সিএ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি, চট্টগ্রাম কাস্টমসে অচলাবস্থা

অনিয়ম-দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে সিএ্যান্ডএফ এজেন্টদের আন্দোলনে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের শুল্কায়ন কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। রবিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শুরু হয়েছে সিএ্যান্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের আহ্বানে লাগাতার কর্মবিরতি।


এতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি হয় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম।
সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের আহ্বানে পূর্বঘোষিত কর্মসূচী ছিল লাগাতার কর্মবিরতি। ফলে কাস্টমস হাউস ছিল অচল হবার হুমকির মুখোমুখি। এ অবস্থায় গত শনিবার চট্টগ্রাম বন্দর-পতেঙ্গা আসনের এমপি এমএ লতিফের উপস্থিতিতে এ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় চিটাগাং চেম্বারের। চেম্বার সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম, সিনিয়র সহ সভাপতি এমএ সালামসহ পরিচালকম-লীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন এ্যাসোসিয়েশন নেতারা। দীর্ঘ বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যেকোন মূল্যে কাস্টমস সচল রাখা। কারণ কাস্টমস অচল হলে তার প্রভাব পড়ে বন্দরে। উভয় পক্ষের আলোচনায় সিএ্যান্ডএফ এজেন্টরা কিছুটা নমনীয় হলেও কর্মসূচী থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি। রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে যায় কর্মবিরতি। ফলে দেশের রাজস্ব আদায়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শুল্ক ভবনে এদিন অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এ্যাসোসিয়েশনের আহ্বানে এ কর্মবিরতিতে যোগ দেন এজেন্ট ও সিএ্যান্ডএফ শ্রমিক- কর্মচারীরা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার ড. মারুফুল ইসলাম জানান, সঙ্কট বিষয়ে আলোচনার জন্য সিএ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দকে ডাকা হলেও তারা আসেননি। আজ সোমবার সকাল ১০টায় শুল্ক ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ৩ সদস্যের উপস্থিতিতে সিএ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন এনবিআর-এর সদস্য (শুল্ক) নাসির উদ্দিন, সদস্য (মূসক) ফরিদ উদ্দিন ও সদস্য (শুল্ক গোয়েন্দা) ফিরোজ শাহ আলম।
সিএ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েসনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন সন্ধ্যায় জনকণ্ঠকে জানান, তাঁরা কর্মসূচী স্থগিত কিংবা প্রত্যাহার করে নেননি। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সিএ্যান্ডএফ এজেন্টরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তবে আজই ঢাকা থেকে আসা এনবিআর সদস্যদের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ফলপ্রসূ পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করছে আন্দোলন থেকে সরে আসা না আসা প্রসঙ্গ।
এদিকে, কাস্টমসে কাজ বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি কমে গেছে। চট্টগ্রাম বন্দর সচিব সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ হাজার টিইইউএস কন্টেনার বন্দর থেকে ডেলিভারি হয়। কাস্টমসে বিঘœতার কারণে রবিবার হাজারখানেক কন্টেনার ডেলিভারি হয়ে থাকতে পারে। যে কন্টেনারগুলো ডেলিভারি হয়েছে সেগুলোর শুল্কায়ন আগেই সম্পন্ন হয়েছিল।

No comments

Powered by Blogger.