প্রসঙ্গ পদ্মা সেতু প্রকল্প-বিশ্বব্যাংকের নতুন কোনো নালিশ নেই: মসিউর

দ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের নতুন কোনো নালিশ নেই। গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কার্যালয়ে বিশ্ব-ব্যাংকসহ অন্য দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মসিউর রহমান। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।


মসিউর রহমান আরও জানান, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে অর্থছাড় কিংবা প্রকল্প বাস্তবায়ন—এসব বিষয় তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। কোনো প্রকল্প সম্পর্কে যদি কোনো নালিশ থাকে, সমন্বয়কারী উপদেষ্টা হিসেবে তাঁকে অবহিত করতে পারে বিশ্বব্যাংক। এমনকি বিশ্বব্যাংকের কোনো তদন্ত প্রতিবেদন থাকলেও তা সরকারকে দিতে পারে। তিনি শুধু এই তদন্ত প্রতিবেদনের ফল কীভাবে বিচার করা যায়, তা দেখতে পারেন।
দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থছাড় স্থগিত এবং এর সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মসিউর রহমান কোনো কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মসিউর রহমান নিজের অবস্থান সম্পর্কে বলেন, ‘আমি হলাম হাঁসের মতো, পানিতে নামতে পারি, গা ভেজাতে পারি না।’ তবে তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণে দাতাদের অর্থছাড় কিংবা অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো কিছু বলতে রাজি হননি।
বৈঠকে ইআরডিসচিব ইকবাল মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব আরাস্তু খান, বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালক অ্যালেন গোল্ডস্টেইনসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া ইআরডির এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়টি ইতিবাচক অগ্রগতির জন্য বিশ্বব্যাংকসহ দাতাদের সঙ্গে কাজ করছে ইআরডি। আশা করি শিগগিরই ফল পাওয়া যাবে।’ তিনি আরও জানান, মূলত পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে সব পক্ষের সর্বশেষ অবস্থান নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুর ঋণের মেয়াদ তিন মাস বাড়াতে ইআরডিকে চিঠি দিয়েছে সেতু বিভাগ। এক দফা সময় বাড়িয়ে নির্ধারণ করা ২৭ জানুয়ারি এই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।
১১ জানুয়ারি সেতু বিভাগ থেকে এসব উন্নয়ন-সহযোগীকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে, যেন ঋণ কার্যকরের সময়সীমা আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ঋণ হিসেবে বিশ্বব্যাংক প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা, এডিবি প্রায় চার হাজার ৬০০ কোটি, জাইকা তিন হাজার ১০০ কোটি এবং ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) এক হাজার ৫০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.