আগাম নির্বাচনের আভাস দিলেন এরশাদ- ১০৫ প্রার্থী বাছাই, প্রয়োজনে একক বা জোটের সঙ্গে নির্বাচনে যাবে জাতীয় পার্টি

রাজনীতিতে নতুন মিশন শুরু করলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় দেড় বছর আগেই সারাদেশে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তিনি। লক্ষ্য একটাই জীবনের শেষ সময়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়া।


দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠপর্যায়ে কাজ করার তাগিদ দিচ্ছেন অনেক আগে থেকেই। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে জাপার ৩শ’ প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থীর সংখ্যা ১২০ জন। রবিবার ১০৫ জন তিন তারকা চিহ্নিত প্রার্থীর নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন জাপা চেয়ারম্যান। পর্যায়ক্রমে আরও দুই ধাপে ১৯৫ সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঢাকায় ডাক পড়বে। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদও রয়েছেন। কুমিল্লা-১১ আসনে এরশাদ একক প্রার্থী হিসেবে কাজী জাফরের মনোনয়ন ঘোষণা করেন।
বৈঠকে আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনার কথা শুনিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার ১০৫ আসনের প্রার্থীকে মাঠে গিয়ে কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন এরশাদ। তিনি বলেছেন, তোমরা আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী। মাঠে গিয়ে কাজ শুরু করে দাও। সময়ের আগেই নির্বাচন হতে পারে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে হবে। সময় আসামাত্রই তোমাদের চূড়ান্ত নির্দেশনা দেয়া হবে।
রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েল সেন্টারে জাতীয় পার্টির প্রথম পর্বের তিন তারকা চিহ্নিত প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে দলের বেশ কয়েক শীর্ষ নেতাসহ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। খবর পেয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁদেরও প্রবেশে অনুমতি মেলেনি। বিশেষ পাশ থাকলেই কেবলমাত্র বৈঠকে প্রবেশের অনুমতি মিলেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ’৯০ সালে রাষ্ট্রক্ষমতা ছাড়ার পর এবারই প্রথমবারের মতো এত আগে ভাগে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এরশাদ। রাজনীতিতে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করেই তাঁর এই আগাম প্রস্তুতি। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এরশাদের জাতীয় পার্টিকে নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে রশি টানাটানির শেষ ছিল না। প্রথম দিকে বিএনপির প্রতি এরশাদের দুর্বলতা কাজ করলেও শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ১৪ দলে যোগ দিয়ে মহাজোট গঠন করলেন এরশাদ। নির্বাচনের পর থেকেই পাওয়া না পাওয়ার হতাশা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তোলেন তিনি। এর মধ্যে প্রথম অভিযোগ ছিল চুক্তি অনুযায়ী জাতীয় পার্টিকে আসন না দেয়া। জাতীয় পার্টির জন্য বেশ কয়েকটি আসন ছেড়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীদের বসাতে পারেনি আওয়ামী লীগ।
মূলত এ কারণেই প্রত্যাশিত আসন পায়নি মহাজোটের শরিক এই দলটি। এছাড়া নির্বাচনে জয়ী হলে এরশাদ হবেন রাষ্ট্রপতিÑ আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাপার এমন চুক্তির কথাও শোনা যায়। এ নিয়ে নির্বাচনের পর সরাসরি একাধিকবার ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ। মন্ত্রিপরিষদে দলের একজন সদস্য ছাড়া অন্যদের ঠাঁই মেলেনি। এ নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে এরশাদের। নেতাকর্মীদের চাপে মন্ত্রিপরিষদে আরও কয়েকজন সদস্য বাড়াতে এরশাদ নিজেই প্রধানমন্ত্রীকে একাধিকবার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মধ্যপ্রাচ্যের দূত হচ্ছেন এরশাদÑ এমন খবর বেশ কয়েকবার শোনা গেলেও বাস্তবে তেমন কিছু লক্ষ্য করা যায়নি।
তাই রাজনীতির মাঠে এবার ভিন্ন কৌশলে হাঁটছেন তিনি। ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গত ছয় মাসে অন্তত ৬টি দেশে সফর করেছেন সাবেক এই স্বৈরশাসক। সর্বশেষ ভারত সফরে গিয়ে নিজের পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন। এ সফর শেষ করেই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীদের ঢাকায় ডাক পড়ে।
রবিবারের বৈঠকে আগামী নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে এরশাদ বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে কোন সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিএনপি চাইবে না আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় যাক। তোমরা মাঠে যাও। আমার সময়ের উন্নয়নমূলক কমর্কা- মানুষের কাছে তুলে ধর। যখনই আমাকে ডাকবে মাঠে গিয়ে পাবলিক মিটিংয়ে তাঁর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে আসব।’
বৈঠক সূত্র জানায়, রওশন এরশাদ পার্টি চেয়ারম্যানের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, অতীতে অনেক সময়ে দলের প্রার্থী পরিবর্তন হয়েছে। এতে করে চেয়ারম্যানের প্রতি আস্থা কমে গেছে। সমালোচনা হয়। আগামীতে আর প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে কোন নড়চড় না করার বিষয়ে এরশাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় দুপুর দেড়টায়।
নির্বাচন কমিশনের গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের একটি ধারা সংশোধনের দাবি অনেক আগে থেকেই জানিয়ে আসছিলেন এরশাদ। নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী দলের সদস্য মেয়াদ তিন বছর না হলে কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে নাÑএ ধারা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। তিনি বলেন, আমাদের অনেক ভাল প্রার্থী আছেন, যাঁরা তিন বছরের কম সময় দল করছেন। কিন্ত যোগ্য। নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধন না করলে আগামী নির্বাচনে তাঁরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আমাদের বিকল্প প্রার্থী বাছাই করতে হবে। তবে আগে থেকেই মাঠ সরগরম থাকলে প্রার্থী পরিবর্তন হলেও তেমন কোন প্রভাব পড়বে না।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে এরশাদ বলেন আমরা একক নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হবে তা অনিশ্চিত। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের একক নির্বাচন করতে হতে পারে। কিংবা যে কোন জোটে আমাদের যেতে হতে পারে। আগে থেকে শক্তিশালী প্রার্থী নির্বাচন করা থাকলে একক নির্বাচনে সুবিধা হবে। তাছাড়া জোটভুক্ত নির্বাচন করতে হলে আমরা বেশি আসনের জন্য দর কষাকষি করতে পারবো। এতে জাতীয় পার্টি লাভবান হবে। ক্ষমতায় গেলে জীবনের শেষ সময়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। প্রাদেশিক সরকার পদ্ধতি চালু হবে।
প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে এরশাদ বলেন, শক্তি দেখানোর জন্য মাঠে গিয়ে কাজ করুন। তিন মাসের মধ্যে সকল বিভাগীয় শহরে জনসভা করা হবে। তোমাদের ব্ল্যাঙ্ক চেক দিলাম। শক্তির পরীক্ষা দিন। জনসমর্থন দেখতে সবার নির্বাচনী আসনে যাব। অবস্থান খারাপ হলে প্রার্থী পরিবর্তন হবে। অন্যথায় তোমরাই হবে আমার দলের চূড়ান্ত প্রার্থী। এরশাদ বলেন, দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভাল নয়। যে কোন মুহূর্তে রাজনীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে। পরিবর্তনের কারণে নির্বাচন এগিয়ে আসতে পারে। এককভাবে ক্ষমতায় গিয়ে জাতীয় পার্টিই হবে দেশের প্রথম রাজনৈতিক শক্তি। আমাদের সামনে এখন সুবর্ণ সুদিন অপেক্ষা করছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। মানুষ পরিবর্তন চায়। প্রার্থীরা নিবেদিতভাবে কাজ করলে নির্বাচনী ফল আমাদের পক্ষে আসবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, কোন তত্ত্বাবধায়ক সরকারই জাতীয় পার্টির প্রতি নিরপেক্ষ ছিল না। এ ব্যবস্থা রাজনীতিবিদের কপালে কলঙ্কের তিলক। তাই আমরা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলোপ চেয়েছি। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ ভাল নেই। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, বিডিআর বিদ্রোহ, হলমার্ক কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেন।
বৈঠকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদ এমপি এবং পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারও বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন শীর্ষনেতারাও।
বৈঠকে অংশ নেয়া সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন পঞ্চগড়-১ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু সালেক, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল ফেরদৌস নম্র, দিনাজপুর-২ আসনে ডা. আনোয়ার চৌধুরী জীবন, দিনাজপুর-৩ আসনে আহমেদ শফি রুবেল , দিনাজপুর-৬ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, নীলফামারী-২ আসনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, নীলফামারী-৪ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ শওকত চৌধুরী, লালমনিরহাট-১ আসনে কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক মেজর (অব) খালেদ আক্তার, রংপুর-৪ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য করিম উদ্দিন ভরসা, রংপুর-৫ আসনে এসএম ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, রংপুর-৬ আসনে নূরে ইসলাম যাদু, কুড়িগ্রাম-২ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম হাবিব দুলাল এবং গাইবান্ধা-২ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুর রশীদ সরকার।
জয়পুরহাট-১ আসনে ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব কাজী মোঃ আবুল কাশেম রিপন, জয়পুরহাট-২ আসনে বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ তিতাস, বগুড়া-২ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৪ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান, বগুড়া-৫ আসনে সাবেক জেলা জজ তাজ মোহাম্মদ, বগুড়া-৭ আসনে এ্যাডভোকেট আলতাফ আলী, চাঁপাইনবাগঞ্জ-২ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুর রাজ্জাক, নওগাঁ-২ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন, নওগাঁ-৪ আসনে এ্যাডভোকেট এনামুল হক, রাজশাহী-৩ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন বাচ্চু, রাজশাহী-৫ আসনে অধ্যাপক আবুল হোসেন, নাটোর-২ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মুজিবুর রহমান সেন্টু, নাটোর-৩ আসনে আবুল কাশেম সরকার, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে যুব সংহতির সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, পাবনা-১ আসনে সরদার শাহজাহান, পাবনা-৪ আসনে মোঃ হায়দার আলী এবং পাবনা-৫ আসনে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নাসির চৌধুরী।
কুষ্টিয়া-১ আসনে সাবেক মন্ত্রী ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান কোরবান আলী, কুষ্টিয়া-২ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আহসান হাবিব লিংকন, কুষ্টিয়া-৩ আসনে এ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা, কুষ্টিয়া-৪ আসনে এ্যাডভোকেট মিয়া মোঃ রিজাউল হক, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন, যশোর-৪ আসনে এ্যাডভোকেট জহির, যশোর-৬ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, মাগুরা-১ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট হাসান সিরাজ সুজা, নড়াইল-১ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মেজর (অব) আশরাফুল আলম, নড়াইল-২ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শরীফ মুনির হোসেন, বাগেরহাট-৪ আসনে কেন্দ্রীয় নেতা সোমনাথ দে, খুলনা-১ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদের রাজনৈতিক সচিব সুনীল শুভ রায়, খুলনা-৫ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু, সাতক্ষীরা-১ আসনে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য সৈয়দ দিদার বখত এবং সাতক্ষীরা-৩ আসনে এ্যাডভোকেট সম সালাউদ্দিন দলের সম্ভাব্য প্রার্থী।
পটুয়াখালী-১ আসনে সাবেক মন্ত্রী ও দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, পটুয়াখালী-৪ আসনে আবদুর রাজ্জাক খান, ভোলা-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান, বরিশাল-১ আসনে সমীর গুহ, বরিশাল-৪ আসনে নাসির উদ্দিন সাথী, বরিশাল-৫ আসনে অধ্যাপক মহাসিন উল ইসলাম হাবুল, বরিশাল-৬ আসনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রত্না, পিরোজপুর-১ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মোস্তফা জামাল হায়দার এবং পিরোজপুর-৩ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী। টাঙ্গাইল-২ আসনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল হক তালুকদার, টাঙ্গাইল-৫ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সালাম চাকলাদার, টাঙ্গাইল-৭ আসনে দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জহিরুল ইসলাম জহির, টাঙ্গাইল-৮ আসনে কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফ সিদ্দিকী, জামালপুর-১ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এমএ সাত্তার, শেরপুর-১ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন, ময়মনসিংহ-৫ আসনে সালাউদ্দিন, ময়মনসিংহ-৭ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য এমএ হান্নান, ময়মনসিংহ-৮ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইমাম, ময়মনসিংহ-১১ আসনে ড. নজমুল হক, নেত্রকোনা-১ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ফকির আশরাফ, মানিকগঞ্জ-৩ আসনে এম হাবিবুল্লাহ, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান হাজী কলিমুল্লাহ, ঢাকা-১ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি খান মোঃ ইসরাফিল খোকন, ঢাকা-৩ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, ঢাকা-৪ আসনে প্রেসিডিয়াম ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৫ আসনে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মীর আবদুস সবুর আসুদ, ঢাকা-৭ আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান হাজী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন, ঢাকা-৮ আসনে দলের যুগ্ম মহাসচিব জহিরুল আলম রুবেল, ঢাকা-৯ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, ঢাকা-১২ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা-১৩ আসনে সিরাজ মিয়া, ঢাকা-১৪ আসনে সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, ঢাকা-১৮ আসনে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন আহম্মেদ বাবুল, ঢাকা-১৯ আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শেরিফা কাদের, গাজীপুর-২ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার (অব) কাজী মাহমুদ হাসান, গাজীপুর-৩ আসনে খন্দকার আবদুস সালাম, গাজীপুর-৫ আসনে নুরুল ইসলাম এমএ, নরসিংদী-১ আসনে এ্যাডভোকেট মোস্তফা জামাল বেবী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আলমগীর সিকদার লোটন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মৌসুমী আক্তার, রাজবাড়ী-১ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হাবিবুর রহমান বাচ্চু, রাজবাড়ী-২ আসনে এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম এবং ফরিদপুর-৪ আসনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হোসেন।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে এ্যাডভোকেট মজিদ মাস্টার ছাতক, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে দেওয়ান জয়নাল আবেদীন, সিলেট-৫ আসনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সাব্বির আহমদ, সিলেট-৬ আসনে সেলিম উদ্দিন, হবিগঞ্জ-২ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর পাল এবং হবিগঞ্জ-৩ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে দলের যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, কুমিল্লা-৪ আসনে যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল হোসেন রাজু, কুমিল্লা-৭ আসনে অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, কুমিল্লা-৯ আসনে ডা. গোলাম মোস্তফা, চাঁদপুর-২ আসনে ডা. শহিদুল ইসলাম, চাঁদপুর-৩ আসনে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএমএম আলম, ফেনী-৩ আসনে দলের কেন্দ্রীয় নেতা হাজী আলাউদ্দিন, ফেনী-৩ আসনে পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রিন্টু আনোয়ার, নোয়াখালী-৩ আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ, নোয়াখালী-৪ আসনে মোবারক হোসেন আজাদ, চট্টগ্রাম-৫ আসনে সাবেক মন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু, চট্টগ্রাম-৮ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক সোলায়মান শেঠ, চট্টগ্রাম-৯ আসনে ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম, কক্সবাজার-৩ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস, কক্সবাজার-৪ কবির সওদাগর ।
সভায় কুমিল্লা-১১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন এরশাদ।

No comments

Powered by Blogger.