ৮কে ভর্তির নূ্যনতম যোগ্যতা হিসেবে ধার্য করে। বর্তমান সরকার চরম শিক্ষক স্বল্পতার মধ্যেও গত তিন বছরে নতুন ২১টি বেসরকারি ও পাঁচটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশে ৫৩টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে চার হাজার ২৪৫ জন এবং সরকারি মেডিক্যাল কলেজে দুই হাজার ৮১১ জন ছাত্র ভর্তির সুযোগ পায়। ৯টি সরকারি ডেন্ডাল কলেজে ৫৬৭ জন এবং ১৪টি বেসরকারি ডেন্ডাল কলেজে ৮৯০ জন ছাত্র বিডিএস-এ অধ্যয়নের সুযোগ পান। এখন শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে কারা হবে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন সৌভাগ্যবান? আমরা সবাই জানি, পূর্ববর্তী পদ্ধতিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী বিষয়ভিত্তিক মার্কশিট পেলেও বর্তমানের গ্রেডিংয়ে এ ধরনের কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই। তাই একজন শিক্ষার্থীর তুলনায় অন্য শিক্ষার্থীকে কোন মাপকাঠিতে বিবেচনায় আনা হবে তার কোনো দিকনির্দেশনা নেই। শোনা গেছে, সরকার আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে চেয়েছে দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য। দুর্নীতিটা ঘটে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে, কোটি কোটি টাকার ভর্তি কোচিং ব্যবসা। প্রতিবছর প্রায়ই দেখা যায়, ভর্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থী। এই সুযোগে সৃষ্টি হয়েছে জামায়াত শিবির নিয়ন্ত্রিত কোচিং বাণিজ্য। শীর্ষে আছে প্রাইমেট, রেটিনা, শুভেচ্ছা ও থ্রি ডক্টরস একাডেমী। অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের মতে, 'এরা মাফিয়া থেকেও শক্তিশালী। এসব সংগঠনের বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সরাসরি শাখা ও ফ্রানচাইজ করা শাখারই সংখ্যা প্রায় ১০০। কোচিং পড়া ছাত্রদের 'ম্যাজিকনোট' সরবরাহ করে আর আওয়াজ তোলে প্রতিবারের মতো এবারও আমাদের কাছে যারা পড়বে তারা সবাই মেডিক্যালে চান্স পাবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ভুয়া প্রশ্নপত্র বেচাকেনার অভিযোগও এসব কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে আছে। মেডিক্যাল ও অন্যান্য ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ২৬ আগস্ট ২০১২ প্রথম আলো ও সমকালে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ লেখেন। তিনি লেখেন, 'আমি বিশ্বাস করি, ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে মেডিক্যাল (বা অন্য কোথাও) পড়ার সুযোগ করে দেওয়া চমৎকার ব্যাপার। তবে অস্বচ্ছভাবে হলে এটা কিন্তু খুবই ভয়ংকর ব্যাপার হবে।' তিনি আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা যত্ন করে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করলে কোচিং সেন্টারে গিয়ে লাভ হয় না, গাইড বইও মুখস্থ করতে হয় না। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বছরের ভর্তি পরীক্ষার ফলের ডেটাবেইস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এসএসসি এবং এইচএসসিতে খুব ভালো গ্রেড নেই। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় শতকরা ৫০ জন। মেডিক্যালে ভর্তির জন্য এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো গ্রেড থাকা যথেষ্ট নয়, তাদের মানবিক গুণাবলি আছে কি না এবং ভবিষ্যতে সে লক্ষ্যকে স্মরণ রাখবে কি না, ভর্তি পরীক্ষায় তা নির্ণয়ের চেষ্টা করতে হবে। নতুবা মানবতাবিবর্জিত চিকিৎসকের সংখ্যাই ক্রমাগত বাড়বে। এরপর আরো সাজেশন আছে। আমি সে সবে পরে আসছি। সরকারের সিদ্ধান্ত ভালো। কিন্তু অধ্যাপক জাফর ইকবালের কথা, 'তবে অস্বচ্ছ হলে এটা খুবই ভয়ংকর ব্যাপার হবে।' শুধু ড. জাফর ইকবাল কেন, এটা সবার মনের কথা। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মনের আকাশে মেঘ জমে উঠেছে। মনের এ মেঘ সরাতে হলে সরকারকে সতর্ক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেহেতু পাবলিক পরীক্ষার নম্বর জানার কোনো উপায় নেই, সেহেতু শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারা ভর্তি হতে পারবেন এবং কারা পারবেন না, এ ব্যাপারে কারো পক্ষে কোনো সুস্পষ্ট ধারণা রাখা সম্ভব নয়। এ ধরনের ধোঁয়াশাময় পরিস্থিতি বড় আকারের দুর্নীতির জন্ম দেবে। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শুরু হবে বড় ধরনের চাঁদাবাজি। চাঁদা আর সুপারিশের জোরে ভর্তি হওয়ার পথ সরকার যদি রুদ্ধ করতে পারে, তবুও এ দুর্নাম থেকে তারা রেহাই পাবে না। এখানে আরো একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন, একই সিলেবাসে পরীক্ষা হলেও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড আলাদা প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়, তাই বোর্ডভেদে পরীক্ষার ফলাফলে তারতম্য হওয়াই স্বাভাবিক। সে কারণেই একই ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা না হয় সে ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার হবে না। যেখানে আমাদের সংবিধানে সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতাকে উচ্চে তুলে ধরা হয়েছে, সেখানে এ ধরনের আঞ্চলিক বৈষম্য সৃষ্টির সুযোগ করে দেওয়ার অর্থই হলো সংবিধান লঙ্ঘন করা। তাই আমি কিছু সুপারিশ সরকারের নজরে আনছি। এর সঙ্গে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সুপারিশের সঙ্গে সহমত পোষণ করে তা উল্লেখ করছি। (এক). ২০২৫ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য বাস্তবায়িত করতে হলে মানবিক গুণসম্পন্ন এক লাখ ৫০ হাজার ফার্মাসিস্ট এবং কমপক্ষে পাঁচ লাখ নার্স, টেকনিশিয়ান ও প্যারামেডিক প্রয়োজন হবে। সে লক্ষ্যে আরো সরকারি ও মানসম্মত বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা অত্যাবশ্যক। প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে মেডিক্যাল শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। (দুই). এমবিবিএস শিক্ষা পাঁচ বছরের পরিবর্তে সাড়ে পাঁচ বছর এবং ইন্টার্নিশিপ এক বছরের পরিবর্তে ১৮ মাস করা। (তিন). ইন্টার্নিশিপকে চাকরি হিসেবে গণ্য করা। (চার). মনস্তত্ত্ববিদ, কমিউনিটি স্বাস্থ্য শিক্ষক, সমাজতত্ত্ববিদদের সহায়তা নতুন করে মেডিক্যাল ভর্তীচ্ছু ছাত্রদের জন্য একটি ছোট প্রসপেকটাস তৈরি করা। তাতে উল্লেখ থাকতে হবে ইন্টার্নিশিপসহ কমপক্ষে আরো দুই বছর ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে। দুই বছর পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উচ্চতর শিক্ষা নিতে পারবে সরকারি অর্থানুকূল্যে। (পাঁচ). ছয় মাসের ডিপ্লোমা বহু উন্নত দেশে প্রচলিত। নবীন চিকিৎসকদের প্যাথলজি, চক্ষু, অ্যানেসথেসিয়া, নবজাতক ও শিশু, ইএনটি, ব্যাকটেরিওলজি, এক্স-রে এবং আলট্রাসনোগ্রাফি প্রভৃতি বিষয়ে (ছয় মাসের) ডিপ্লোমা কোর্স করার পর রেজিস্ট্রার বা জুনিয়র কনসালটেন্ট পদে নিয়োগ দেওয়া। (ছয়). ভর্তি ফরম এমনভাবে করতে হবে, যাতে করে ছাত্রের মনমানসিকতার আভাস পাওয়া যেতে পারে। দেশের মুক্তিযুদ্ধে পরিবারের কোনো অবদান আছে কি না বা তার পরিবারের যেকোনোভাবে সম্পৃক্ততা আছে কি না, গ্রামের স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংবাদ তার জানা আছে কি না- এসব বিষয়ে কিছু প্রশ্ন রাখা। (সাত). এমবিবিএস/বিডিএসে ভর্তি না হতে পারলে অন্য কোনো বিষয়ে পড়ার ইচ্ছা পোষণ করে। যেমন- (ক) মাইক্রোবায়োলজি, (খ) ফার্মাসি, (গ) ফিজিওথেরাপি, মলিকুলার বায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, মেডিক্যাল ফিজিক্স, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, হেলথ ইকোনোমিকস, ল্যাবরেটরি মেডিসিন, (আট). ভর্তি ফরমে ধূমপায়ী বা অধূমপায়ী ছক থাকতে হবে। অধূমপায়ীদের অগ্রাধিকার থাকবে। (নয়). দুই-চার বছর আগে ভালো গ্রেডে পাস করে থাকলেও তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত হবে না। (দশ). (ক) ভর্তি পরীক্ষা ২০০ নম্বর, ১০০ নম্বর থাকবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত গ্রেডের মান বিবেচনার জন্য, (খ) ১০০ নম্বরে লিখিত পরীক্ষা হবে। এতে ভাষা ও অন্যান্য আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলা থেকে ইংরেজি ও ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ, জাতীয় সংগীত সঠিকভাবে লেখা ও কিছু মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। কোনো মৌখিক পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। আমার প্রস্তাবনাগুলো সরকার বিবেচনায় আনতে পারে বা নাও আনতে পারে। তবে ইদানীং সরকারের অদূরদর্শী বহুমুখী সিদ্ধান্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক, আর্থসামাজিক পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলছে। সরকারের মেয়াদকালও শেষ প্রায়। বাড়ছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মেয়াদও। সুতরাং সরকারের উচিত হবে সমস্যা সৃষ্টির পরিবর্তে সমস্যার সমাধান। তবেই একটি উন্নয়নমুখী অসাম্প্রদায়িক প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব :
পুনশ্চ : লেখা শেষ হওয়ার পর জানতে পারলাম পরীক্ষার মাধ্যমে এবারে ভর্তি হবে। তবে এটা এ বছরের জন্য। কিন্তু আমার এ লেখা আগামী দিনের জন্য। পাঠক, গাধা পানি খায়, তবে ঘোলা করে খায়। কথাটি সত্য কি না জানি না।

লেখক : বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট পরমাণু চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও মুক্তিযোদ্ধা

No comments

Powered by Blogger.