পরামর্শক নিয়োগে অনিয়মেরঅভিযোগের তদন্ত চলছে by হকিকত জাহান হকি

দ্মা সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুটি পর্যায়ে দুর্নীতির অনুসন্ধান করছে। এর মধ্যে প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষ করতে বেশ সময় লাগবে। এদিকে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের মালিকানাধীন সাকো ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান কাজ এরই মধ্যে শেষ করা হয়েছে। আজ অথবা আগামীকালের মধ্যে কমিশনে এ অনুসন্ধান প্রতিবেদন পেশ করা হবে।


দুদকের একটি সূত্র জানায়, সাকো ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানকালে অনিয়ম, দুর্নীতির কোনো নথিপত্র অথবা সাক্ষী পাওয়া যায়নি। প্রমাণপত্র ও সাক্ষী ছাড়া কোনো অভিযোগের বিপরীতে মামলা করা যায় না। অভিযোগের বিপরীতে প্রমাণ না পাওয়ায় অভিযোগটি শিগগির নথিভুক্ত করে অভিযুক্তদের অভিযোগ থেকে রেহাই দেওয়া হবে। অপরদিকে পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগটির অনুসন্ধান চলবে। এ ক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। সূত্র জানায়, কানাডিয়ান কোম্পানি এসএনসি লাভালিনকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দিতে সরকারের একাধিক কর্মকর্তা কোম্পানিটির কাছে কমিশন দাবি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে ওই কোম্পানিটি কানাডা সরকারের নিয়ম-কানুন মেনে আবেদন করেছে কিনা_ এ ব্যাপারেও অভিযোগ রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের এক অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করেছে কানাডিয়ান পুলিশ। এর পর দুদক অভিযোগটির অনুসন্ধান শুরু করে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে কানাডিয়ান পুলিশের তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য চেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে কানাডা সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। এ তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত এ অভিযোগের অনুসন্ধান শেষ করতে পারছে না দুদক। জানা গেছে, মূল সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রীর সাকো ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিদের নানা ধরনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নানা জনের কাছে ঘুষ বা কমিশন চাওয়ার অভিযোগটিও বিশ্বব্যাংকের। দুদকের উপ-পরিচালক মীর মোঃ জয়নুল আবেদীন শিবলী এ অভিযোগ অনুসন্ধানের কাজ শেষ করেছেন। অনুসন্ধানকালে এ ক্ষেত্রে দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যায়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সমকালকে বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে দুটি পর্যায়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এর মধ্যে মূল সেতু নির্মাণে সাকো ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের কাজ শেষ হয়েছে। এ অভিযোগটি অনুসন্ধানের সময় অনিয়ম, দুর্নীতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে তিনি আভাস দেন। এই অনুসন্ধান প্রতিবেদনের মূল বিষয়বস্তু অর্থ মন্ত্রণালয় ও বিশ্বব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তিনি বলেন, প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনুসন্ধান শেষ করতে বেশ সময় লাগবে। এ অভিযোগ বিষয়ে কানাডিয়ান পুলিশের তদন্তে পাওয়া তথ্য চেয়ে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তার জবাব এখনও পাওয়া যায়নি। পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তিনি পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.